অনিন্দিতা গুপ্ত রায়-এর কবিতা
প্রদর্শনী চলিতে থাকিবে
অজস্র শব্দ উচ্চারনের পর দেখি জিভ থেকে কণ্ঠনালী অবধি পুড়ে গেছে, অর্থহীন প্রলাপের দায় নিয়ে।
তাই নীরবতা।
হাত ছেড়ে দিলে ভয়। তারচেয়ে অনেক উঁচুতে হেটমুন্ড দুলে যাওয়া, মাথা ও মগজ ভুলে গিয়ে। এভাবেই এতদিন।
এভাবেই বলাও হয় না শেষাবধি জরুরি কিছুই।
আলো বাতাস জল মাটি এইসব সহজ সত্যিগুলোর ফাঁকফোকর দিয়ে পোকামাকড়ের চলাচল আমাদের সন্দিহান করে তুলেছে ক্রমশই।
বধ্যভূমিতে দাঁড়িয়ে পরস্পরের চোখ লক্ষ্য করে উড়ে যায় বল্লম।
পাহাড় ডিঙোতে শিখি এই অবসরে, অথচ নিজের ছায়ার নিচে চাপা দেওয়া আত্মপ্রসাদ পেরোতে পারি না বলে অপচয় চিনতে শিখিনি।
শুধু আয়নাওয়ালা হয়ে অট্টহাসির সে কি হাহাকার!
মরে যাওয়া লেবুগাছ উপড়ে তুলেও দেখি শিকড়েবাকড়ে সে এক বসতবাড়ি—আর জ্যান্তো ধকধক কলিজা লুকিয়ে রেখেছে সেখানেই, চোরকুঠুরিতে। বোকা হয়ে যাই। মৃত ও জীবিতের সংজ্ঞা বিষয়ে ভাবতে ভাবতে জানলা খুলি। অমনি ধুলোঝড়ে শ্মশান ফেরত হাওয়া ছাইভস্ম ফিরিয়ে দেয়। মরশুমি গাছ থেকে উড়ে যায় সব প্রজাপতি।
সার্কাস শেষ হয়ে গেছে, নিভে গেছে আলো। অস্ত্রাগারের দরজাও আপাতত বন্ধ আছে। শুধু রঙ ধুয়েমুছে নেওয়ার পর বিদূষকের চওড়া হাসি
কিরকম কান্নার মত ভাঙাচোরা মুখের রেখায়…