রূপকথার চলচ্ছবি – আমাদের খোঁজে আমরা? <br /> জয়ন্ত ভট্টাচার্য

রূপকথার চলচ্ছবি – আমাদের খোঁজে আমরা?
জয়ন্ত ভট্টাচার্য

পূর্ব বাংলার দুর্গম থেকে দুর্গমতর অঞ্চলে দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার যখন কর্দমাক্ত পথে বেশিরভাগ সময়ে পায়ে হেঁটে, কখনো ঘোড়ায় চড়ে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে ঘরে ঘরে ঢুকে সাতরাজার ধন “ঠাকুরমার ঝুলি”-র মণি-মানিক্য সংগ্রহ করছেন তখন তাঁর সবচেয়ে বড়ো দুজন মানসিক পৃষ্ঠপোষক ছিলেন দীনেশচন্দ্র সেন এবং স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। এ বই প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯০৭ সালে – ঘোর জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের উদ্ভাস। বইটির ভূমিকায় রবীন্দ্রনাথ লিখলেন –“ঠাকুরমার ঝুলিটির মত এত বড় স্বদেশী জিনিস আমাদের দেশে আর কি আছে?

সম্ভবত গোর্কির লেখা “ইতালির রূপকথা”-য় পড়েছিলাম সেই স্তব্ধ করে দেওয়া কাহিনী। এখন যতদূর মনে পড়ে অস্কার ওয়াইল্ডের একটি গল্পেও এরকম এক কাহিনীর বর্ণনা ছিল। বনের মাঝে এক কাঠুরে যুবক ওর প্রাণাধিক প্রিয় মাকে নিয়ে দিন কাটাতো কোনভাবে। বনের ওপারে বা শহরে এক অসামান্য রূপবতী মেয়ের সাথে তার যোগযোগ ঘটে। জীবনের নিয়মেই ছেলেটি মেয়েটিকে তার প্রণয় জ্ঞাপন করে। এর চেয়েও স্বাভাবিক নিয়মে মেয়েটি তাকে প্রত্যাখ্যান করে। শেষ অবধি অনেক সানুনয় প্রার্থনার পরে মেয়েটি রাজি হয় একটি শর্তে – যদি ছেলেটি তার প্রাণের চেয়েও প্রিয় মা-র হৃৎপিণ্ড হাতে করে এনে দিতে পারে। এরপরে এক ঘনঘোর দুর্যোগের রাতে, বাইরে যখন মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে, বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, ব্জ্রপাত হচ্ছে, সেসময়ে মার বিস্মিত দৃষ্টির সামনে, অবোধ অনুভূতিকে সাক্ষী করে মা-কে হত্যা করে তার হৃৎপিণ্ড দুহাতের মুঠোয় ধরে ছেলেটি রওয়ানা দিল তার প্রণয়িনীর উদ্দেশ্যে। ঘনঘোর অন্ধকারের মাঝে গাছের শেকড়ে পা আটকে ছেলেটি পড়ে গেল। ওর হাত থেকে হৃৎপিণ্ডটি ছিটকে পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে গেল। জোনাকি হয়ে টুকরোগুলো জ্বলতে লাগলো। সবকটা নানা দিক থেকে ছেলেটিকে আদর করে, স্নেহার্দ্র স্বরে বারবার শুধোতে থাকলো – “বাছা! তোর লাগেনি তো?”
এভাবেই নাকি পৃথিবীতে জোনাকির জন্ম! এরকম একটি রূপকথার জন্য হাজার মাইল পথ হাঁটা যায়। পরজন্মে একটুও বিশ্বাস না করেও অনেকবার জন্ম নেবার আকুতি রক্ষা করা যায়।
আহা! এমনটা যদি হত – চারপাশের জোনাকিরা জিজ্ঞেস করে চলেছে – “বাছা! তোর লাগেনি তো?” এমন এক জীবন যদি ফিরে ফিরে পাওয়া যায়!
আমারও এক নিজের জগৎ ছিল ছোটবেলায় (এখনও কি নেই? আর সবারও কি নেই?)। সেখানে ভূত ছিল, ভয় ছিল, স্বপ্নকাব্য ছিল, রূপকথার জলছবির চলে চলে যাওয়া, ভেসে ভেসে যাওয়া ছিল। সাড়ে পাঁচ দশক আগে আমরা যে স্কুল কোয়ার্টার্সে থাকতাম সেখানে বারান্দা থেকে মাত্রই হাত দশেকেরও কমদূরত্বে দেয়ালের গা ঘেঁষে ছিল একটি টিউবওয়েল। আর দেয়ালের গায়ে ছিল এক অস্পষ্ট অনির্দিষ্ট আকৃতির একটি কালো দাগ। আমী সন্ধে হলেই দেখতাম একটা মাথা দেখা যাচ্ছে সে দাগের মধ্য দিয়ে, এমনকি কখনো কখনো চোখও। আমি কি করি তখন? আমার ওইটুকু প্রাণ নিয়ে? আরো অনেকদিন পরে পড়লাম –
“চিড়িয়াখানায় নাম জানো তো, আমার সেজোমেসোর
আদর করে দেখিয়েছিলেন পশুরাজের কেশর।
কদিন পরে চুন-খসানো দেয়াল জুড়ে এ কি!
ঠিক অবিকল সেরকমই মূর্তি যেন দেখি’।”
তখনতো আর আমি জানিনা “আকাশপারে আবারও চোখ” আটকে গেলে “শরৎ মেঘে দেখতে পেলাম রবীন্দ্রনাথকে” পৃথিবীতে ঘটেই চলেছে। ট্রেন যখন ছুটে চলে তখন “একেকরকম ভঙ্গী ফোটে একেকরকম নাচে”। কিন্তু ওগুলোকে চিত্রনাট্য বললে মিথ্যে কথার সামিল হয়, বকুনি খেতে হয়। এমনি করে ভোরেরে কুয়াশার মতো নিঃসারে কাউকে না জানিয়ে, কাউকে বুঝতে না দিয়ে, দেখতে না দিয়ে সরে যায়, মরে যায় রূপকথা।
মরে কি যায়?
“গড়গড়ের মা লো, গড়গড়ের মা,
তোর গড়গড়েটা কৈ?
হালের গরু বাঘে খেয়েছে,
পিঁপড়ে টানে মৈ !”
কিংবা
“ও জামাই খেয়ে যা রে
সাধের নতুন তরকারি,
শিলভাতে, নোড়াভাজা,
কোদাল চড়চড়ি !”
এরকম এক কাব্য মুহূর্তে আমাদের স্মৃতিও আবার জেগে ওঠেনা? সময়ের প্রবাহে বয়ে যাওয়া, চুপিসারে লুকিয়ে থাকা রূপকথার সেই বহুরঙ্গা ভুবন?
Solomon Grundy,
Born on a Monday,
Christened on a Tuesday,
Married on a Wednesday
Ill on Thursday Worse on Friday
Died on Saturday
Buried on Sunday.
That was the end of Solomon Grundy.
এ চিত্রের মাঝে কিছুটা রুক্ষতা আছে, হয়তো বা নির্দয়তাও। এর তুল্য আমাদের একটি ছড়া পড়ি একবার।
“সোমবারেতে আনবে ছানা দোকান হতে কিনি,
মঙ্গলেতে পেস্তা বাদাম, আনবে কাশীর চিনি।
বুধবারে চড়িয়ে কড়া আগুন দিবে জ্বেলে,
বেস্পতিতে ছানা চিনি, মিশিয়ে দেবে ঢেলে।
শুক্রবারে খুন্তি নাড়ার টুং-টাং সুর,
শনিবারে চৌদিকেতে সুগন্ধে ভরপুর !
রবিবারে নাইকো পড়া বই রাখো তুলে,
উৎসাহেতে লেগে যাও হাঁড়ির ঢাকা খুলে।”
ভিন্নতর কোন ব্যঞ্জনা ছাড়া এক অমলিন খুশির আবেশ – তার ছলে সপ্তাহের দিনগুলো জেনে নেওয়া। এখানে রূপকথার মতোই একটি চিত্রকল্প জন্ম নেয়। এ উপহার থেকে কি করে, কেন বঞ্চিত করছি আমরা শিশুদেরকে? আমাদের নিজেদেরকেই কি ঠকিয়ে যাচ্ছিনা একই সাথে? রবীন্দ্রনাথের “ছেলেভুলানো ছড়া” থেকে দু-একটি ছড়া আমরা পড়তে পারি।
“পুঁটু নাচে কোন্‌খানে।
শতদলের মাঝখানে।
সেখানে পুঁটু কী করে।
চুল ঝাড়ে আর ফুল পাড়ে।
ডুব দিয়ে দিয়ে মাছ ধরে।।”
কিংবা
“ধন ধোনা ধন ধোনা।
চোত-বোশেখের বেনা॥
ধন বর্ষাকালের ছাতা।
জাড় কালের কাঁথা॥
ধন চুল বাঁধবার দড়ি।
হুড়কো দেবার নড়ি॥
পেতে শুতে বিছানা নেই।
ধন ধুলোয় গড়াগড়ি॥
ধন পরানের পেটে।
কোন্‌ পরানে বলব রে ধন
যাও কাদাতে হেঁটে॥
ধন ধোনা ধন ধন।
এমন ধন যার ঘরে নাই তার বৃথায় জীবন।।”
কিংবা
“ইকড়ি মিকড়ি চাম-চিকড়ি, চাম কাটে মজুমদার।
ধেয়ে এল দামুদর॥
দামুদর ছুতরের পো।
হিঙুল গাছে বেঁধে থো॥
হিঙুল করে কড়মড়।
দাদা দিলে জগন্নাথ॥
জগন্নাথের হাঁড়িকুঁড়ি।
দুয়োরে বসে চাল কাঁড়ি॥
চাল কাঁড়তে হল বেলা।
ভাত খাওসে দুপুরবেলা॥
ভাতে পড়ল মাছি।
কোদাল দিয়ে চাঁচি॥
কোদাল হল ভোঁতা।
খা ছুতরের মাথা।।”
পূর্ব বাংলার দুর্গম থেকে দুর্গমতর অঞ্চলে দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার যখন কর্দমাক্ত পথে বেশিরভাগ সময়ে পায়ে হেঁটে, কখনো ঘোড়ায় চড়ে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে ঘরে ঘরে ঢুকে সাতরাজার ধন “ঠাকুরমার ঝুলি”-র মণি-মানিক্য সংগ্রহ করছেন তখন তাঁর সবচেয়ে বড়ো দুজন মানসিক পৃষ্ঠপোষক ছিলেন দীনেশচন্দ্র সেন এবং স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। এ বই প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯০৭ সালে – ঘোর জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের উদ্ভাস। বইটির ভূমিকায় রবীন্দ্রনাথ লিখলেন –“ঠাকুরমার ঝুলিটির মত এত বড় স্বদেশী জিনিস আমাদের দেশে আর কি আছে? কিন্তু হায় এই মোহন ঝুলিটিও ইদানীং ম্যাঞ্চেস্টারের কল হইতে তৈরী হইয়া আসিতেছিল। এখনকার কারে বিলাতের “Fairy Tales” আমাদের ছেলেদের একমাত্র গতি হইয়া উঠিবার উপক্রম করিয়াছে। স্বদেশের দিদিমা কোম্পানী একেবারে দেউলে।”বললেন, “বাঙ্গালীর ছেলে যখন রূপকথা শোনে তখন কেবল যে গল্প শুনিয়া সুখী হয়, তাহা নহে – সমস্ত বাংলাদেশের চিরন্তন স্নেহের সুরটি তাহার তাহার তরুণ চিত্তের মধ্যে প্রবেশ করিয়া, তাহাকে যেন বাংলার রসে রসাইয়া লয়। …. বিলাতী কলমের যাদুতে রূপকথায় কথাটুকু থাকিলেও সেই রূপটি ঠিক থাকে না; সেই চিরকালের সামগ্রী এখনকার কালের হইয়া উঠে।”
রূপকথা থেকেই রস এবং চিত্রকল্প নিয়ে সৃষ্টি করলেন –

“তেপান্তরের পাথার পেরোই রূপ-কথার
পথ ভুলে যাই দূর পারে সেই চুপকথার –
পারুলবোনের চম্পারে মোর হয় জানা মনে মনে।।
……………………………………………………
পরীর দেশের বন্ধ দুয়ার দিই হানা মনে মনে।।”

১৯শ শতকের সংস্কৃত স্কলার ম্যাকডোনেল তাঁর History of Sanskrit Literature-এ ভারতীয় রূপকথার পশ্চিমী বিজয়ের কাহিনীও উল্লেখ করেছেন বেশ জোর দিয়ে। যাক সে কথা। আধুনিক সময়ে রূপকথার একটুখানি ছোঁয়া দিয়ে যায় এ সময়ের এক উপন্যাসে – “নীলাকাশ কি আগে আর দেখে নি বিনু? আকাশ যে এত উজ্জ্বল, এত ঝকঝকে, নীলকান্ত মণির মতো এমন দীপ্তিময় হতে পারে কে জানত! তার গায়ে থোকা থোকা ভারহীন সাদা মেঘ জমে আছে। শরৎকালটা যেন সবটুকু বিস্ময় নিয়ে বিনুর সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।” (প্রফুল্ল রায়, কেয়া পাতার নৌকো)

কিংবা আধুনিক মনন, বৌদ্ধিক বিস্তার এবং রূপকথাধর্মী ছড়ার এক অনবদ্য উদাহরণ আমাদের সুকুমার রায়।

“কেউ কি জান সদাই কেন বোম্বাগড়ের রাজা –
ছবির ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখে আমসত্ত্ব ভাজা?
রানীর মাথায় অষ্টপ্রহর কেন বালিশ বাঁধা?
পাঁউরুটিতে পেরেক ঠোকে কেন রানীর দাদ?
কেন সেথায় সর্দি হলে ডিগবাজি খায় লোকে?
জোছনা রাতে সবাই কেন আলতা মাখায় চোখে?
…..
সিংহাসনে ঝোলায় কেন ভাঙা বোতল শিশি?
কুমড়ো নিয়ে ক্রিকেট খেলে কেন রাজার পিসী?”

“বাছা! তোর লাগেনি তো?” দিয়ে শুরু হয়েছিল এ লেখা। সেরকম এক রূপকথার মতো কাহিনী রচিত হয়েছিল হিটলারের বুখেনওয়াল্ড কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে। Bruno Apitz-এর লেখা Naked Among Wolves উপন্যাসে। অতি সংক্ষেপে ঘটনাটি এরকম। কোনভাবে এক সুটকেস বন্দী হয়ে একটি ছোট শিশু ক্যাম্পে এসে পৌঁছয়। যখন একের পরে এক বন্দীকে গ্যাস চেম্বারে মেরে ফেলা হচ্ছে তখন এই দেবশিশুটি জীবনের প্রতীক হয়ে ওঠে। এর হাত থেকে তার হাত – এভাবে হাত বদল হতে হতে এই জীবন কণা বেঁচে থাকে। ও নিজেও লুকিয়ে থাকার কৌশল রপ্ত করে ফেলে। এরপরে সোভিয়েত আর্মির আক্রমণে এবং ক্যাম্পের গুপ্ত রেজিসট্যান্স স্কোয়াডের যৌথ আক্রমণে ক্যাম্পের ব্যারাকগুলো পরের পর নাৎসী ঘাতকদেরনিজেদের কিলিং ফিল্ড হয়ে দাঁড়ায়। বন্যার মতো বন্দীরা বেরোতে থাকে। উপন্যাস শেষ হচ্ছে এভাবে –

Suddenly Kropinski ran off, holding out the child in front of him, towards the gate, into the raging flood.
“Marian!” Hofel called after him. “Where are running to?”
But the vortex had already swallowed him up.
Kropinski raised the crying bundle over his head so that it should not be crushed in the irrepressible torrent.
The child bobbed like a nutshell above the surging above the surging heads.
It twirled in the eddy through the narrows of the gate. The current swept it along on its liberated billows, which were no longer to be restrained.

আরেকটি রূপকথার চলচ্ছবি নির্মিত হল বোধহয় – ডিজিটাল দুনিয়ার অমানবিক আখ্যানের বাইরে। এরকম রূপকথার সন্ধানেই আমাদের চরৈবেতি!

CATEGORIES
TAGS
Share This

COMMENTS

Wordpress (41)
  • comment-avatar
    পার্থ সারথি 4 years

    খুব ভালো লেখা, জয়ন্ত ভট্টাচার্যের লেখার মুন্সিয়ানা এবং বহুমুখী বিস্তার মুগ্ধ করে।

  • comment-avatar
    Amlan 4 years

    Wonderful read on a lazy Sunday Morning to take me to my childhood days! Thank you

  • comment-avatar
    অভিভূত 4 years

    অসাধারণ লেখা।

  • comment-avatar
    Gairik Ganguly 4 years

    Khub bhalo laglo. Kintu interner bistar amader saisab kere nilo. Ekhon english medium er doulate bacchader ar bangla rupkotha parano hoi na. Amra number er pichone chutchi.

  • comment-avatar
    Soumya Panigrahi 4 years

    বাংলা সাহিত্যে একদম ছোটোদের জন্য ভালো ও মৌলিক কিছু এখন আর কেউ লেখে না – এটা একটা গভীর অসুস্থতা 

  • comment-avatar
    Bipasa Sen 4 years

    খুব খুব সুন্দর লেখা।

  • comment-avatar
    Dr. Debraj Chakraborty 4 years

    অসাধারণ লেখা। তথ্যবহুল ও বিশ্লেষণাত্মক।

  • comment-avatar
    Jayanta Bhattacharya 4 years

    সবাইকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ!

  • comment-avatar
    Goutam Chakraborty 4 years

    অসাধারণ। শৈশবকে ফিরে পেলাম। কৈশোরকে অনেকটাই। কিন্তু হায়। আমার ছেলে ঠাকুরমার ঝুলি জানেনা। গল্প দাদুর আসর শোনেনি। ফেলুদা কিরিটি ব্যোমকেশ তাদের কাছে মহাজাগতিক নক্ষত্র। চেষ্টা চরিত্র করে ফেলুদার প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়েছে। হয়তো সেখানে চলচ্চিত্রের কিঞ্চিৎ প্রভাব রয়েছে। জেনারেশন গ্যাপ তীব্র গতিতে হয়ে গেল। এই লেখার সামাজিক ভ্যালু আমার কাছে বিরাট হলেও পরবর্তী প্রজন্মের কাছে শূন্য। এটাই ভয়ঙ্কর বাস্তবতা।

  • comment-avatar
    Sujoy Chanda 4 years

    ভালো, খুব সুন্দর লেখা

  • comment-avatar
    তমা দাস 4 years

    নতুন তথ্য পেলাম। ধন্যবাদ।

  • comment-avatar
    sumit das 4 years

    জয়ন্তদা,
    দারুন লেখা। কিন্তু ‘ইকড়ি মিকড়ি চাম চিকড়ি…’শেষ লাইনে আমরা বলতাম ‘খা কামারের মাথা’ কারন কোদাল কামার বানায় ছুতোর নয়।

    • comment-avatar
      Jayanta Bhattacharya 4 years

      এসব ছড়ার অনেকগুলো ভার্সন আছে। তার একটা আমি নিয়েছি।

  • comment-avatar
    সুকুমার ভট্টাচার্য্য 4 years

    চমৎকার লাগল। ইতিহাস খুঁজেছেন দারুণ ভাবে। ধন্যবাদ ডঃ জয়ন্ত ভট্টাচার্য।

  • comment-avatar
    মণীশ দাস 4 years

    তথ্যসমৃদ্ধ লেখা। রূপকথার বিশ্লেষণের মাধ্যমে এক অন্য ইতিহাস ফুটে ওঠে। লেখককে ধন্যবাদ ও শ্রদ্ধা!

  • comment-avatar
    Arghya+Bandyopadhyay 4 years

    মন ভালো করে দেওয়া লেখা, তোমার লেখা যত পড়ি তত মুগ্ধ হয়ে যাই।

  • comment-avatar
    Kanchan Mukherjee 4 years

    অনবদ্য রচনা। একমুঠো শৈশব খুঁজে পেলাম। 
    এসব ছড়ার সাথেই যে মিশে আছে আমাদের সুন্দর অতীত! 

  • comment-avatar
    Pradip Das 4 years

    অনবদ্য লেখা। সংগ্রহে রাখার মতো। লেখককে অনেক সাধুবাদ।

  • comment-avatar
    সুগত 4 years

    ভারী সুন্দর লেখা। ছোটবেলার শোনা কথার অন্যরকম অর্থ এলো। তবে আমার ছোটবেলার শেষ লাইন – “খ্যাঁকশিয়ালের মাথা”!

  • comment-avatar
    দেবলীনা 4 years

    এটা একদম অন্যধরনের লেখা। দারুণ।

  • comment-avatar
    সুশান্ত পাল 4 years

    রূপকথা আমাদের জীবন্মৃত অতীত। সোনার কাঠির স্পর্শে তাকে জাগিয়ে তুলবে কে? বোধহয় ঝকঝকে আলো, অনিস্তার গতি আর বৈদ্যুতিন সমাজ মাধ্যমে সব হারিয়ে গেল! হারিয়েছে সে বহুকাল। আপনি আজ হারানোর বেদনা জাগালেন।

  • comment-avatar
    Soumya Chakraborty 4 years

    Khub valo laglo sir. Chotobela mone pore gelo.

  • comment-avatar
    Dr Ansuman Dikpati 4 years

    খুব ভালো লাগলো। এক দারুণ ভ্রমণ লেখকের সঙ্গে, রূপকথা ও জীবনের দুনিয়ায়। ছোটোবেলা কে কিছুটা ফিরে পেলাম, অনেক কিছু জানতে পারলাম। এরকম লেখা আনন্দ দেয়, ঋদ্ধ করে…
    আরো এরকম লেখা চাই।

  • comment-avatar
    Atasi 4 years

    ভালো লাগলো, সারল‍্য আর জীবনের মেল বন্ধন….

  • comment-avatar
    Soumya+Panigrahi 4 years

    সুন্দর লেখা – ভালো লাগল

  • comment-avatar
    দেবলীনা 3 years

    অসাধারণ একটি লেখা

  • comment-avatar
    বর্ণালী দও 3 years

    কথার গল্প তো চিরকালই অমলিন থাকে। বাল্যকালের সেই স্মৃতি যা আজও মানুষের মনে ভীষণভাবে একটা ভালো লাগা সৃষ্টি করে। ধন্যবাদ তোমায় স্মৃতি জাগরণ করার জন্য।

  • comment-avatar
    Goutam Guha 2 years

    খুব সুন্দর লেখা

  • comment-avatar
    Goutam Guha 2 years

    খুব সুন্দর লেখা ভালো লাগলো

  • comment-avatar
    Goutam Guha 2 years

    অসাধারন লেখা

  • comment-avatar
    Goutam Guha 2 years

    Excellent 

  • comment-avatar
    Goutam Guha 2 years

    সত্যি সুন্দর লেখা

  • comment-avatar
    Goutam Guha 2 years

    অনবদ্য

  • comment-avatar
    Bani Dhar 2 years

    এককথায় অপূর্ব। খুব ভালো লাগলো পড়তে পেরে। এরকম আরো অনেক লেখা পড়তে পারলে ভালো লাগবে।

  • comment-avatar
    সুদীপ্ত কর্মকার 2 years

    অসাধারণ লেখা

  • comment-avatar
    ভাস্কর ভট্টাচার্য 2 years

    অনবদ্য। রূপকথার রূপ-রস সঞ্জীবিত এক অনন্য বার্তাবাহী লেখা। সময় খনন করা পাঠকের অন্তর্দৃষ্টি ফেরানোর লক্ষ্যে। বহুল পঠিত হোক।

  • comment-avatar
    Sudipta Karmakar 2 years

    অসাধারণ ❤️❤️

  • comment-avatar
    TARUN KUMAR DATTA 2 years

    রূপকথা ,কুকথা পড়ে না কে বলল।Folk lore এ masters তারা করে তারা প্রবঋদ্ধ শৈশবে পরীক্ষার উত্তর তৈরি করতে অধ্যাপকদের দেওয়া নোট মুখস্থ করে।জল তেষ্টা পেয়েছিল। ভাবলাম শেষ না করে খাব না।লেখাটা এমন‌ই হয়েছে।তবে সুকুমার রায়ের ছড়াটায় দাদ হয়েছে।দাদা হবে।একটা আ-কার পেলেই দাদা হয়ে যাবে।এখন জল খাব।

  • comment-avatar
    WALIUL ISLAM 2 years

    আবারো অভিভূত হলাম, জয়ন্ত দা। তোমার কলম চলতে থাকুক।♥️♥️

  • comment-avatar
    WALIUL ISLAM 2 years

    অভিভূত হলাম, জয়ন্ত দা। তোমার কলম চলতে থাকুক।♥️♥️

  • demon slauer rule 34 lena the plug leak amateurtrheesome.com cumming in milfs mouth mujer haciendo el amor a un hombre, belle delphine of leaked emma watson in porn xxxamat.com big booty in public hidden cam gay sex, sit on face porn g a y f o r i t forcedpornanal.com please screw my wife female celebrity sex tapes