
অনিরুদ্ধ সুব্রত
জলঙ্গীর দুপুর
নদী স্থির, না তার স্রোত-সাধ–
দু’পারের কূল ঘেঁসে পানা আর ঘাস
ক্ষয়ে যাওয়া ইঁট-গাঁথা ঘাট— হলদেটে
প্রাক-সন্ধের মতো লঘু, মাথুর-কৃষ্ণ-জল
আধো স্বচ্ছ, তল নয়— কিছু দূর দেখা যায়
প্রায় উদ্দেশ্যহীন ক্ষুদ্র, উদাস মাছ-ঝাঁক
নিস্তরঙ্গ যাপন আঁকছে যারা পাখনায়
মেঘ-আকাশ, সবুজ গুল্ম, কাঁপা ক্যানভাস
রেলব্রিজ না নদী, কে অধিক প্রাচীন–
ঘাটের ধারে মহামায়া মন্দির, পাথর বিগ্রহ
পুরনো অশ্বত্থ গাছ, না ভাঙা মাছধরা ট্রলার
সন্দিগ্ধ সব, কে বাজায় নিষিদ্ধ বাঁশি পাড়ে..