
তাপসী লাহার কবিতাগুচ্ছ
তাপসী লাহা
নীল রোয়াক
ক্ষয় রোগ ,বুঝে নিতে রাস্তার মত পেখম তোলা ময়ূরের সঙ্গ দিয়ে যে ছবি তোলা যায়
হাওয়ায় মিলিয়ে দিয়ে ঐরাবতের শুড়ে কোন সময় কি থাকে
ক্ষরণের স্ত্রোত্র হতে ঝরে পড়ে
বুর্জোয়া সংযম
এভাবেই আঁকো ছবি?
লেখো কিছু ব্যাথা,
সরণীর হলুদ সন্ধ্যায় মেঘ নীলচে কালো জলে শামিয়ানা সাজালে তুমি বুঝি কাঁদো!
রোজ ছাতে দানা খুঁটে খাওয়া কবুতর হঠাৎটি উবে গেলে
হঠাৎ সে অজ্ঞাত হত্যায় সম্ভ্রমের সংযম হারিয়ে তার কচ্চিৎ পাখনা
ছেড়া লাশের পরে সড়কের পাশে রোয়াকে মানুষেরা গল্প করে।
গমগম করে হলুদ রাতের সন্ধ্যা
পাড়াতুতো দোকান, হাসিহাসি বিক্রিবাট্টা,
আনন্দের গুপ্ত কোডটি জাল করে মৎসভক্ষণহীন একটি গুজব নয়,
সত্য উদঘাটনের সন্ধ্যা।
দলিল
কিভাবে ভাবনারা ভাবনার মত
নিত্য সন্ধ্যা জলে ফেরি করে তাড়াহুড়োদের!
জল কি রাখো ঘটের পাশে
পাশবালিশ পাঁজাকোলা
ভালোবাসা থেকে রেহাই পেলে উঠে দাড়ায় এক ভীষণ অনুশীলনের ক্লাস।
অনাহারের মত সন্ধ্যারা গভীর হলে রাতফুলকিরা মেয়ে সেজে ঘর ছাড়ে
ব্যস্ত সন্ধ্যা পুজোর অপেক্ষায়
তাকিয়ে থাকলে দোষ দেওয়ার
অলুক্ষুণে সাপুড়েরা ভাড়া দাও
ভাড়া দাও করে আলতা ও
সিঁদুরের ইতিহাসে চিৎকার ডাকে কি
পরিষ্কারের মত কোন ধাঁধার গিট যেমন,
রাস্তারা ধীরে ধীরে নামে
অভিমুখ বদলায় রাস্তারা রাস্তা বলে
অনিঃশেষ চলতে চলতে এখনের কথাগুলো খুন হয়
বাইসনের পিঠে ইতিহাস ছেপে জিয়ল দলিল হয়।
ক্যাফেটেরিয়া
ঝোল ঝাল সন্ধ্যায়
তোমার কটকটে কবিতার টেবিলে
মটমট তাকিয়ে থাকারা
রাগের কিছু ?
ভয়ের
সহজ নেই বলে ভাসা ভাসা কথায় খেই হারিয়ে ফেলা
দূর্বাদুপুরের নিষ্কাম নেই,
হাতে বোনা কাঁথার মত
সিঞ্চিত রুমালে প্রিয় নাম উৎকীর্ণ হয় যেভাবে
হারালো রোদে মেঘ
হারায় যেভাবে লেখারা বোবাকন্ঠের অন্ধকারে।
ছায়া
পড়ে ছায়া,অসহ্য আলো
চোখ বেঁধে দিলে দিন হয় শেষ
হাওয়ার ফানুস?
ওড়ে যত কথা,যত হাওয়া,দরজা
খুলে মনের উড়ে যাওয়া,পাটভাঙা বিনিময়
বিদ্রুপের তারাফুলে চোখে মিটমিট,পাঁকে ধরে রাখা পদ্মের মন
অথচ দুহাত পাড়ি দিয়ে দেখোনি গল্পের মিল
উত্তরের মত সহজ আছে কি!
কপটের কোন জলে।
CATEGORIES কবিতা

