
সুবীর সরকারের কবিতা
দুপুর
আপেল গাছের নিচে ঘুমিয়ে আছো তুমি
ঝাঁপিয়ে পড়ে রিংটোন,শিস।
কয়েক দফা বৃষ্টি শেষে যখন রোদ ওঠে
তখন শিবিরে শিবিরে কারফিউ
সিডিউল বদলে যায়।
মাঝনদীতে দুলে ওঠে নৌকা।
বলি,ব্যস্ত শহরের কথা।
সব পুরোনো ভুলে গিয়ে রক্তের অসুখ নিয়ে
বেঁচে থাকি
পাখিরা কাচের পেয়ালায় চা খায়।
পাখিরা কার্নিশে বসে বৃষ্টি দেখে।
দুপুর গড়িয়ে যায়।
হামাগুড়ি গড়িয়ে যায়।
বাদ্য
ঘুম ভেংগে গেলে শুনি দূরে কোথাও
বাদ্য বাজে
সাপের ফনার দিকে তাকিয়ে থাকি।
পুতুল খেলছে এদিকে আমাদের মেয়েরা।
ওঝা ও তান্ত্রিকের মিছিলে ছুটে যায় আগুনের
বল্লম
গ্রাম্য পুকুরে ঢিল ছুঁড়ে হাঁসেদের তাড়াই।
এই রচিত দৃশ্যের দিকে উড়ে যায়
কাক ও কোকিল
শহর
ব্যস্ত শহরে খুব ছায়া খুঁজি।
দুপুরে নিরিবিলি হই।
কারা যেন কথা বলছে ডুবসাঁতার নিয়ে।
জলে ভিজে যায় হেডফোন।
শ্যাওলার সবুজে লুকিয়ে থাকে পাখি।
বাঙ্কারে বসে ডায়েরি লিখছেন হেরে যাওয়া
জেনারেল
ভ্রমণকাল
শীতকাল পেরিয়ে আসি।
ভ্রমণকাল পেরিয়ে আসি।
হিলস্টেশনে কোন নদী থাকে
না
খাদ থেকে উঠে আসা হাওয়ায় টুপি উড়ে
যায়
সমস্ত উঁচু পাথরকে সীমান্ত পিলার মনে হয়
ধানক্ষেতের নিচে আমরা আবিষ্কার করি
সুড়ঙ্গ
পাখিকে চিনতে হয় তার শরীরের পালক
দিয়ে
রূপকথার গল্পে চুপ করে বসে থাকে ইঁদুর।
ইঁদুরের দাঁত আমাদের চিরকালীন
স্বপ্নে
সরণি
ঘাসে ঢেকে যায় বাস্তুভিটা।
ঘাসে ডুবে যায় সময়সরণি।
মেঘেদের আলোয় মুখ দেখছে এই পৃথিবীর
মানুষেরা
সাপের ছোবল থেকে বেঁচে ফিরে আসা কেউ ঢুকে
পড়ছে অন্ধকারের গহ্বরে।
এই একটানা বৃষ্টির দেশে
এই গোড়ালিডোবা জলের দেশে
পাশ ফিরতেই দেখি বাঘের চোখের মত
বজ্র ও বিদ্যুৎ
আর নীল হয়ে যাচ্ছে স্ট্রিট লাইট।
আর মেঘের পিঠে উঠে পড়ছে মেঘ।