
রাজকুমার রায়চৌধুরীর কবিতা
শূন্যের ভেতর
একটি অন্ধকার বন্দর শহরে আমাদের প্রথম দেখা। রাত্রি পড়ে আছে, সত্যের অধিক সত্যের মধ্যে লিখে রাখি সারাক্ষণ চমকের ত্রাস ও আমাদের চঞ্চল জীবনের অংশ। একটি লম্বা রাস্তা জুড়ে ময়ূর নামে খাবারের জন্য। তোমার করতল খুঁটে দীর্ঘ গ্রীবায় তোলে মায়াময় জ্যোৎস্নার রং। আলাপ হয়েছিল স্তব্ধতার সঙ্গে। সে কথা বলত বিশাল আকাশময়, একটি কথাও না বলে। বাতাস লাফিয়ে ওঠে…শূন্যের ভেতর। দিগন্তের গায়ে সবুজ গাছের ছায়া পড়ে। কাঙ্খিত কালো দেখি ধ্বংসের প্রান্তে। প্রার্থনা লিখে রাখি, লিখে রাখি বিচ্ছিন্নতা, ভয়ের কথা। শতাব্দীর পর শতাব্দী স্পর্শময় জীবন তোমাকে সমর্থন করেছি।
ভাঙা গান
কেবল খুঁজে পেতে ইচ্ছে করে সেই সম্পর্কটি। রঙিন বাতাসে হাসিমুখে ওড়ে তাঁতের শাড়ি…শীতের রোদ অপেক্ষা করে, শোনা যায় তাঁর কন্ঠে অনন্ত রূপের প্রকাশ। রবীন্দ্রনাথের ভাঙা গান পর্যায়ের যে দর্শন বা ঝোঁক, তার মধ্যে নিহিত রয়েছে এক আশ্চর্য আঁধার। তার স্পর্শ শরীরে প্রত্যক্ষ করেছি।