
সব্যসাচী মজুমদার -এর কবিতা
দুটো কবিতা
ও মুখ, ও মুখ…
ও মুখ, ও মুখ, ও গো, ও মুখ দেখাও
জল থেকে তোলো তাকে ডোবাও আবার
ডোবাও পথের ধারে, বিষুব রেখায়
হুলু হোক, হোক তার হলুদ পবন
কেটেছে অনেক আয়ু দূরদৃষ্টি বরাবর
আমিও ধুলোর পাশে বসে থাকি
যেন মাটি জন – সংখ্যা হয়ে গেল
কেটেছে তোমার দ্বিধা ? গুমোটের আলো !
এখন ডোবাও তবে প্রাচীন জিগালো
বোঝো এ স্রোতের শেষে পাখি সত্য কথা
তোল তাকে তোল টেনে ডোবাও আবার
মাচাতে শুকোতে দাও তুমুল সারস
ডৌলের মতন একা ডুবে গেছে রোদ
ডুবিয়ে রেখেছ তাকে হত্যা ক্ষমতায়
আবার ডোবাও আর টেনে তোলো তাকে
বুঝিয়েছ কত জোর গণতন্ত্রে থাকে?
বিমুক্ত না অসংযত
বিমুক্ত না অসংযত — কোনখানে তার ঘোরা ?
তুমিই আমার মুদ্রা-কাঙাল অনুক্ত অংশটা !
উত্তেজনার লম্বাটে পা, গম রাঙা এক শরীর
উত্তেজনা বই লিখেছে সন্তান ও সঙ্গীর
উত্তেজনার অন্যতীরে ছিন্নমূলের পাড়া
একই সাথে বাস করেছে প্রবন্ধ, হত্যারা
হত্যা মানেই অস্ফুট ঘুম, আসন্ন শীতকাল…
হত্যা বোঝে তোমার ভেতর সঙ্ঘটি কঙ্কাল
কখন ঝরে পড়বে এবং কোনখানে যে ঝরে !
তোমার গলায় হাড় ফুটেছে ভিন্ন দেশান্তরে
আমার এখন বৃষ্টি পড়ে, আষাঢ় মাসের বেলা
দূরের গ্রহে চলছে তখন পুনর্ভবার খেলা…
সমকালীন বাংলা কবিতার ভুবনে সব্যসাচী মজুমদার এক বিশিষ্ট ঘরানা, স্বতন্ত্র স্বর, পৃথক আলো। নিবিড় নিরবিচ্ছিন্ন অপেক্ষার পর্ব পেরিয়ে প্রত্যেক ভাষা এমন একেকজনকে পায়, যাঁরা বহু ব্যবহারে জীর্ণ ভাষাকে নতুন পোশাক দেবেন, অন্য দিগন্তের ভোর করে তুলবেন…
‘জিগালো’ শব্দটি দিয়েও অন্ত্যমিল পাচ্ছে বাংলা কবিতার পংক্তি…সাবালকত্বের অভিজ্ঞান! তবে একথাও দ্বিধাহীনভাবে বলি, এই শব্দের প্রয়োগ এখানে অবশ্যম্ভাবী ছিলনা।
বড় আনন্দ পেলাম দাদা