শুভম চক্রবর্তীর কবিতা


কেঁপে উঠছি আমি

কেঁপে উঠছি আমি। মায়ের পায়ের কাছে এতটুকু মিটমিটে শিখা। আমার জন্মের পর, পাখিরাও চঞ্চল হয়েছে। ত্রস্ত উড়ালপথ পার হয়ে আজ যেন তারা। তারাহীন আলোহীন অন্ধকার কোনো লোকে যাবে। বাকিরা খুঁড়িয়ে যাবে, কেউ-বা লাঠিতে ভর দিয়ে। লাট্টুর ঘূর্ণির মত পাক পাক খেতে অবশেষে, প্রগাঢ় নিকষ কোনো তরল অতলে ডুবে যাবে। ডোবার খানিক আগে সমবেত করুণ আর্তিতে, ভেদাভেদ মুছে দিয়ে সব একাকার ক’রে দিয়ে, বলবে সমস্বরে– ‘ এতদিনে প্রলয় জন্মালো। ‘

ফোলা গোলগাল নরম নিকষ

পাড়াবেড়ানি পাড়াবেড়াতে যাওয়ার আগে বলে যাও ভালোবাসো কিনা। সেবার বৈশাখী পূর্ণিমায় গুয়ের গন্ধে তোমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। কী ব্যাজস্তুতি, কী পুনরুক্তবদাভাস সেদিন, যেমন আজও। তারপরেও গ্রীষ্মের রোদে ফুটিফাটা চাতালের ভাঁপ-ওঠা অবসরে তোমার শাঁসালো তরমুজের লাল আভায় সূর্যাস্তের চড়ুইভাতি। আমি কি এবার যাচ্ছেতেই বখে যাব, তাড়া আছে, পাড়াবেড়ানি বলে যাও । পাখি ও পোকামাকড়ের ভাষায় বলে যাও ভালোবাসো কিনা। মানুষের ওপর বিশ্বাস হারানো নাকি পাপ আর কুকুরের ওপরও৷ ভাদ্রের প্রখর রোদে উল্টেপাল্টে উল্টোপাল্টাকে কী আমরা ভ্রান্তিমান বলে ডাকব৷ আর সাদৃশ্যবাচক উপমায় ভরিয়ে তুলব তোমার যা কিছু। পাড়াবেড়ানি মানুষের ভাষার বিরুদ্ধে উৎকেন্দ্রতায় আমি কুকুরের শব্দে, বেড়ালের শব্দে, কেন্নোর শব্দে তোমায় ভালোবাসতে চাই। সম্ভব প্রস্তুত থেকে অসম্ভব অপ্রস্তুতের বালখিল্য চৌদোলায় চড়িয়ে আমায় নিয়ে চল গন্তব্য অবধি, এক অংশ চার অংশ হয়ে দাও কাঁধ। কিন্তু গন্তব্য কোথায়, মননের মধু ও মাংস থেকে বধূ ছিদ্দিবিদ্ধি ধোঁয়া উঠছে, ছাগলের মুতের মত ছিরিকছিরিক ক’রে বৃষ্টি নেমে এলো। ভাষার কোনো ছিরিছাঁদ নেই। তোমার সৌন্দর্য কী গুয়ের গন্ধের থেকে অপর কোনো সাজানো প্রস্থান। ফোলা গোলগাল নরম নিকষ।

মাঝেমধ্যে এ জীবন থেকে

মাঝেমধ্যে এ জীবন থেকে ছুটে-ছিটকে পালাতে ইচ্ছে হয়। বাঁড়া থেকে যে’রকম রস ছিটকে গিয়ে লাগে বাথরুমের স্যাঁতানো কৌণিকে। সে’রকম দূরে যাই নারকোল গাছের মুখ সারাক্ষণ আকাশের দিকে পেতে রাখা। এবার তো ঝমঝমিয়ে বর্ষা হবে। আনখাই আনকোরা মেঘে গত্তি হয়ে ফুলে উঠবে সোমত্ত মাগিরা। নারকোল গাছের পাতা যেন জিভ হয়ে চাটবে গন্ধওয়ালা গুদের বর্ণালি। তারপর গাঁয়ের মেয়ে অন্য গায়ে ফিরে যাবে বরের সাইকেল-শিটে বসে। বাঁশের চ্যাঙারী ভরে চ্যাঙব্যাঙ ফালতু আঁশে পিছলে যাবে উল্টে যাবে আকাশপাতাল। উঠোনে সাদার থেকে আরও খদখদে সাদা মাংসপিণ্ড পচে গিয়ে আবাদ সুযোগ দেবে একফালি-দু’ফালি।কতগুলো শক্ত পা কাদায় দাপাচ্ছে দেখে মনখারাপ হয়ে যাবে খালি।

ছোটবেলায় ধুলো ও কাদায়

ছোটবেলায় ধুলো ও কাদায় জাম্পিং বল নিয়ে খেলেছি অনেক। কত বর্ষা কত শীত কত দাবদাহ৷ শিশুর আশ্চর্য মনে জাম্পিং বলের ঝাপ দোলা দিয়ে গেছে। তারপর ক্যাম্বিস এসে দখল করেছে তার স্থায়ী পরিসর। বালকবয়স শুধু ভরে আছে ক্যাম্বিসের সবুজাভ স্নেহে। মাঝেমধ্যে কৌতুহলে বড়দের কাছে চেয়ে ডিউজও দেখেছি। শক্ত পাথরের মত কী যে মারাত্মক টান তাতে। খেলেছি যখন এক ভীরু ভীরু দোটানাও ছিল। এবং অভ্যস্ত হয়ে এখন জড়তা কেটে গেছে। মাঠের সামনে দিয়ে ধীরপায়ে হেঁটে যাচ্ছো তুমি। ক্রমবিকাশের সাক্ষ্য ভরে নিয়ে ন্যাতানো ঝুলিতে।

পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে

পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে দেখেছি পাহাড় থেকে শুঁয়োপোকা খসে পড়ে যেতে। অথর্ব, নিশ্চল হয়ে কিছুক্ষণ বসে থেকে, ফিরে গেছি পাহাড়স্থ কাঠের মোকামে। কাঠের পুতুল আর কাঠের জগন্নাথ, কাঠেরই অচল চলাচলে। ব্যক্ত তিরস্কারধ্বনি বিদীর্ণ বেরিয়ে আসে কাঠ নাকি নির্জ্ঞান থেকে৷ জৈবের উল্টোপীঠে জড়তা সক্রিয় হয়। কাঠের মোকাম থেকে খসে পড়ে গেছে আমি, শুঁয়োপোকা এবং প্রত্যেক।

CATEGORIES
TAGS
Share This
demon slauer rule 34 lena the plug leak amateurtrheesome.com cumming in milfs mouth mujer haciendo el amor a un hombre, belle delphine of leaked emma watson in porn xxxamat.com big booty in public hidden cam gay sex, sit on face porn g a y f o r i t forcedpornanal.com please screw my wife female celebrity sex tapes