
সেই সব বসন্তে…
মণিদীপা বিশ্বাস কীর্তনিয়া
নববর্ষে পাঠচক্র/ গ্রন্থ- বসন্ত/ রূপক মিত্র/ প্রকাশক- কাটোয়া মহকুমা গ্রন্থাগার/ প্রচ্ছদ- নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় /আলোচনা- মণিদীপা বিশ্বাস কীর্তনিয়া
লুপলাইনের একটা ছোট্ট স্টেশনে রঞ্জনের সাথে দেখা হয়ে গেল একদল যুবকযুবতির, ছেলেবেলার বন্ধু শিবাজী যার যোগসূত্র।সেখান থেকেই তার পিছু নেন লেখক।একঘেয়ে জীবনে সফলগোছের কিছুই করা হয়নি, রঞ্জনকে নিয়ে একটা উপন্যাস লিখতে চান একথা রঞ্জনকে তিনি জানিয়েও দেন কেননা শ্যাডো করতে করতে লেখক নিজেও ততক্ষণে ছায়ার মতো মিশে গেছেন রঞ্জনেরই সাথে।
রঞ্জন-সে-আমি প্রথম পুরুষ থেকে উত্তম পুরুষে মিলেমিশে লিখতে লিখতে লেখক
নিজেই গভীর জলে এবং পাড়ে উঠতে লাগবে সেই রঞ্জনকেই!কেননা এ ব্যাপারে খোদ রঞ্জনকেই অপছন্দ বন্ধুদের।এত নড়বড়ে স্বভাবের নায়ক যার নিজের পছন্দ অপছন্দই নিজের কাছে পরিস্কার না,তাকে নিয়ে লেখার ভরাডুবি হবেই।অবাক হওয়ার কিছু নেই।এ গল্পের ধরতাই দিচ্ছেতো বন্ধুরাই।
তার চরিত্ররা,ঘটনাবিহীন ঘটনার উৎপটাং কথোপকথন, চমকপ্রদ ধারাবিবরনী, খুনসুটি মারপিট, মধ্যরাতের শাসন বা রাস্তাবদল সবইতো বন্ধুদের নিয়ে।কাজেকাজেই পাঠকের মতামতও যে বন্ধুরাই দেবে আশ্চর্য কি?
গাড্ডায় পড়েছেন লেখক কেননা ততদিনে তাদের দুজনের ছায়াওতো এক!নিজের আর পাঁচটা কাজের মতোই যদি এ লেখাও এই বেয়াক্কেলে নায়কের মর্জিমাফিক হঠাত থামিয়ে দিতে হয় তবে বন্ধুরা(পড়ুন পাঠক) বলবে কী? আরও একবার ব্যর্থতাই প্রমাণ করতে নারাজ তিনি যাহোক একটা সমঝোতায় আসতে চান।তিনি ও তার নায়ক যদি একটু শুধরে নেন লেখা এবং জীবন তাহলে উপন্যাসখানার একটা সুরাহা হয়।
কিন্তু রঞ্জন সাফ জানিয়ে দেয় উপন্যাস লেখার মতো জঘন্য কাজে,হোক সে তাকে নিয়েই,তার কোনও দায় পড়েনি তা এগিয়ে নেওয়ার।নিজের অক্ষমতার দায় লেখককেই বইতে হবে কারণ লিখতে না জেনে অচেনা লোককে নিয়ে গপ্পো ফাঁদার বিপদ তিনি নিজেই ডেকেছেন।
তর্কও বাঁধে দুজনের।গতকালটা আজকের মতো, আজকের দিন আগামীকালের মতো ঘটনাহীন এমন বেঁচে থাকাই বা কেন?ফাটা রেকর্ডের মতো একটানা কেন বেজেই যাবে তাদের দুজনের জীবন!থার্ড ইয়ারে বাবার মৃত্যুতে নাবিক হওয়ার স্বপ্ন ছেঁটেছুটে রঞ্জন হসপিটালের অফিসে ক্লার্কশিপের চাকরিতে ঢুকে অবধি অফিস সে যায় বটে কিন্তু অফিস ব্যাপারটা তার মাথাতেই থাকে না।
আর সন্ধের চায়ের ঠেকে সে আর বন্ধুরাতো গত সাতদিন,একই আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।সাতদিন কেন?মাসের পর মাস..।এর’ম নায়ক নিয়ে জমছে নাতো মোটেই।রঞ্জন আবার এসব আলতু ফালতু উপন্যাসে মাথা ঘামাতেই চায়না।বিছানায় ঢোঁড়াই চরিতমানস
পড়ে আছে অথচ ছুটির দুপুরটা নষ্ট করতে লেখক বাড়ি বয়ে হাজির।স্রেফ কাটিয়ে দিতে সে পরামর্শ দেয় লেখাটা ছিঁড়ে বা পুড়িয়ে দিতে।
বরং রঞ্জনের বন্ধু তপন বা আখতার যে কেই জমাট গপ্পের নায়ক হতে পারে।তপনতো
টগবগ করে ফুটছে।দুমদাম হাতপা চালাচ্ছে,প্রেমে পড়ছে।
অথবা আখতার, ঝড়ের মতো বন্যার তোড়ের মতোই যে বাঁচতে চায়।ফুটে গেলে যাবে কিন্তু তার আগে রামধনুর রাস্তা দিয়ে হাজার মাইল স্পিডে সে উড়ে যেতে চায়।চায় পৃথিবীটা ফট করে ফেটে যাক আর লাল-নীল-সোনালি -হলুদ রঙে ভরে যাক চারদিক। সবার গায়েও লাগুক তা।রঞ্জন, যদিও তাকে পরামর্শ দেয়,খানিক ছেঁটে ফেলতে তার চাওয়া কিন্তু আখতারের কথা শুনতে শুনতে বুকের লাল বল ফুলে ফুলে ওঠে তারও।বেঁচে থাকাটা এক স্বপ্ন বা ম্যাজিক মনে হয়।ফলে আখতার বা তপন হলেই যেমন চাই জমে যেত প্লট।
লেখক ঝুলোঝুলি করেন একটু অন্তত মাথা গরম করুক সে।চারপাশে এত অবিচার, শোষণ, দুর্নীতি,সে কেন পালিয়ে বেড়াবে, কেন নিতান্তই আমোদগেঁড়ে যুবক হয়ে কাটাবে দিন আর রঞ্জন বলে লড়াই শুরু হলে পাঁচজনের মতো সেও তার সামিল হবে, আপাতত সে কোনো বিশেষ হতে চায়না।
অর্থাৎ সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থানে স্পষ্ট সে কিন্তু তার দায় মানতে নারাজ।বন্ধু আনন্দের মতো স্বচ্ছ, জেদি আর সৎ মানুষের স্বপ্ন সমর্থন করে সে কিন্তু হাত বাড়ায় না। লেখাটা নষ্ট করার জন্য বুক চাপড়ে গাল পাড়েন তিনি রঞ্জনকেই,এ কেমন চরিত্র,যার প্রেম নেই, বিদ্রোহ নেই,শারীরিক আদর নেই আছে শুধু উদ্ভট এক মনখারাপ!
হলুদ বাড়ির জানলা থেকে মেয়েটি তাকালে ছলাত করে ওঠে তার বিকেল।হারিয়েযাওয়া তন্দ্রার কথায় দূর দেশের ডাক পাঠায় কেউ,ছাইরঙ বিকেলে গাঢ় সোনালি নকশার মতো গভীর বিষন্ন মিলির নামও দিয়েছে সে তন্দ্রা!”দে লো সখি পরায়ে সাধের বকুলহার”গান নিয়ে স্বপ্নের কিছু রহস্যঘেরা চিরকুটসমেত হলুদ শাড়ি ঝুরোটিপে লেখক বারবার তার সামনে আনছেন অমৃতাকে,কিন্তু শোনা যায় না এমন স্বগতোক্তিতে রঞ্জন বলে,”বড়ো লজ্জা করে..”।
অমৃতার স্বপ্ন ভুলতে লাগে দেড়মিনিট আর ঘা শুকনোর আগেই তপনের মারা কপালের ঘুসিটাকে বেমালুম ভুলে উল্টে তপনের পক্ষেই যুক্তি দেয় সে।
রঞ্জন তাহলে চায় কী?আদর্শ সমর্থনযোগ্য কিন্তু গ্রহনীয় নয়।ভালবাসায় আগ্ৰহ আছে কিন্তু ধরে রাখতে উদাসীন।বন্ধুদের সঙ্গে সবচাইতে বেশি সময় কাটে অথচ নিজস্ব গন্ডির বাইরে সে কৌতূহলহীন নির্বিকার।যেন আঙুলের ফাঁকে পুড়তে থাকা সিগারেটে ছ্যাঁকা লাগলে নেশার আমেজ নষ্ট হয় বলে সে ওই ব্যথাটাকেই সহনীয় করে তুলতে চায়।
লেখক চান বিধিসম্মত কোনও মেসেজ সে দিক অথচ রঞ্জন নিজেই মেসেজের অপেক্ষায়।
সমসাময়িক অবক্ষয়ের পটভূমিকায় গড়ে উঠেছে এ কাহিনী।টাকার লোভ দেখিয়ে বস্তিবাসীদের উৎখাত করে হাল ফ্যাশানের বাড়ি উঠছে বলে ভারসাম্যহীন এক জায়গা রঞ্জনদের অঞ্চল।বন্ধুদের মধ্যেও কি তার ছায়া পড়েছে?মাঝে মধ্যেই তারা প্ল্যান করে বেড়াতে যাওয়ার।নির্দিষ্ট ট্রেনের সময়ে কেউ কেউ অপেক্ষাও করে।ট্রেন চলে গেলে আরও
দুএকজন জোটে।অনুপস্থিত বাকিদের প্রতি বিষোদ্গার করতে করতে ওরা কালুর দোকানে ফিরে আসে।পরস্পরের প্রতি কোনও দায় নেই,কথা রাখার প্রয়োজন নেই, বিশ্বাসও নেই।সম্ভবত এও এক মজার খেলাই আর মজা ছাড়া তার বন্ধুরা কীইবা চায়!
কোনও আঞ্চলিক ইতিহাস বা মিথ এ কাহিনিতে নেই।যদিও নবাবদের পোড়ো এক বাড়িতে গিয়ে ভয়মেশানো কৌতূহলে ভাঙা দীঘির জলে মেঘের ছায়ায় ছমছম করছিল হাওয়া।রঞ্জনের মনে হচ্ছিলো পাঁচশো বছর আগে এই মেঘ -জল- গাছপালায় ঘুরতো ওই কবরে শুয়ে থাকা মানুষগুলো।হাজার বছর পরেও থেকে যাবে এসব,তাদের চিহ্ন কোথায়
থাকবে ভেবে ঝাপসা হয়ে আসে রঞ্জনের বুক। সেই ঝাপসা বুক নিয়েই সে উঠে এসেছে উপন্যাসের পাতায়!
গল্প বলার চমৎকার ক্ষমতা রাখেন রূপক মিত্র।এটি তার প্রথম উপন্যাস।অনেকেই প্রথম উপন্যাস নিজেকে দিয়েই শুরু করেন।বসন্তকাল উপন্যাসেও হয়তো লেখক-রঞ্জন-রূপক মিত্র একে অন্যের সঙ্গে খানিকটা করে মিশে গেছেন।
ভাষার কারিকুরিতে,বর্ণময় চরিত্র বিশ্লেষণে কথক-নায়ক এবং পাঠকের অনুভূতিময় আদানপ্রদানে রূপক সফলতো বটেই।ঘটনা ছাড়াই কেবলমাত্র একটা ধারণাকে সঙ্গে করে এগিয়ে চলা এবং সেই রাস্তায় পাঠককেও সঙ্গী করার সাহস দেখাতে পারেন এই লেখক।কাফকার ছোট গল্পে যেমন সহজভাবেই সিঁড়ি দিয়ে উঠে আসে বালিকার আত্মা,নায়কের সঙ্গে তর্ক চালায় তেমনই ছুটির দুপুরে সিঁড়ি বেয়ে লেখক পৌঁছোন রঞ্জনের ঘরে।বাকবিতন্ডা শুরু হয়ে যায়।
পাঠকের সঙ্গে তার মননশীল জগতের আলাপ থেকে ঘনিষ্ঠ পরিচয় ঘটাতে পারে কোনও সার্থক উপন্যাস। বহুবার দেখা দৃশ্য,ঘটনা বা সংলাপের সাথে দেখা হয় এমনভাবে যার সঙ্গে আগেতো পরিচয় হয়নি।ফলে তার আটপৌরে ভাষাও কাঁসাভরনের বাসনে নতুন কোনও দুপুরে পুরোনো রোদ উজলে তোলে বারংবার। অচেনার আনন্দকে বারবার ধরাছোঁয়ার মধ্যে নিয়ে আসতে পারে সে-ই।পাঠকের অনুভবে চারিয়ে যায় তার শেকড়।কচি তামার নতুন পাতা উঁকি দেয়।পাঠক এবং লেখকের মধ্যে দোলে পেন্সিল স্কেচে আঁকা ছোট এক সাঁকো। রূপক তা যথার্থএঁকেছেন ।
শরতকালের অদ্ভুত আর মায়াময় বিকেল রূপকথার মতোই যা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে লেখক আমাদের নিয়ে আরও একবার যাচ্ছেন বাস্তবতার খানিক দূরের সেই অপরভূবনে,ছটফটে দিন থেকে পড়ে আসা বেলার মনখারাপের দিকে।
যেমন, “লোডশেডিং হলে শহরটাকে ভুতে পায়।অশ্বত্থ গাছের মাথায় চাঁদ আটকে গেলে একা একা ঘুরে বেড়ানোর মধ্যে যে মনকেমন,শৌখিনতা জেনেও তা সুস্বাদু লাগে বেশ”!পাঠকের ছোটবেলা থেকেও বেরিয়ে আসতে পারে গ্রামের বাড়ি।পুরোনো অন্ধকার থেকে উঁকি দেয় নেউল,ঠোঁটে তার রক্তমাখা।অদূরেই আধমরা গোখরো।ঝোঁপের দিকে উড়ে আসে নীলকন্ঠ পাখি।
রুশ সাহিত্যিক বাখতিনের কথায় “উপন্যাসে শব্দ ব্যবহৃত হয় অতি নির্দিষ্ট অর্থে।কবিতায় শব্দ সেই নির্দিষ্টতা ছাড়িয়ে যায়।“অর্থাৎ শব্দকে যেভাবে ব্যবহার করা হয় সেখানে উপন্যাসের নির্দিষ্ট পার্ট হয়তো খুঁজে পাওয়া যায় না কিন্তু কাহিনি জুড়েই তা ছড়িয়ে থাকে লেখকের নিজস্ব স্টাইলে,তার সংলাপ রচনায়, বর্ণনা বা স্বীকারোক্তির মতো অনুভবে।সমগ্ৰ লেখা জুড়েই তিনি সেই ভাষা রচনা করেন যা ঘিরে ভিড় জমায় পাঠক,তাকে নিয়ে একা হতে হতে নিমগ্ন হয়।রূপকেরও আছে সেই লিখনরীতি।
সম্পর্ক,আধুনিক জীবনের জটিলতা,দ্বন্দ্ব ও দর্শন এবং নিরন্তর ভাঙনও
অঞ্জন, সনাতন বাবুর মেয়ে কমলেশ, তপন,আখতার সবার মধ্যেই আছে।বাকি
রইল রঞ্জন।
ফার্স্ট ইয়ারে বেড়াতে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ছোট এক পাহাড়ে ওঠা শুরু করে গাছপালা, ঝুরো মাটির জঙ্গল পেরিয়ে সবচে’ উঁচু টিলায় ওঠে সে-ই প্রথমে।বন্ধুরা তখনও এতো নিচে চেঁচিয়ে ডেকেও সাড়া পাওয়া গেল না।জীবনে প্রথম পাহাড় বা সফলতার শীর্ষে উঠে সে হতাশা কথাটার মানে বুঝতে পারে।বন্ধুরা পৌঁছে হল্লা জুড়লে টের পায়, কলরব নয়, নৈঃশব্দ্যই মহান।
তবে সে উপলব্ধি কোন কাজে লাগলো তার অন্তহীন রঙের ধাঁধায় ঘুরে না বহু জনতার মাঝে অপূর্ব একা হয়ে, পাঠককই তা খুঁজতে হবে।রঞ্জনের দরজা অবধি এসেই লেখক ভারমুক্ত হয়েছেন।বাকি দায় তার নয়।1352
আমরাতো চাই চরিত্রদের সঙ্গে লেখকের অতিনির্দিষ্ট কোনও অন্তর্ঘাত যা অন্য অর্থ বা তারও অতিরিক্ত কিছু তিনি সঞ্চারিত করেন ভেতরে, সেই বাড়তি কিছুর চাহিদা মেটাতে পেরেছেন রূপক।ঝাঁকে মিশে থাকা সাধারণ এক রঞ্জন সোজাসাপটা সত্যগুলিকেই শুধু জানতে চায়।জানতে গেলে খুঁজতেতো হবেই আর খুঁজতে গেলে ছেড়ে যেতে হয়।রঞ্জন তাই প্রত্যাশার বাইরে যেতে চায় কেবলই। ভিতু,লাজুক, স্বপ্নের ভেতর ঘুমিয়ে-পড়া রঞ্জু একলাই খুঁজছে হলুদ বনে হারিয়ে যাওয়া নাকছাবিটি।
খুঁজতে খুঁজতে জীবন পেরিয়ে যাবে হয়তো অথবা হয়ে উঠবে অনন্ত সম্ভাবনাময়।
বিনিদামে পেয়ে যাওয়া এই জীবন থেকে কীটপতঙ্গের মতো ঝরে যাওয়ার আগেই নিজের সত্যিকারের কাজটা খুঁজে নেওয়াইতো চাই।হাল্কা নীলরঙা শাড়ি পরে হসপিটালের বেডে শুয়ে থাকা মিলি,ঘুমের ওষুধ খেয়ে বারবার ব্যর্থহওয়া মিলিকে
বোঝাতে গিয়ে যে রঞ্জন টের পায় গোপন ক্ষরণ, রক্তরই!নিরন্তর অদৃশ্য অন্ধকার ও রহস্যময় ফোঁটা ঝরছেই।
আখতার প্রায়ই একটা গানের কথা বলে।ফেলে আসা কোনও গান যা তারা সবাই একসময় গাইতো ।মরে যেতে যেতে আবার বেঁচে ওঠার ঘোরে বিড়বিড় করে গান।তিন বছর আগে অজিতবাবুকে রক্ত দিতে মুখ শুকিয়ে গেছিল যাদের, রঞ্জন দ্যাখে সেই বন্ধুরা লাইন দিয়ে রেডি আজ আখতারকে রক্ত দিতে।
আবার আসবে হাওয়ার দিন।অথবা গানের।তেমন কোনও স্বপ্নের অথবা চুরমার হয়ে যাবার।রাস্তার শেষে,জানলা থেকে জানলায় কার্নিশ থেকে দিগন্তের নীলে অন্য কোনও
রঞ্জনের সাথে দেখা হয়ে যাবে আমাদের।,জানবো বন্ধুত্বের প্রকৃত উপহাস।বসন্তকালের জন্য অপেক্ষা থাকলো আমাদেরও।লেখক নতুন লিখবেন।শুধু আমাদের জন্যে।
প্রচ্ছদ চমৎকার, ছাপাও।শুনেছি বইটি নাকি আর পাওয়া যায় না।প্রকাশক বিপণনের দিকে নজরে রেখে আবারও প্রকাশ করুন।দ্বিতীয় সংস্করণ।আমরা চাই।