
রাজু দেবনাথ-এর কবিতা
নারী জীবনের চারপাশে
কোন দৃষ্টির ভেতর লকলকে জিভ লুকিয়ে আছে কিনা
বেশ বুঝতে পারো তুমি
প্রতিটা স্পর্শের আনুবাদ পড়ে ফেলো অনায়াসে
অশরীরী হাওয়ার গরম নিঃশ্বাস
আঁশটে গন্ধের মতো ঘুরে বেড়ায়
তোমার নারী জীবনের চারপাশে-
অন্ধকারের ভেতর লোলুপ থাবা গুলো
তোমাকে সারাজীবন তাড়াকরে ফেরে !
ভূতের গল্প
যার কোনো প্রতিবিম্ব নেই
সেই মানুষটাকে ছায়াহীন ভূতের মতো লাগে !
অনুপস্থিতির মতো নীরব – সেই একাকিত্ব,
তাকে প্রতিদিন অল্প অল্প করে –কুরে কুরে খায় ;
আর ধীরে ধীরে নির্জন মানুষটাও একদিন
সত্যি সত্যি ভূত হয়ে যায় !
গাছ
এই সবুজ নির্জনতার ভেতর
একটা-দুটো পাখির ডাক
আর স্তব্ধতার মর্মর
যেন নিঝুম বনের ছায়া পেতেছে আসন
সেই নিবিড় প্রশান্তির ভেতর- বুঁদ হয়ে আছি !
তারাদের কথা
এই মহাবিশ্বের নির্জন অন্ধকারে
অনুগামী গ্রহ-উপগ্রহদের নিয়ে – প্রতিটা নক্ষত্র
যে যার নিজের কক্ষপথে –একা !
আড়াল
আধখোলা জানালার মতো মুখ
হাওয়াকে তুমুল করে- গভীর খোলা চুলে
পর্দার আড়াল জানে –আদিম কৌতুক !
অ্যাকুরিয়াম থেকে
কাঁচের ওপার থেকে
আমার একাকিত্বের ওপর আলো ফেলে
সবাই দেখছে নীরব জলের ভেতর-
এই নির্জনতার রঙ !
যত বেশি রঙিন হব –
তত বেশি মুগ্ধ হবে সবাই
তত শোভা বাড়বে তোমাদের !