
চৈতালী চট্টোপাধ্যায়-এর কবিতা
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে
আমি সমসময়ের কথা কিছুতেই কবিতায় বসাতে পারি না –
ধর্মান্ধতার দিকে চেয়ে,স্রেফ,কেঁদে ফেলি।
গলা কাঠ হয়ে যাওয়া বুড়ো কৃষকের আখ্যানে
যথেষ্ট রাজনীতি দিইনি,
একদানা ভাবনা দিইনি,
সেও কি ভোলার!
থালাভর্তি আলো, মেয়েদের,
মার্কেটে বিক্রি হয় যখন,
বিশাখা নির্দেশিকা ভুলে যাই। মনে করি না।
শিল্প কি ময়ূরপালক পরবে, না রক্তাক্ত হবে,
কী জানি!
এসব তোমরা বুঝে নিয়ো…
পৃথিবী আঁধার হল অসুখের ভরণে পোষণে।
বিরক্তি বিষম ভাইরাস।
প্রথমে উদাস করে।
তারপর আস্তে আস্তে, একেবারে
ঘুম পাড়িয়ে রেখে দেয়
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে
২
কালোকে কালো ও শাদাকে শাদা বলি না।
মাথার মধ্যে ধূসরতা সেঁধিয়েছে, ওকে
মান দিতে হবে তো!
অপরূপ,জ্যোৎস্নাপ্লাবিত রেলমাঠ,সে-ও ভরা
আলোয় ময়লা হয়ে আসে,কী আশ্চর্য,
ফুটফুটে হবে কথা ছিল!
সমস্ত মনের দোষ ভেবে আমি
জীবনের থেকে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে
থ্রিলার সিনেমা খুলে বসি।
অলীক সৌন্দর্য নামে।
ঘোর নামে। ঘোরের মধ্যে দেখি,তুমি,
গরীবের স্বাস্থ্যবিমা টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে
বরফের নীচে গুঁজছ,
তোমার আবছা মুখ ধীরেসুস্থে,
আততায়ী হয়ে ফুটে ওঠে
৩
বন্ধুদের সঙ্গে আর আলাপে যাই না–
পকেটের মধ্যে ঢুকে থাকি। নিজের জামার।
ঝুলে-থাকা সুতো দেখি। সুতোর বুনন দেখি।
তেলকাটা গন্ধ শুঁকি।
পরম নিশ্চিন্তে। কিছু ভয়ে।
গাছ কীরকম হয়?বেলফুল? আগুন কেমন?
দুঃখ কি দুরপনেয়?
হু-হু হাওয়া,হা-হা প্রেম, আঁশটে আত্মরতি,
প্রতিবাদ,অগাধ রবীন্দ্রনাথ,
আমার লাগে না!
সমুদ্রের নুন, আমি এখানে বসেই পেয়ে যাব
খুব ভালো লাগল তিনটি কবিতাই। কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে আর আলাপে না গেলে হবে?
কবিতাগুলি পড়লাম। তিনটি কবিতাই ভালো লাগল।
তিনটি কবিতাই খুব সুন্দর । সত্যির দেখা পাওয়া গেল ।
ভালো লাগলো