
তৃষ্ণা বসাকের কবিতা
ভেরোনিকা
ভেরোনিকা, তুমি সবার সামনে দাঁড়িয়ে
স্বীকার করলে যে তোমার পিতৃ পরিচয় তুমি জানো না,
তোমার সামনে দুটো পথ ছিল-
এক তো গৃহবধূর পরাধীন কিন্তু নিশ্চিন্ত জীবন
অন্যদিকে নগর বেশ্যার অনিশ্চিত, কিন্তু স্বাধীন জীবন,
তুমি স্বীকার করলে তুমি দ্বিতীয় পথ নিয়েছ,
তুমি স্বীকার করলে বহুবল্লভা হয়েও
তুমি একজনকেই ভালো বেসেছ,
তুমি স্বীকার করলে
তোমার হাত একজনেরই ঠোঁট ছুতে চায়,
তোমার শরীর একটি শরীরের কল্পনাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে,
তুমি তার ঘ্রাণ পাও নির্জন মুহূর্তে-
এসবই কি পাপ নয়, মহামান্য সেনেট?
এসব যদি পাপ হয়,
তবে ভেনিস সেই পাপ ভাগ করে নিল…
বেদনা ঋতুটি
আমার বেদনা ঋতু, গ্রীষ্মের মতোই, দীর্ঘ, ছেদহীন।
এই ঋতু আমাকেও ত্রাণ দ্যায়,
এ গোলার্ধে প্রকৃতই দুই ঋতু -প্রখর বেদনা আর মৃদু সুখ-
জলবায়ু আজন্মই এই,
মাঝে মাঝে আমরা একটু হাওয়া খেয়ে আসি, পানসি চড়ি
ফুরফুরানগরে,
সেখানে সোনার গাছ, মুকুতার ফল,
সেখানে জলের স্রোত স্বাদু অ্যালকোহল,
ভাসি ডুবি, তবু ফেরা থাকে,
বেদনা ঋতুটি জানলার শিক ধরে দুচোখ বাড়ায়,
সেখানেই ফিরে আসা, ফিরতে হয়।