
চন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা
সব্যসাচী মজুমদার
নব্বই দশক একটি উত্তেজনার দশক। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের মতোই নব্বই বাঙালিকে নতুন অভিজ্ঞতা, সংযোজন এবং বিয়োজন শেখাচ্ছিল। বাঙালি একটি অর্থনৈতিক পরিস্থিতি থেকে আরেকটি পরিস্থিতিতে প্রবেশ করেছে তখন সবে। একটি নতুন মনস্তাত্ত্বিক প্রবণতা তৈরি হচ্ছিল এই সময়ের জন – সমাজে। এবং এ কথায় আমরা নিঃসন্দেহ যে, নব্বইয়ে আসলে ঘটনাগুলি ঘটল। যেমন গ্লাসনস্ত পেরেস্ত্রৈইকা, ঠাণ্ডা যুদ্ধ, বিশ্বায়ন, কম্পিউটার ইত্যাদি। কিন্তু, এর তো প্রস্তুতি চলছিল বিগত কয়েক দশক ধরেই। অন্তত আশির দশকের সুচনা থেকে তো বটেই। নব্বইয়ে ঘটল তার প্রয়োগ। আশির দশকের অবস্থানকে কী নব্বইয়ের আকস্মিক রূপ বদলের ভূমিকা হিসেবে মনে করতে পারি ? অন্তত কমিউনিজম থেকে কনজিউমারিজমে প্রবেশের ভূমিকা হিসেবে ?
এখন, এই আলোচনায় প্রবেশের আগে দুটো বিষয় বলে নেওয়া দরকার। প্রথমত কমিউনিজম এবং তার শাসন ক্ষেত্রে পতনকেই প্রধান চিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করছি কেন ? দ্বিতীয়ত, দশক ওয়ারি আলোচনার কি প্রয়োজন ?
প্রথম কৈফিয়তে বলব যে, দেখুন, আপনি কার্ল মার্কস নির্দেশিত কমিউনিস্ট ভাবনার যে দিকেই থাকুন না কেন এই তথ্য আপনার কাছে নির্বিকল্প যে, বিগত শতাব্দী আসলে কমিউনিজমের ক্ষমতা দখল ও তার সঙ্গে কনজিউমারিজমের দ্বন্দ্বেই উত্তেজিত ছিল প্রধানত। এবং গোটা শতক ধরেই আবিশ্ব মানুষ এই কমিউনিজমকে গ্রহণ কিংবা বর্জনের তর্কে দ্বিধায় থেকেছে। ফলত অতি স্বাভাবিক ভাবেই কমিউনিজমের শাসন ক্ষেত্রে পতন সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক চিহ্ন তো বটেই। এবং তারপর বিশ্বায়নের আগমন তার অর্থনৈতিক প্ররোচনা সহ। অবশ্যই একে অসদর্থে দেখছি না। বিশ্বায়ন অনেক কিছু দিচ্ছে সভ্যতাকে, সদর্থেই দান করছে।
দ্বিতীয় প্রসঙ্গে, এটাই বলার যে, উত্তর রবীন্দ্রনাথ পর্বে গোটা বিশ্ব জুড়ে তথ্য সংরক্ষণ অনেক বেশি হচ্ছে। ফলে কবিও চিহ্নিত হতে পারছেন অধিক সংখ্যায়। সংখ্যা বৃদ্ধির হারের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে দশকের বন্ধনীর প্রয়োজন। নাহলে নির্ণয়ে ফাঁক তৈরির সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া এখন, অর্থাৎ, বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে মানুষের সমাজের বিবর্তন এতই দ্রুতি অর্জন করতে পেরেছে যে, একটি দশকেই খুব গুরুতর কিছু চিহ্ন তৈরি হয় যা ওই সময়ের সঙস্কৃতির ওপর প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। যা হয়তো আগে শতক জুড়ে ঘটত, এখন দশকেই ঘটে যায়। ফলত এদিক থেকেও দেখতে গেলে দশক ওয়ারি আলোচনার প্রয়োজন আছে বৈকি।
এখন, বাঙালির নব্বইয়ে বিবর্তনের অভিঘাতে সঙ্গত দ্বিধায় জড়িত হল। একটি অংশ আত্মসমর্পণ করে স্রোতে ভাসল অভিযানের দুঃসাহসিকতায়। আরেক দল সন্দেহ করল, গ্রহণ – বর্জনে আত্মস্থ করল। নব্বইয়ের বাড়িতে কেবল্ এল, রেডিওও থাকল। রেডিমেড এল, দর্জিরও কিন্তু পুজোর বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ঘুম উবে যেত। কম্পিউটার সম্পর্কে বিখ্যাত তর্কটি তো রয়েইছে।
এই স্বভাবটিও নব্বইয়ের কবিতায় দেখা দিল বলেই মনে হয়। এর ফলে নব্বইয়ের কবিতায় বহুস্তর থাকলেও স্পষ্ট দুটো পক্ষ তৈরি হল। একদল আত্মসমর্পণ করল, আরেকদল দ্বিধায় – দ্বন্দ্বে আত্মস্থ করল নতুন অর্থনৈতিক মনস্তত্ত্বকে। চন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়কে, এই আলোচনা যাঁর কবিতাকে কেন্দ্র করে নির্মাণ চাইছে, দ্বিতীয় স্তরে ভাবতে এই অবকাশে প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে।
চন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতার কয়েকটি পাঠ নিলে আমাদের কাছে ধারণাটি স্পষ্ট হতে পারে, আমরা পেতে পারি কবির বৈশিষ্ট্যের একটি নমুনাও। যাপিত সময় এবং সময়ের অন্তর্ঘাতগুলি মানুষের চেতনার পর্যায়ক্রমকে যেমন নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, তেমনই তারা ছাপ ফেলে কবির রচনাশৈলীতেও —
” দিন যায় সন্ধ্যা-জ্ঞানে,মীন জলে ভেসে আসছেন শ্রীকৃষ্ণ দুর্লভ। সামনে নয়নতারা তুলসীর একত্র সংসার।উপরে সজ্জন চাঁদ। বুঝি,কিছুক্ষণ পর সে-ও সরে যাবে অগ্নিকোণে। তবে যাত্রা অতি-প্রাকৃতিক অল্প দূরে দুলেবাড়ি,দুর্বায় আকীর্ণ এই ঘরের ফাটল বিগত সন্ধ্যায় যাকে দেখেছি,সে বাউলের পরিত্যক্ত নারী ও খমক,স্বামী শূন্য বিছানায় শুয়ে একতারা ( অর্জিত পদ: ভাসানমঙ্গল/চন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়)
একটি নির্দিষ্ট ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে কবিতাটি গড়ে উঠছে। একটি কাহিনির আভাস রয়েছে । শ্রীকৃষ্ণের একটি অভিসারের উল্লেখ করছেন কবি। কিন্তু, এ অভিসার আমাদের জানাশোনা অভিসারের চেয়ে অন্যরকম। এই অভিসারের গন্তব্য পৃথক।কবি কিন্তু,কোনও টিপ্পনী করছেন না , কোনও নির্দিষ্ট প্রোপাগান্ডা বলছেন না, কেবল আমাদের সামাজিক যৌনবোধ এবং ধারণার কাছে তুলে ধরছেন একটি জায়মান মানব অবস্থানের কথা। কোথাও পৌঁছে যেতে চাইছে না এ কবিতা। ঘটনার কথা বলে যাওয়া ব্যতিত কোনও বাসনাও নেই তার।
কিন্তু, কোন ঘটনার কথা বলতে চাইছেন চন্দ্রাণী ? মৎসময় জলে ভেসে এসেছেন একজন মানুষ তিনি শ্রীকৃষ্ণ। তিনি ‘ দুর্লভ ‘ শ্রীকৃষ্ণ। তাঁর গতির সম্মুখে নয়নতারা আর তুলসী বিশদ ফুটে রয়েছে। চাঁদ রয়েছে বটে তবে একটু পরেই সে অগ্নি কোণের দিকে যাত্রা করবে । একটি ‘ সজ্জন ‘ চাঁদ। জানাচ্ছেন কবি, দুর্লভ কৃষ্ণের অভিসার কিন্তু খুব বেশি দূর অবধি নয়। ঘাসে ঢাকা একটি দুলে বাড়িতে বাউল পরিত্যক্তা এক নারী ও খমকের প্রতি এই যাত্রা। বিছানায় শুয়ে রয়েছে একতারা।
এই অতি সামান্য আখ্যানকে চিরায়ত ছবিতে পরিণত করলেন যেন চন্দ্রানী। কয়েকটি নিপুণ শব্দের ব্যবহারে। প্রথমত, ‘ মীন জলে ‘ । মাছে পূর্ণ নদী স্রোত – পথে একজন আসছেন, যার নাম শ্রীকৃষ্ণ। মাছে পূর্ণ না বললেও হতো। হতো না হয়তো । এ কারণেই যে, ‘ মীন জল ‘ এবং শ্রীকৃষ্ণের সংযোগ আমাদের ভারতীয় পাঠকের স্মৃতিতে অবতারবাদের স্মৃতি জাগায়। মনে করায় মীনাবতারে অবতীর্ণ বিষ্ণুর স্মৃতি। সেইসঙ্গে এই কৃষ্ণকে, কবিতার কৃষ্ণ নামটিকে কেবল লোকায়ত রূপেই সীমাবদ্ধ করল না। যুক্ত করল একটি বিস্তৃত ব্যঞ্জনা। এরপরেই আমরা লক্ষ্য করছি ‘ দুর্লভ ‘ শব্দের অভিঘাত।
বহুদুর্লভ কৃষ্ণ চরিত্রের আবহ তৈরি হয়। সেই দুর্লভ এসেছেন তাঁর চর্চিত, অর্চিত, সুস্থিত প্রতিবেশ ছেড়ে। যাচ্ছেন তিনি।
কোথায় চলেছেন দুর্লভ প্রেমদনের ধনী ! তিনি চলেছেন দুলে পাড়ায়। একটি বিবর্জিত, বিসর্জিত, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দিকে চলেছেন তিনি। তাও সে নারী পরিত্যক্তা। কিন্তু বাদনের অপেক্ষায় রত। এই উভমুখি মনস্তত্ত্বের একটি দ্বন্দ্বময় চারণ ক্ষেত্রে নেমে এলেন প্রেমদুর্লভ। একটি তারের বেদনাকে স্পর্শ করলেন কিনা, সে বার্তা দেননি ইঙ্গিত শিরোমণি চন্দ্রাণী। কিন্তু যাত্রাটিকে এভাবে বললেন যাতে ঘটল একটি সাব অলটার্ন ইশারা। আমরা, পাঠকেরা দৃশ্যকে দেখতে পাচ্ছি কিন্তু দুলে ঘরের আশপাশ থেকে। এই অবস্থানে পাঠককে দাঁড়াতে বাধ্য করেছেন কবি বলেই আমরা দেখতে পাচ্ছি কেশবের আগমনখানি।
ইঙ্গিতময়, তীর্যক অথচ বিদ্বেষহীন উচ্চারণে এ কবিতায় চন্দ্রাণী নির্ণয় করলেন শ্রেণি অতিক্রমণের, চেতনা অতিক্রমের প্রয়াসখানিকে।
আরেকটি কবিতাকে এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করা যায়,
“নিজের সত্তাকে ভাঙি খণ্ড করি তারপর উত্থানের ছবি
কিউব পদ্ধতি ধরে এঁকে দেব বলে এই ক্ষুদ্র অনুনয়
আজ অমাবস্যা রাত চান্দ্রমাস আমি জেনে গেছি
কালোর পরেও এক কালো আছে তারার ও’পাশে অন্য তারা
ভাগ্যচক্র ঠেলে দিই এরপর শিয়ালদা স্টেশন
নিজেকে দাঁড় করাই অগণিত গণিকার দলে যাতে
ফ্ল্যাশব্যাকে জীবনের চল্লিশ বছর জ্বলে ওঠে
আত্মার ভিতর এমন পিপাসা জলের বোতল দিই
মনে মনে বলি এত তৃষ্ণা কেন
সামনে যে সে আমার জীবনের প্রথম খদ্দের”
( অন্য মানুষী : চন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় )
অনুত্তেজিত, ধীর রেখায় এক্ষেত্রে কবি আঁকলেন আরেকটি পরিস্থিতির চিত্র। কিন্তু, এখানেও দুটো বিষয় লক্ষ করার, প্রথমত এখানেও প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করে তবে দর্শন উন্মোচনের বাসনা জেগে ওঠে। দ্বিতীয়ত এখানেও উভমুখি মনস্তত্ত্বের দ্বন্দ্ব ভূমি হয়েছে, আত্মপ্রতিবাদ প্রতিবেশ গড়েছে।
” এক)
জন্মেছি অনেক আগে। কবে যেন? কোন বৃত্তে? সংক্রান্তি অনেক এল অনেক গেল সে তার নিজের মতোই করে ফিবছর দুর্গা পুজো। পুরুত গামছা ও ধুতির নীচে জমা করে পাপ আর লোভ কেমন হে আর কেমন, হরির সংসারে সব লুট বাতাস পেয়েছ? পাওনি? ভুল চুক হতেই পারে। সে আঙুলে গোনে ও বলে। এই জন্ম যেন কত বর্ষ পার
দুই )
বাঁধো ঘর নদীপাড় মৃত্যুচিন্তা বিচ্ছেদ, বৃত্তের ভেতরে শূন্যতা, ঝড় এবারেও ধাক্কা দিতে পারে সুন্দর বনের সেই ভেতরে সে খাঁ খাঁ করে ঘরের দেওয়াল অনেক আগের মাটি নৌকো জল অবশ্য এখন ভটভটির শব্দ আর ওপারের সাজানো নৈহাটি
তিন)
কে গেল কে গেল জলে আলগা বাঁধ লোকজন বাছুর কাঁদুনে শিশু দালান ও ফেরির রোদন সব কিছু নিয়ে যায় নদী যায় রাগে আছড়ায় ভাঙে মেয়ে যায় মা তাকিয়ে বাপ ভাবছে আরেক ডাঙার কথা… ( দ্বিতীয় জীবন )
ছোট ছোট স্ট্রোকে চন্দ্রাণী এক একটি ইঙ্গিত তৈরি করেন। সমস্ত ইঙ্গিত একটি দর্শন নির্মাণ করে। যে দর্শন উদাসীন, নৈর্ব্যক্তিক এবং নিরপেক্ষ। সে কারওর পক্ষে নির্দিষ্ট চিন্তার সাপেক্ষে আটকে পড়তে চায় না।
বস্তুত কোনও রচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার বা জানাবার প্রবণতা রচনাকে কবিতার থেকে দূরে সরিয়ে দেয় — এ বিষয়ে তো আমরা একমত হতে পারি। এবং এও স্বীকার করতে পারি , কবিতা সবসময় একটি নির্দিষ্ট ধারণাকে, প্রোপাগান্ডাকে চ্যালেঞ্জ করবে, তাকে প্রশ্ন করবে, তাকে বিবর্তনের দিকে নিয়ে যাবে। সবসময় অবস্থানের নির্দিষ্ট পরিসরকে অতিক্রমের চেষ্টা করে কবিতা। সেক্ষেত্রে প্রোপাগান্ডা রচনাকে একটি টপিকে বদ্ধ করে। টপিক ফুরিয়ে গেলে রচনাটিও ফুরিয়ে যায়। জীবনানন্দ পরবর্তী কালে আলোক সরকার, প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত, মণীন্দ্র গুপ্ত, দেবদাস আচার্য, দেবারতি মিত্র,জয় গোস্বামী, সুমন গুণের কবিতাকে এই অনির্দিষ্ট সন্ধানের উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে গ্রহণ করি তবে চন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় নিঃসন্দেহে এই ধারার অন্যতম সংযোজন। অবশ্যই এর সমান্তরাল একটি ধারা বাংলা কবিতায় সক্রিয়। তবে সেক্ষেত্রেও আমরা দেখব, টপিক তার অভিধেয়ার্থকে অতিক্রম করে ব্যাঙ্গার্থে পৌঁছে যাচ্ছে যখন, তখনই সে আমাদের লোকায়তিকের অঙ্গ হতে পারছে। এবং এ ক্ষেত্রে সুবোধ সরকারের কবিতা ব্যতিরেকে আমাদের হাতে উদাহরণ বড়ই কম।
চন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় নব্বই দশকের অন্যতম একটি স্বভাব হিসেবে চিহ্নিত হতে পারেন বলেই মনে হয়। একটি নির্দিষ্ট কালখণ্ডে পরিবর্তমান পরিস্থিতিতে মানব মনস্তত্ত্ব কোন অবস্থান গ্রহণ করেছিল, কোন মনোভাব, কিভাবে সে দেখতে চেয়েছিল বিবর্তনের আশু ও আগত চিহ্নগুলিকে, তা ভীষণ নির্দিষ্টভাবে স্পষ্ট হতে পারে চন্দ্রাণীর কবিতা পাঠে। আমাদের কাছে। এবং পুরুষ তন্ত্রের একনিষ্ঠ বিরোধীতাকে অতিক্রম করে আন্তর্জাতিক ‘নারী’ চিন্তা যেভাবে এন্ড্রোজেনিক হয়ে উঠতে চাইছে, তার উদাহরণ হিসেবে কী, সমকালীন আন্তর্জাতিক কবিতার অন্যতম উচ্চারণ হিসেবে দেবারতি মিত্রের পর আমরা চন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়কে মনে করতে পারি না ?
চন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা উদাসীন দুপুরে খমক বাজায় …