
গৌতম চৌধুরীর কবিতা
অপরগুচ্ছের একটি
প্রশ্নহীনতা না উত্তরহীনতা, কোথায় লইয়া চলে সময়? এই যে প্রশ্ন, একটি ছেদবিন্দুর ভয়ার্ত অনুভব হইতে তাহার উত্থান। ঢেউ কিন্তু গড়াইয়া চলে। জীবনের ছোট্ট কারসাজির ঢের বাহির দিয়া। সেখানে সওয়ার হইলে, যেকোনও মুহূর্তে যাহা কিছু ঘটিতে পারে। প্রশ্নে প্রশ্নে জেরবার হইতে পারে অস্তিত্ব। প্রত্যাদেশের মতো জ্বলিয়া উঠিতে পারে তাহাদের জবাব। বা, জাগিতে পারে নিরুত্তর স্তব্ধতা। সেই নীরবতায় প্রশ্নের জেদ আরও বাড়িয়া যাইতে পারে। বা, ক্লান্ত হইয়া ঘুমাইয়া পড়িতে পারে জিজ্ঞাসা। প্রশ্নহীনতা তাই এক ক্লান্তি। কিন্তু কখনও তাহা এক সমর্পণও বটে। সমর্পণও অবশ্য ক্লান্তিরই এক বিশুদ্ধ রূপ – আর জানিবার বুঝিবার কিছু নাই, তুমি আছ, তুমি, তুমি। কিন্তু সেই তুমি-ও তো এই তরঙ্গপথেরই আর এক সহযাত্রী মাত্র। সেকথা ভুলিয়া তবু, সকল প্রশ্ন গুটাইয়া কাহাকেও মাথা জুড়াইতে হয়, বুক জুড়াইতে হয়। কেহ বা নাছোড়। কালো উত্তাল সময়প্রবাহে প্রশ্নই তাহাদের নৌকা, প্রশ্নই ঢেউ …