
দেবাশিস তেওয়ারী-র পাঁচটি কবিতা
স্তব্ধতাকে
[“If I had known how cruel love is
How savage, pitiless and dire,
I’d not have entered in this house,
But stayed outside to beat a drum
and warn the eager crowds away.
But now I’m here, inside the house,
I’m drumless, helpless, beaten, dumb.”
— Lang Leav ]
একএকটা পাতার আড়াল
ভেঙে দেয় সন্ত্রাসবাদী স্তব্ধতা
দুপুরের ভাতঘুম সেরে আজ উঠে দেখি
প্রদীপের মতো এয়োস্ত্রীরা সাজিয়েছে পাঞ্চজন্য মঠ
এখনই কৃষ্ণ হয়তো গোষ্ঠের স্তাবকতা
মেখে ফিরবেন
পথে যদি কোনও ঘুঁটেকুড়ানিরা
আরেকবার আড়াল করার ঢঙে
স্তব্ধতাকে কোল পেতে চায়
তাহলে তমালবন দুলে উঠবে সশীষ রোদনে
কিছুটা কাঞ্চনমূল্যে
কিছুটা
ছায়ায়
স্বর্গ দিশেহারা
——————-
[ “I have one mine and I know that I am kind
And also I have one soul,
They made me this man as I know that I am
As I am the person that you see and know.” — Randy McClave ]
রঙমশালের মস্ত দালান ঝড় ওঠে না মনে
ঝাড় তুলে নেয় ঝাড়লণ্ঠন বেগুনকোদর স্টেশন
একটু-আধটু পা মিলালেও সময় তো টনটনে
হারিয়ে যাওয়ার বলগা পেরোই এটাও দেখুক নেশন
অন্তিমে তার সঙ্গীবিহীন আঁচ লাগে কাচ ছাড়া
জটিল কোনও মেলবন্ধন সহজ হতে শেখায়
নিজের কৃতকর্মে তারা সহজ কিছু লেখায়
টাকায় বাঁচে জনসভার রোগটি আঙুলহাড়া
অর্থ শুধু শর্ত খোঁজে ঘুমকথাদের নাচন
আসলে ধরি দিব্যদৃষ্টি না-হয় ধরি পাচন
অবক্ষয়ের মন্ত্র এটা, লোক না ওরা কারা ?
সটান আসে সটান খোঁজে— স্বর্গ দিশেহারা
—————————————————————————————————–
দিনশেষে যত কিছু
[ “Rose-pink, pink-rose, bring me a happy day.” — Vivien Eliot’s diary ]
মেঘের ইঙ্গিত থেকে ঝরে পড়ে কান্নার আঁচড়
আঁচল মোছেনা সেই স্তব,
কেবল ক্ষয়াটে মোম উচ্ছিষ্টের ফুলদানি
কিছুটা সরিয়ে
একফালি নরম চাঁদ থেকে
দেখে নিই শীর্ণ তলদেশ।
আজ আর বাগানে যাব না,
রাতচরা পাখিদের মতো ত্রূবাদূর ঘুম
দিনশেষে যত কিছু হিসেব চোকায়।
——————————————————————————————–
আমার শরীরঘিরে
[ “had a long and sinuous expetition in the direction of some of our infinities…. the other infinity. The infinite production of colours, rhythms and forms reveals itself to be in the end a terrifying and laughable cascade of trifles.” — Octavio Paz ]
লাভের অংকে মেলে ক্ষতির ব্যবস্থাকারী মন
ক্ষতিহীন লাভ ওটা পড়ে থাকে ছাইয়ের গাদায়
শৌচক্রিয়ার মতো মেয়েরাও যখন-তখন
ক্রিয়ার সমাপ্ত হলে একটি কথা, যাবেন বাদায়
বাদায় প্রণতিসেতু পুষ্পোদ্যান সপুষ্পকরথে
নেমে আসছে বাঘাটোন ফসলে ফসলে ক্ষয়কারী
আবার রেশমচাষ, আবার পালনকারী মথে
বাড়াবে পালন-ইচ্ছা কতিপয় সর্বনামধারী
বাড়াবে পালন-ইচ্ছা কর্তার ইচ্ছায় কর্ম হয়
কর্তার আড়ালে থাকে গোপনেচ্ছা প্রণয়নকারী
আমি তো লুকানো অঙ্গ ক্রমে ক্রমে বেড়ে গেলে ভয়
আমার শরীরঘিরে চর্চা করবে পিঁপড়েদের সারি
কীভাবে কোষ্টার ফেঁসো
[ “And by the way
Everything in life
Is writable about
if you have the outgoing
guts to do it, and
the imagination to improvise.
The worst enemy to
creativity is self-doubt.” — Sylvia Plath ]
প্রতিটি ক্ষরণে জন্মে কবিতার অভাবিত হাত
বিধিনিষেধের মাঠ ফলন হয় না একদিনও
মায়াবী ফসল থেকে তুলে আনি সরষের বরাত
যত পারো জাগ দাও কিংবা ছায়াঘুমটুকু কিনো
ছায়াঘুম মায়াতুর আদরে রোদন আসে আর
ফিরো না ফিরো না রাস্তা তুমি জানো ঘুম না ভাঙার
ফিরো না ফিরো না আলো তুমি জানো জঠর সংঘাত
কীভাবে কোষ্টার ফেঁসো তড়িঘড়ি চিনে নেয় জাত !
লেখাটি যদি ভালো লাগে, আবহমানে নিজের ইচ্ছেমতো ফোন পের মাধ্যমে
অবদান রাখতে পারেন, এই কিউ আর কোড স্ক্যান করে। ফোন পে করুন 9051781537
অথবা স্ক্যান করুন পেমেন্টের লিংক