
সেই অতিবালকদের অপার্থিব সভাস্থলে
গৌতম বসু
প্রতিভা এক অপার্থিব গুণ। প্রতিভাধরের অন্তরে বিষণ্ণতা, অহংকার, পাগলামো ও আত্মবিশ্বাস কখনও সোজা কাঁটা বোনে, কখনও উল্টো। প্রতিভাধরের সমকক্ষ বলে কিছু হয় না, প্রতিভাধরের প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যেই ছায়া পড়ে সমকক্ষ মানসিকতার। এই লেখায় তেমনই তিন বিস্ময়কর ক্ষণজন্মা দেখা দিলেন অনমোচনীয় ইমেজারি-সহ : র্যাঁবো, রামানুজন, সুকান্ত ভট্টাচার্য।
যাদের দেখতে পাওয়ার চোখের সঙ্গে অন্যদের তাকিয়ে থাকার অভ্যাসের কিছুমাত্র সাদৃশ্য নেই, যাদের জানার এবং অজানার ভান্ডার প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থার ফসল থেকে মজুত করতে হয়নি, আয়ুরেখায় অকালে অকস্মাৎ ছেদ পড়ে গেলেও যাদের পরমায়ুর ঘড়ি টিকটিক শব্দে ঘুরেই চলেছে, যাদের সৃষ্টিশীলতার তরুলতাটি তাদের বুদ্ধিবৃত্তির কোল ঘেঁষে পাঁচিল পেরিয়ে শূন্যলোকে উঠে গিয়েছে, ঘন-ঘন ভেঙে-পড়া মনের ‘হতভাগ্য’ অধিকারী যারা, আচার-আচরণে কখনও-কখনও পাগলের প্রায়, অস্বাভাবিক, তাদের কথায় ফিরে আসি।
প্রতিভা, অথবা, আরও স্পষ্ট করে ধরলে, জীবনানন্দ দাশের ভাষা ব্যবহার করে যাকে ‘কল্পনাপ্রতিভা’ বলা যায়, সেই অপার্থিব গুণটি, যা দেখলে চেনা যায়, কিন্তু সন্তোষজনকভাবে ব্যাখ্যা করা যায় না- ঠিক কী বস্তু? হেনরি ডেভিড রো একবার কৌতুকমিশ্রিত বিষণ্ণতা-সহ আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন যে, অধুনা, দর্শনশাস্ত্রের অধ্যাপকরা সংখ্যায় অগণিত, দেখা মেলে না দার্শনিকরা! এই পর্যবেক্ষণ থেকে আমরা কি একটা ক্ষীণ পথনির্দেশ পেলাম? প্রতিভার প্রধান পরিচয় তার বিরলতায়। প্রতিভাধর ব্যক্তিদের মধ্যে অদ্ভুত এক আত্মবিশ্বাসের পদচারণাও লক্ষ করা যায়, যাকে অসহনীয় অহংকার, এমনকী পাগলামো-লক্ষণাক্রান্ত আচরণ বলেও কখনও-কখনও মনে হতে পারে। শহিদ জোরদানো ব্রুনো লিখছেন, ‘অন্যের দৃষ্টিতে যা সুদূরবর্তী, আমি তা পিছনে ফেলে এসেছি।’ ব্রুনোর উক্তির আড়াই শতাব্দীরও পরে, প্রায় একই অর্থবাহী বাক্য উচ্চারণ করছেন বালক আর্তুর র্যাঁবো, “আর, মানুষ দৈবাৎ কখনও যা দেখেছে ব’লে ভেবেছে, আমি তা চাক্ষুষ করেছি” (‘মাতাল তরণী’ / পঙক্তি ৩২)। ভিন্ন-ভিন্ন দেশের ও কালের, ভিন্ন-ভিন্ন শাস্ত্রের ও সংস্কৃতির কয়েকজন ‘স্বল্পায়ু’ মানুষকে ঘিরে আমরা দু’টি কথা সেরে নিতে পারি; এঁদের মধ্যে কারও-কারও জীবন আমরা ছুঁয়ে যেতে পারব মাত্র, কারও-কারও হতশ্রী বেঁচে থাকার সামনে দু’দন্ড নতমস্তকে দাঁড়ানোর সুযোগ হয়তো হবে।
দেহাবসানের পর প্রতিভাধর মানুষ তাঁর কীর্তির মধ্যে পুর্নজন্ম লাভ করেন, এ-কথা আমরা সকলেই জানি। তবু, নবজন্ম লাভের কিছু-কিছু কাহিনি এমনই অবিশ্বাস্য যে, মাঝে-মাঝে সন্দেহ জাগে-এগুলো বুঝি সত্য ঘটনা নয়, রূপকথা। লাতিন ভাষার কবি কাত্থোলুস জন্মেছিলেন ইতালিতে, আনুমানিক খ্রিস্ট পূর্ব ৮৪ সালে, জীবিত ছিলেন আনুমানিক মাত্র ত্রিশ। তাঁর মৃত্যুর এক-শতাব্দীর পর থেকেই তাঁর লেখা বিলুপ্ত হতে শুরু করে এবং দ্বিতীয় শতকের মধ্যে লাতিন ভাষার সাহিত্যেতিহাস থেকে তা সম্পূর্ণ মুছে যায়। এভাবেই পেরিয়ে যায় একহাজার বছর। তারপর, প্রায় অলৌকিকভাবে রক্ষা পাওয়া পুঁথির নকলের হাত ধরে শুরু হয় কাত্থোলুসের পুনরুত্থান। মাত্র ১১৬টি কবিতা রক্ষা পেয়েছে, তাতে না আছে দেবদেবীর মাহাত্ম্য-বিবরণ, না আছে শৌর্যবীর্যের গাথা, রয়েছে কেবল প্রয়াত ভাইয়ের স্মৃতিতে রচিত কয়েক পঙক্তিব্যাপী একটি বিলাপ, বন্ধুবান্ধব নিয়ে কিছু অন্তরঙ্গ কবিতা, একটি লেখা তাঁর প্রমোদ-তরণী বিষয়ে এবং অবশিষ্ট রচনা, যা মূলত বহুপুরুষগামী, অতিনির্মম এক নারীর প্রতি তাঁর আপাতব্যর্থ প্রেমনিবেদন।
আমাদের পরবর্তী নির্বাচন ভারতীয় গণিতশাস্ত্রজ্ঞ শ্রীনিবাস রামানুজন, জন্ম ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দ। রামানুজন জীবিত ছিলেন মাত্র ৩২ বছর। প্রতিভাধর মানুষদের জীবনে ‘বুদ্ধিমত্তা’ যে কেবল বুদ্ধিবল নয়, সে-সীমানার বাইরের এবং উপরের এক আলোকোজ্জ্বল এলাকা, এর একটি আভাস পাওয়ার জন্য আমরা রামানুজনের জীবনের মাত্র একটি ঘটনার উল্লেখ করব। শাকাহারী রামানুজন রান্না চাপিয়েছেন, পাশের ঘর থেকে তাঁর বন্ধু ও উজ্জ্বল পরিসংখ্যানবিদ প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ তাঁকে গণিতের এই সমস্যাটির একটা বিবরণ শোনালেন- আমার বন্ধুর বাড়ি একটা দীর্ঘ রাস্তায় অবস্থিত, যেখানে বাড়ির নম্বরগুলো ১, ২, ৩ ইত্যাদি এই ক্রমে বাড়ছে। অদ্ভুত ব্যাপার এই যে, আমার বন্ধুর বাড়ির ঠিক আগের বাড়ি পর্যন্ত বাড়ির নম্বরের যোগফল, আর সেই বাড়িটার পর থেকে শেষ বাড়ি পর্যন্ত সব বাড়ির নম্বরের যোগফল, সমান। সংকেত একটাই, রাস্তাটিতে বাড়ির সংখ্যা ৫০-এর বেশি ও ৫০০-র কম। প্রশ্ন হল, আমার বন্ধুর বাড়ির নম্বর কত? প্রত্যেকটি ‘সম্ভাব্য নম্বর’ যোগ করে করে প্রশান্তচন্দ্র উত্তরটা কষে রেখেছিলেন, কিন্তু কয়েক মুহূর্তের মধ্যে রামানুজন যে সৌকুমার্য-সহ একই অঙ্কের উত্তর অন্যভাবে দিলেন তাতে তাঁর বিস্ময়ের অবধি রইল না। রামানুজন তখন প্রশান্তচন্দ্রকে একটি ‘কন্টিনিউড ফ্র্যাকশন’ লিখে নিতে বলেছেন, অর্থাৎ একটি ভগ্নাঙ্ক, যার ‘হর’ (ডিনোমিনেটর) একটি পূর্ণসংখ্যা ও একটি ভগ্নাঙ্কের যোগফল। আবার সেই ‘হর’-এ ‘হর’ একটি পূর্ণসংখ্যা ও একটি ভগ্নাঙ্কের যোগফল ইত্যাদি।
উত্তর এইরকম : রাস্তাটিতে মোট ২৮৮টি বাড়ি আছে এবং আমার বন্ধুর বাড়ির নম্বর ২০৪, অর্থাৎ ১+২+৩+…২০৩ = ২০৫+ ২০৬+…২৮৮। প্রসঙ্গত, ৫১ থেকে ৪৯৯-র মধ্যে একটিই সংখ্যা আছে, ২০৪, যেখানে এই দু’টি যোগফল সমান-সমান। শোনা যায় বাকরুদ্ধ প্রশান্তচন্দ্রের কাছে রামানুজন এইভাবে তাঁর মস্তিষ্কচালনার রহস্য উন্মোচন করেছিলেন, ‘অঙ্কটা শুনেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম, সমাধানসূত্র রয়েছে কন্টিনিউড ফ্র্যাকশনে-এ; নিজেকে প্রশ্ন করলাম; কোন কন্টিনিউড ফ্র্যাকশন? উত্তর বেরিয়ে এল।’ হায়, এই সরল বাক্যখানা- ‘উত্তর বেরিয়ে এল’- যদি সহজে বোঝা যেত!
প্রতিভাবান ব্যক্তিদের প্রথম বৃত্তেও আর্তুর র্যাঁবো এক বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছেন, যদিও সন্দেহ হয়, যত সংখ্যক মানুষ তাঁর লেখা অভিনিবেশ সহকারে পাঠ করেছেন, তাঁর ক্রান্তিভাবনার তাৎপর্য বোঝার প্রয়াস পেয়েছেন, তার চেয়ে বহুগুণ মানুষ তাঁর ব্যতিক্রমী জীবনপ্রণালী ও সাহিত্যজগত থেকে অন্তর্ধানের ঘটনাতে বেশি উৎসাহিত বোধ করে থাকেন। র্যাঁবো-র কবিজীবনের ঘটনাপ্রবাহ আজও বিস্ময়ের উদ্রেক করে, জন্মগ্রহণ ১৮৫৪-তে, ১৪ বছর বয়সে প্রথম কবিতা লাতিন ভাষায় রচিত, প্রথম কবিতা অন্যান্য মহাকবির প্রতিতুলনায় একটু বেশি বয়সে রচিত হলেও, মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে তাঁর চেতনায় ও দ্রোহে এক পরিণত কবিমনের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়; ‘মাতাল তরণী’ (‘লা বাতো ইভর’/ ১৮৭১) এই সময়ের রচনা; ‘পারি কমিউন’-এর আদর্শের প্রতি তাঁর আনুগত্য সুবিদিত হলেও তিনি ওই সময়ে মহানগরীতে বাস করতেন কি না এবং প্রতিরোধে অংশগ্রহণ করেছিলেন কি না তার কোনও তথ্যসূত্র পাওয়া যাচ্ছে না; এর দু’বছরের মধ্যে তাঁর দুই কালজয়ী কীর্তি ‘নরকে এক ঋতু’ (‘উন সেজন অঁ অঁফের/ ১৮৭৩) ও ‘উদ্ভাস’ (‘লে ইলিউমিনেসিঅঁ’/ ১৮৭৪) প্রস্তুত এবং অবশেষে ১৮৭৫-এ ভের্লেনের সঙ্গে অন্তিম সাক্ষাতের পর সাহিত্যজগত থেকে চিরবিদায়। পরিণতি অর্জনের দ্রুতি, ‘প্রতিভা’-র উপস্থিতির নানা সংকেত ধ্বনির মধ্যে একটি অন্যতম প্রধান সংকেত বলে মনে করা হয়। এই নিরিখে বিচার করতে গেলে র্যাঁবো-র এক সুযোগ্য প্রতিযোগী খুঁজে বের করা দুঃসাধ্য কাজ। ‘মাতাল তরণী’ এক মহাকবিতা সন্দেহ নেই, কিন্তু, অন্তত ফরাসি কাব্যের অতি উন্নত প্রেক্ষিতে, তত বৈপ্লবিক ঘটনা নয়। এই দীর্ঘ কবিতাটি রচনার দু’বছর পর, লেখকের মাত্র আঠারো অথবা উনিশ বছর বয়সে, কাব্যশাস্ত্রের সমস্ত নিয়ম-কানুন, পিঞ্জর-প্রাচীর চূর্ণবিচূর্ণ করে কীভাবে ‘নরকে এক ঋতু’ রচিত হল তার রহস্য কোনও দিনই ভেদ করা যাবে না, কারণ ‘মাল্ডরোর’ রচয়িতা লত্রেআঁমঁ ব্যতীত তাঁর কোনও পূর্বগামী হয়তো নেই। আমরা যদি সত্যিই রহস্যভেদ করতে চাই, তা হলে র্যাঁবো-র লেখা চিঠিপত্রে ফিরে যেতে হবে, যেখানে তাঁর কাব্যাদর্শ তিনি লিপিবদ্ধ করে গিয়েছেন; ইন্দ্রিয়চেতনার শৃঙ্খলাকে অবিন্যস্ত, একেবারে ওলট-পালট করে ফেলতে হবে, তবেই কবি অজানার পথে (লি’নকননু) পাড়ি দিতে পারবেন। বলা বাহুল্য, প্রাণঘাতী এই মতাদর্শ এমনকী র্যাঁবোর তুল্য এক নির্ভীক অভিযাত্রীও আজীবন অনুসরণ করতে পারেননি। তাঁর উত্তরজীবন অনুসরণ করলে আমরা লক্ষ করব, অধ্যবসায়ের দ্বারা তিনি অর্থাভাব কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলেন, নিজেকে এক সফল বণিকে উন্নীত করতে পেরেছিলেন, সংসার পেতে এক স্বাভাবিক জীবনযাপন করতেও চেয়েছিলেন। তাঁর পায়ের সংক্রমণ যখন তাঁর জীবনকে বিপন্ন করছে তখন সামান্য সুচিকিৎসার জন্য তাঁর মর্মান্তিক চেষ্টার কথা ভাবলে দু’চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। আমাদের মনে পড়ে যায় ব্রুনো-র কথা; ধর্মপ্রতিষ্ঠানের দীর্ঘ বাহু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গোটা মহাদেশে দৌড়ে বেরিয়েছেন শিক্ষকতার একটা চাকরির আশায়, নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণ করার জন্য যুক্তির-পর-যুক্তি সাজিয়েছেন। এই অতিবালকেরা জানতেন এবং পারতেন বহু কিছু, কেবল সাধারণ জ্ঞানের একটি সরল প্রশ্নের সরলতর উত্তর তাঁদের ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। দ্রষ্টাদের জন্য, এ-পৃথিবী নিরাপদ আশ্রয় নয়।
অতিবালকদের অপার্থিব সভাস্থলে আমাদের শেষ নির্বাচন- ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করা এবং ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র তিন মাস পূর্বে, ২১ বছর বয়সে প্রয়াত সুকান্ত ভট্টাচার্য। এই বিশেষ নামটি উল্লেখ করার সঙ্গে-সঙ্গে অনুমান করা যায় যে, মতবিরোধের একটা বাতাবরণ তৈরি হতে চলেছে। ছয়ের দশকে প্রত্যেক বাঙালি কিশোরের ইশকুল ব্যাগে ‘ছাড়পত্র’-র এক কপির জন্য জায়গা রাখা থাকত, তবু মানতেই হয় বিগত ৩০-৪০ বছরে বাংলা কবিতা যেদিকে ঘুরে গিয়েছে- সেখানে সুকান্ত ভট্টাচার্য ঈষৎ পরিত্যক্ত, মলিন হয়ে আসা একটি ‘আইকন’। তাঁর ওই অবিস্মরণীয় পঙক্তিগুলো- “দম-আটকানো কুয়াশা তো আর নেই/ নেই আর সেই বিশ্রী তুষার-বৃষ্টি,/ সূর্য ছুঁয়েছে ‘ভূস্বর্গ চঞ্চল’/ সহসা জেগেই চমকে উঠেছে দৃষ্টি”- যারা একসঙ্গে বই-ভাগাভাগি করে পড়ত, তারা শূন্যে মিলিয়ে গিয়েছে, আজকের তরুণের বুকে এই লাইনগুলো কোনও কম্পন আর তুলতে পারে না। সত্যিই তো, সুকান্ত ভট্টাচার্যর ‘আঠারো বছর বয়স’-এর সঙ্গে একই বয়সে রচিত র্যাঁবো-র কোনও লেখার প্রতিতুলনা করা চলে কী! তবু বাঙালি জীবনের সঙ্গে অতিবালক সুকান্ত ভট্টাচার্যর গভীর সম্পর্কটি কোনও দিন ছিন্ন হওয়ার নয়, কারণ তিনিই সর্বপ্রথম যিনি পূর্ণিমার চাঁদে ঝলসানো রুটির ওই ভীতিপ্রদ চেহারাখানা দেখতে পেয়েছিলেন। ভাষা একজায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে না, সমাজ বদলায়, পুরাতন দৃষ্টিকোণ পালকের মতো উড়ে যায়, কিন্তু ছবি রয়ে যায়, প্রতিমার মৃত্যু নেই, মহাকবি র্যাঁবো-নন্দিত লে ইলিউমিনেসিঅঁ রয়ে যায়।
(পূর্ব প্রকাশিত)