
হিন্দোল ভট্টাচার্য-এর কবিতা
উৎসর্গ- ডেভিড অ্যাটেনবরো
ধুলো ও ভস্মের মধ্যে থেকে উঠে দাঁড়ানোর কথা ভাব। সময় যখন আশ্চর্য এক তূণীর রেখে গেছে যুদ্ধক্ষেত্রে, তাকে আমল দাও। তুলে নাও অবিনশ্বর তুলি ও তরবারি। এখন পালটা চোখে চোখ রাখার দিন ভগীরথ। ক্রোধে নয়, করুণায়। যার হৃদয়ের ভিতর এত পাপ, সে বড় দুঃখী। ঘুমোতে পারে না। বুক ঢিপ ঢিপ করে। অন্ধকারে দু হাত আঁচড় কাটে। দেখে নেয়, কেউ তার ঘুমের সুযোগ নিয়ে মুখের দিকে তাকিয়ে আছে কিনা। হয়তো তারই মতো দেখতে কেউ, একদিকের মুখ ঝলসে গেছে ধর্মে। অন্যদিকে আঁচড়ের দাগ।
এইভাবেই সভ্যতা ধ্বংস হয়। কিছু কিছু কবরের ভিতর ভিক্ষাপাত্র নিয়ে শুয়ে থাকে সহস্রাব্দ প্রাচীন কঙ্কাল। চারিদিকে বনভূমি ধ্বংস। গাছ নেই। আচমকা বন্যার জলের দাগ দেওয়ালে দেওয়ালে। শুষ্ক কিছু বাড়ির ভিত হাহাকার করতে করতে তাকিয়ে রয়েছে মহাকাশের দিকে। এই কি আমাদের প্রেম, ঈশ্বর? এই আমাদের সভ্যতা? সভ্যতার চিতার মতো আগুনে পুড়ে যাচ্ছে ধরিত্রী। আগুন, আগুন, দাবানল, তুমি কৃষ্ণের মতো নও। এই যুদ্ধ আমরা চাইনি।
শান্তি নেই কোথাও। ধ্বংসের সামনে আরুণি আজও বুক দিয়ে আগলাচ্ছে বাঁধ। একা সে। ধ্বংস যারা করে, তারা ধ্বংস করতে করতে একলা হয়ে যায়। বোঝে, মাতৃহত্যা পাপ। পৃথিবী, অনশনের মতো, প্রতিরোধ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ছে।
অথচ, তুমিও আলো হয়ে উঠতে পারতে তাঁর।
অসাধারণ।সাম্প্রতিক এই অনুভূতিগুলোই যন্ত্রণা দিচ্ছে।