
সা বি না ই য়া স মি ন -এর কবিতাগুচ্ছ
অথৈ জল ও সাম্প্রতিক ঘটনাবলী
লাশগুলো সরিয়ে নাও
শেক্সপিয়ার পড়ছি। পড়া শেষে অনেক লিখতে হবে। অনেক নাটক। অনেক মঞ্চস্থ।
অনেক পুরষ্কার। অনেক সম্মাননা – মনোযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে। বার বার হচ্ছে।
লাশগুলো সরিয়ে নাও !
একটা সাদা ক্যানভাস এর সামনে ঠাঁই কেটে যাচ্ছে প্রহর।
হাতে রঙ তুলি সবুজ নীল গেরুয়া লাল – কখন কোন্ রঙ agoradesign.it দিয়ে
কোন্ কোন্ ছবি আকঁব সবই গুলিয়ে যাচ্ছে বার বার – সামনে প্রচুর প্রদর্শন,
প্রচুর কদর, প্রচুর সম্ভাবনা খ্যাতির।
লাশগুলো সরিয়ে নাও চোখের সামনে থেকে কেউ তোমরা !
আর কিছুক্ষণ পরেই ‘দেশ দেখাচ্ছ অন্ধকারে’ এই বিষয়টি নিয়ে
একটি তুমুল তুখোড় আলোচনা শুরু হবে কবি সম্মেলন মঞ্চ জুড়ে
চলছে তারই চুড়ান্ত প্রস্তুতি – অগণিত দর্শক, অজস্র অসংখ্য শ্রোতা, প্রচুর হাততালি –
লাশগুলো সরিয়ে নাও দয়া করে !
সর্ষে ফুল
যতদূর যেতে পারা যায় যাও
উঠোন ছাড়িয়ে,
হাত ভর্তি শূন্যতা চারাগাছ হয়ে জন্মাবেই ঠিক একদিন।
নিরাপদ কুঠুরিতে সুখী সুখী মুখগুলো দেখে
নগ্ন মেয়ে হেঁটে যায় –
ইতরের দিকে ছোঁড়ে ঘৃণা !
আমার জবানবন্দীর জন্য কেউ দায়ী নয় !
গভীর অসুখ
অন্ধকার একটি গভীর অসুখের নাম
প্রতিদিন সংক্রামিত হচ্ছি।
দৈনন্দিন বাঁচা সইয়ে নিচ্ছে এ অসুখ
কীভাবে এবং কেন এর জন্ম হল
উত্তর লেখা থাকে আমাদের একে অপরের চেয়ে থাকার কপালে।
কপাল বেয়ে নেমে আসে আরও গভীর অন্ধকার।
এ অসুখ সেরে ওঠার নয় ।
শূন্য হাতে বার বার ফিরে আসে সময়
ছুঁয়ে গেছে গা কেউ, বুলিয়ে দিয়েছে সোনার কাঠি
সেই থেকে লুকিয়ে রয়েছি হীরের খনিতে।
এ অসুখ সেরে ওঠার নয় –
গভীর অসুখের পাশে গভীর অন্ধকার – মুখোমুখি।
বিভোর
যেখানে আমাকে খুঁজে পাওয়া যেত সে পথ মাড়ায়নি কেঊ। দূর ও দূরবর্তী আকাশ পারের খবর এসেছে আপন নিয়মে – তবুও বদলায়নি
কোনো কিছুই। শুধরেও নেওয়া হয়নি যা কিছু শোধরানো যেত।
অপেক্ষা নাকি মায়া নাকি ভালোবাসার টান আমাদের বোবা বানিয়ে দেয় – সেও বুঝে ওঠা হয়নি এতোকাল।
এতোকাল শুধু ঘোর আগলে রেখেছি। এতোকাল আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা পাওয়ার কথা।
অথচ এখনো আমরা প্রতিদিন প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছি -প্রাণান্তকর প্রমাণ দিতে দিতে পিছিয়েও পড়ছি প্রতিদিন।
পান্তাভাত ও বাসি রুটির সাথে ক্ষিদেটুকু মিটে যায় ঠিক, নানা অছিলায়, অবহেলায় কেটে যায় বহু বহু বছর বহু বহু যুগ।
সুরাহা তোলা থাকে রেশনের লাইনে !
জীবন রয়ে যায় বাজি, কোনো এক দিগন্ত বিলীন চিলেকোঠায় নিরুদ্দেশ থেকে যায় ইচ্ছেরা।
আদিম উদ্বাস্তের তকমা পায় – স্বপ্ন যত।
কী লিখিত কী অলিখিত সবই অমুল্য অধরা আবহমান।
খুব ভালো