
দেবাশিস তেওয়ারীর কবিতা
★অশ্বিনীতারার কবি
আম-আদমি-আঁটি
————————-
[ “Burning burning burning burning
O Lord thou pluckest me out
O Lord thou pluckest
burning”
(The Waste Land) T.S. Eliot ]
এ-কথা আলোর থেকে পাওয়া
এ-দেশে আলোর নেতা তুই
বিকেলের ক্ষেতে গিয়ে আজও
সকালের রণকষ্ট ধুই
এ-কথা আলোর হিরেমাটি
এ-কথা জমিন জানে মন
সহজ শর্তের থেকে কোনও
শর্ত কী দেখায়— অনুক্ষণ !
শর্ত দেখায়— দেখা যায়
আবার দূরের দৃশ্যে মেশে
বেড়াতে এসেও নির্বিকার
অন্য কোনও পরাঙ্মুখ দেশে
আরও একটা ভেসে যাওয়া দেশ
দেখায় শস্যের কাদামাটি
এ-কথা জেনেছ বলে আজও
বেঁধে রাখছ আম-আদমি-আঁটি
বিশেষণ দরজা খুলে
—————————-
[ “At the end of my suffering
there was a door” — Louise Gluck ]
আবেগে মাতে না তরজা, দরজা খোলে বাঁশ
হৃতপ্রেমিকের দরজা ষোড়শোপচারে
চোখদুটো নিষ্পলক গায়ে নেই আঁশ
মাথা নত করে দাও, কবে, কোন বারে
কোন ফসিলের কান্না হৃদয়ে মেখেছ
কোন ভিত্তিভূমি থেকে খসে পড়ল ছাদ
আমি তো দেখিনি রন্ধ্র খুঁড়লে ওঠে কেঁচো
বেশি খুঁড়লে জন্মে যাবে— বিভীষিকা, খাদ
প্রচণ্ড প্রণয় হেতু খনন-স্বার্থেরা
প্রকম্পন মেপে মেপে বলে দিতে পারে
কতটা আবেগ, তাতে কত চুলচেরা
বিশেষণ দরজা খুলে ঝাঁপ দিচ্ছে বারে
হাসপাতালের কবি
————————–
[ “Life is like a hurried walk in the dark : a blind stumble. Death must be like the opening of a door into a lighted house…” — Vivien Eliot ]
অশ্বিনীতারার কবি তারাজন্ম তার
কিছুটা প্রণয় দোষ, কিছু প্রতিভার
কিছু বিনয়ের কিছু মজুমবাড়ির
বিনোদিনী কুঠি তার নত নয় শির
শিরে শিরোনাম রয়, বাঁচামরা রয়
সরিষাফুলের জন্ম কবিমনে ভয়
সেই ভয় জন্ম লয় বাদাবন ছেনে
সুন্দরবনের রাজা কে-না তাকে চেনে ?
কে-না তাকে চেনারাম বলে কিনে নেয়
সুন্দরবনের রাজা, মনে অপব্যয়
হতে হতে মাসপহেলা আবার জন্মান
হাসপাতালের কবি পাঁউরুটি খান
হাসপাতালের কবি ছেড়ে দেন স্তোক
অভিশাপ, মর্মবাণী— জোটায় আলোক
———————————————————————————————————————————————–
★প্রাগৈতিহাসিক
———————–
যে বন্ধনের ঘোর ছেড়েছে মায়াবী ঘোড়া
লোকে তাকে চাবিঘোড়া বলে
ইতিহাস পিছে পিছে সন্ধানের আহ্বানে
আয়নাতে জল টলটলে
আয়না, আমদানি মন, বিফল বোঝে না, শুধু
ধার করে ঘি-ভাত খায়
এ-দিনের আয়ব্যয় নিকোনো উঠোন ভেদে
ধুয়েমুছে আগাপাশতলায়
কী দেখে দলিল-মন, দলিত সে, তারস্বরে
খুঁজে নেয় বন্ধুহীন চাবি
পথের কড়িও বোঝে সঙ্গীটির আবাহন
আগেপিছে দলের যা দাবি
এভাবেই হেতু পার, হেতু বিনা অন্ধকার
হেতু বিনা তবু দিন যায়
চাবিঘোড়া তালাঘোড়া প্রাক-ইতিহাস যুগ
ঘোর লাগে সজল সন্ধ্যায়
————————————————————————————————————
শুধু দরবেশ, যিনি
————————-
সন্তান নিকটে তার বাধাহীন বিপ্রতীপে বল
অভিসার চলে আসে কাননে কাননে ঝড় তোলে
আমার গন্তব্য থেকে খড়কুটো, ছিঁড়ো না সম্বল
নিকটে আরাধ্যা দেবী, দূর বলতে চেপে বসে কোলে
এমন আছোলা বাঁশ জন্মেও দ্যাখেনি মায়াঘোর
শামুকের পিছে পিছে যেভাবে থাকে না কোনও দাগ
কড়ি দিয়ে কিনলাম, জলদাগ কিনে নিচ্ছে ভোর
এভাবে ঠেলেছি সূর্য, পরিনতি আঠালো পরাগ
এভাবে কেঁদেছে লাশ মহুয়ার পাশে হিমঘর
ওপাশে উল্টে পড়ে মার খায় রাত্রির আবহ
এখনও বোঝেনি হিংসা স্বপ্নে স্বপ্নে ওঠে তার স্বর
কাটে না দেহের বাঁধ, শুধু দেখি বিবেক নির্মোহ
সন্তান নিকটে তার, স্বামী থাকে দূরদেশে, চল
এইবেলা আমপাড়ি, যতদূর পারি শুধু ওড়া
মেঘলার আঁধার মন, আসলে জানি না তার তল
শুধু দরবেশ, যিনি শেখাবেন মৃত্যুর মহড়া