মনখারাপ করে বসে আছে অন্য একটি কবিতা <br />   রুমা তপাদার

মনখারাপ করে বসে আছে অন্য একটি কবিতা
রুমা তপাদার

নববর্ষ পাঠ-চক্র কাব্যগ্রন্থ : প্রথম বর্ষা, মালঞ্চ পাহাড়ে কবি : সমরেশ মণ্ডল প্রকাশক : কৃত্তিবাস প্রকাশনা মূল্য : ৪০ টাকা /আলোচনায় রুমা তপাদার

‘আমাদের তো রাত ছিল না, আমাদের দিনগুলিও
ছিল দিন অন্যরকম’
শুরুর কবিতা অবিচল উপলব্ধির কবি সমরেশ তার চঞ্চল শব্দ প্রয়োগ-কৌশলে অনবদ্য। আন্তরিকতার সহজ সরল উপলব্ধি তাঁর কবিতাগুলিকে সবসময়ই পাঠকের কাছে মর্মস্পর্শী করেছে। পরক্ষণেই লিখছেন,
‘মন দিয়েছি এমনি করে শব্দে শব্দে যেমন করে
দিচ্ছি আজ বিয়ে, ইতিহাসের আনন্দে আর
দুঃসহ সংকটে সব ভুলে যাই, আমাদের তো
রাত ছিল না, আমাদেরে দিনগুলিও শুধু জানি
তিনি আছেন অমিত কলম কালিও আছে’…
এরকম স্বীকারোক্তিতে পরিপূর্ণ একেকটি কবিতা শব্দে শব্দে বিবাহের আয়োজন করে। তথাপি সমাজ ও সময়মনস্ক কবিতায় মিষ্ট ভাষার মাঝেই রিক্ততার সুরও বেজে ওঠে যেন কীভাবে।
‘তবুও তো জন্ম হয় তবুও বিষাদ আসে
তবু ভুলে ভরা পথ ভীষণ ভাবেই হাঁটি’
রূপ নির্মিতির সৃষ্টিশীল প্রজ্ঞা, কালোমাটি-ঘাঁটা দুহাতের জোরে যেভাবে প্রতিদিন তিনি জেলা মিলিয়ে জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন অনায়াসে সেভাবেই তাঁর কবিতারা উওর থেকে দক্ষিণে উঠে এসেছে প্রতিনিয়ত। অগ্রজ কোনও কবির রচনায় এই মেলানোর উচ্চাবচ অবস্থিতি পাঠককে অবরুদ্ধ করে ছিল কিনা জানা নেই। অভিজ্ঞতা ও আগ্রহ তাকে কাল সচেতন করে তুলেছে যতখানি ঠিক ততটাই সচেতনতা তিনি দেখিয়েছেন তার মাটির কথা বলে। তথাপি অনামী ব্যক্তি তাঁর কবিতায় অনায়াসে নির্ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে, বাস্তব চিত্র জ্বলজ্বল করছে প্রতি কবিতায়, তবুও আকুতি ‘শুধু অস্পষ্ট থাকছে দিনের স্বরলিপি এমনি এমনি’…
তাঁর কবিতা লেখার অন্যতম উদ্দীপন হল ব্যক্তিমানুষ। শুধুমাত্র যাদের সঙ্গে তিনি আন্তরিকতায় যুক্ত হয়েছেন তারাই না, অপরিচিতকে নিয়েও তাঁর কবিসত্তা তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছে। যেহেতু কবি দেখতে পাচ্ছেন,

‘আঙুরের থোকার মত যাবতীয় আকাঙ্খা
জমে ওঠে যেন প্লাস্টিকের নিসর্গ থেকে
বেরিয়ে আসছে পলিমার সন্তানদল, কখন
নিজেরই ভিতর বিভাজিত হয়ে পড়ি’

কেননা

‘তারপর কী শান্ত মেয়েটি পৌছে গেল ঠিক স্টেশনে’।

যেহেতু মনখারাপ করে বসে আছে অন্য একটি কবিতা—

‘বাপী বোসের মন খারাপ করে মধ্যরাতে
বাপী বোসের মন খারাপের সঙ্গে সঙ্গে ছোটো হয়ে যায়
বিছানা, মশারির ছাদ নেমে আসে নাকের ডগায়
চেনা খাটের পরিসর আরও ছোটো হয়ে গেলে
বোঝা যায় আজ বাপী বোসের মন খারাপ।’

দেশ কাল সমাজ-সচেতন এই কবির কাব্যে মানুষই মুখ্য বিষয়। শুধু মানুষ না, মানুষের সত্তার স্বরূপ-অনুসন্ধানী দৃষ্টির পরিচয় ঘটে প্রতি ছত্রে। এই অনুসন্ধান কবিকে নিয়ে যায় দূর থেকে সুদূরে। মিথকথন তাঁর বলার ভঙ্গিটিকে করে রাখে টানটান। পাঠক চোখের সামনে সব কিছু স্পষ্ট দেখতে পান্। কবিতাগুলি বক্তব্যে নিটোল—
‘নষ্ট হব বলেই আমি বসেছিলাম সারাটি দিন’…
এই কাব্যগ্রন্থে শব্দ ব্যবহারে তিনি কুন্ঠাহীন। ভাবনার সীমারেখাকে পাঠকের মন পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে কোনও শব্দই তিনি ব্যবহার করেছেন। প্রেম হোক অথবা দুঃসাহসী কবির প্রেম-বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে অনায়াস স্বীকারোক্তি, সাধারণ গ্রাম-মানুষের জীবনপ্রবাহ, যা-ই হোক তিনি সব ধরণের শব্দকে স্থান দিয়েছেন কবিতায়—

‘প্রথম বর্যা মালঞ্চ পাহাড়’’ এই কবিতার শেষ লাইন
‘কলাই ক্ষেত থেকে, প্রথম বর্যা নামল আজ, মালঞ্চ পাহাড়ে’
কলাই শব্দটির কী নিরলস প্রয়োগ।
অথবা
‘টুই টুই শব্দের ভিতর বেশ উৎসব শুরু’

প্রেম-অনুসঙ্গ ছাড়াও শরীরী হয়ে উঠে এসেছে কবিতা, যখন তিনি লেখেন—

‘হাতের তালু লাল বুকে গামছা জড়ানো
শুধু সায়া পরা কালো সুঠাম মেয়েরা
দু-হাত উঁচিয়ে হাতির শুঁড়ের মত কালোমেঘ ধরে
টানছে কোলের দিকে।’…

সাধারণ মানুষ, তাদের যাপন, চাওয়া-পাওয়া প্রাপ্তি-বঞ্চনা-প্রেম সবকিছুই শব্দমূর্তি ধরে ‘যত্নের পর অভিপ্রেত শব্দগুলি’ তাঁর কবিতায় উজ্জ্বল। চারপাশের দৃশ্যতঃ জীবনের অদেখা অনুভব ‘বিল্বপত্রের শুকনো স্মৃতিকাতরতার অঞ্জলি’।
কবি সমরেশ মণ্ডল-এর কবিতার ক্রমশ স্মৃতির ভাণ্ডার থেকে ক্রম-উন্মোচন ঘটেছে। অন্ধকার থেকে দীপ্তির পথ ধরে কবি চলেছেন স্মৃতিকারতরার সুনির্দিষ্ট ধ্যানে।
‘সারেঙ্গিবাদকের মুখ’ কবিতায় কবি লিখছেন—

‘আজ আর গেলাম না কি হবে গিয়ে
বেশ তো চলছে মায়ার সংসার।
…কাল থেকে আবার জেগে উঠবে দিন
কাল থেকে আবার কলঙ্কিত হবে খেলা’
এই কবিতাটার শেষ লাইন অপ্রত্যাশিত ভাবে এসেছে, —‘দু বেণীর ঝাপটায় খুব ধীরে কেটে যাচ্ছে অন্ধকার’। এই লেখায় একজন প্রকৃত পিতার আকুতি টের পাই ‘বাড়ি। কি হবে গিয়ে মায়ার সংসার’ —এক স্পষ্ট চিত্র চোখে ভেসে ওঠে চেয়ারে হেলান দেওয়া একজন মানুষ সবকিছু থেকে দূরে সরে গিয়ে যেন ভাবতে বসেছেন। আর ভালোবাসার সাবলীল উচ্চারণে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে কথাগুলি।
ঠিক যেরকম অন্য একটি কবিতায় অমোঘ প্রয়োগ লক্ষ করি আমরা—

‘শোধ দিয়েছি রাজন্যঋণ
বাতাস গেল হাহাকারে উড়ল খড়কুটোর মতো
ঋণের মতো বিষণ্ণ সব দিন’

কারণ,

‘নষ্ট হব বলেই আমি বসেছিলাম সারাটি দিন’…

বিরস বর্তমানের প্রেক্ষাপটে কবির গভীর দৃষ্টি আলোকসন্ধানে বেদনাবিধুর সন্তরণ ঘটেছে। কবির মনন-চিন্তায় বাস্তব চিত্র হয়ে উঠেছে প্রচ্ছদ-সংকেত। কোনও একমুখী ভাবনা তাঁকে সীমানার মধ্যে বেঁধে দিতে পারেনি। জীবনের চূড়ান্ত ভাবনার মুখোমুখি হয়েও তাঁর কবিতা অন্য অন্য দিকে বাঁক নিয়েছে বারবার। অনেক বাধা বিপত্তি আকছার এসেছে কবিতার ভাবনার মধ্যে। কিন্তু অত্যন্ত সহজতার সঙ্গে তিনি শেষ পঙ্‌ক্তি পর্যন্ত চলে গিয়েছেন গ্রাম্য সরলতায়। প্রেম, শিশু, গৃহ, অর্থ সবকিছুই অংশ নিয়েছে তাঁর কবিতায়, তবে কবিতার নায়ক কিন্তু শেষ পর্যন্ত কবিতাই। জীবনের স্রোতকে তিনি এত সহজে গ্রহণ করেছিলেন বলেই আজও এইসব কবিতা আমাদের বাস্তবের সঙ্গে মিলেমিশে যায়। আসলে তিনি জানেন, ‘বিষাদ তো ছেয়েই আছে’। তার মধ্যেই তাঁকে জীবনের পথ ধরে সোজাসাপটা ভাবে চলে যেতে হবে।
সমকালীন সময়ের সার্বিক দিককে সঙ্গে নিয়ে তিনি বাস্তবের কথাগুলো নির্দ্ধিধায় বলে গেছেন কবিতার মোড়কে। উৎকেন্দ্রিক ব্যক্তিসত্তার ভার নিজস্ব পরিসরে একেবারে নিজস্বতায় তিনি বলে গেছেন বাস্তবের উপকূলে দাঁড়িয়ে। কবিতার ভাষা তো আসলে সংকেতের ভাষা। সক্ষম কবিই পারেন আশ্চর্য ও অভাবনীয় শব্দ-সম্বন্ধ তৈরি করে বাড়িয়ে দিতে শব্দের সীমানা ও তার অর্থের বলয়।শব্দ থেকে নৈশব্দ এবং নৈশব্দ থেকে শব্দে প্রত্যাবর্তনের যে যাত্রা পথ থাকে একজন কবির সেখানেই তিনি সার্থক।
‘ঝড় এলেও বন্ধ করি না জানলা’। আসলে কিন্তু তাই-ই আমরা জানলা বন্ধ করলেও কাচের মধ্য দিয়ে দেখি ঝড়ের যাওয়া-আসা আর সরল কবি বন্ধ করতে পারেন না। কারণ সমকালীন জীবন তাকে নাড়া দিয়েছে একেবারে ভেতর থেকে। তিনি জানেন—
‘…তার মধ্যে বদলে
যাচ্ছে মনোভাব, কাল আবার রাগ আসবে

কাল আবার জেগে উঠবে দিন, কাল
থেকে আবার কলঙ্কিত হবে খেলা

বিষয়ক সকল রচনা।’

কবি লিখছেন, ‘তারপর ফাঁকা আওয়াজে ভরে ওঠে চারদিক’ —এই ফাঁকা আওয়াজ শব্দের সঙ্গে কবি পাঠককে মুগ্ধ করে নিয়ে যান ইচ্ছামতো আকাশের দিকে যতদূর যেতে পারা যায়। কী অসাধারণ প্রয়োগ। আসলে বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের সঙ্গে তাঁর আলাপ দীর্ঘদিনের। বেশিরভাগ সময় তিনি কাটিয়েছেন ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্য, বিশেষ করে বিহার ইউপি ঝাড়খণ্ড উড়িষ্যার মানুষের সঙ্গে। মাটির গভীর পর্যন্ত তাঁর যাতায়াত ছিল। বছরগুলি কেটে যেতো মসৃণ ভাবে। তিনি অনায়াসে স্বীকার করতে পারেন সেই সময় দাঁড়িয়ে ‘হ্যাঁ আমরা মদ খাচ্ছি’।এই কবিতার শেষ লাইন, ‘শুধু কবিতার জন্য ভেসে চলে বান্ধবীর পর্ণ কুটির’। তিনি সত্যানুসন্ধানী। আর সেইসব কবিতার জন্যই তো চিরকাল বান্ধবীর কুটির ভিজে যায়, জংধরা জীবন ভিজে যায় আরও বেশি করে মরচে ধরে শেষ হবে বলে। তারপর আবার রোদ আসে। পা ধুয়ে দিয়ে যায় কবিতায় কবিতায়। কিন্তু যে ভেজে, তাকে শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভিজে যেতে হয়। ‘জীবনের যতো রেখা অপ্রাপ্তি অপমান কঠোর ভাঙচুর’ সবকিছু শেষ হয়েও থেকে যায় কবিতায়। একা থাকার অবসরে আমাদের ঘুম ভাঙে আর, ‘ঘুম ভাঙলে বুঝি কত ভুল মাথা তুলে উঠে আসে।’ এই সব সময়োপযোগী ভ্রান্তিই তো একজন ব্যক্তিকে ভাবতে শেখায়। শেখায় লিখতে। আমরা তো সবকিছু শুধু জমা করতে পারি। সাক্ষী থাকে ‘সোনার কলম’ আর ‘দূরে রাখা ডেকচেয়ার আমাদের দেখাশোনার ভিতর মাথা তুলে দাঁড়ায়।’ দিকশূন্যপুরের দিকে মানুষের যে অনন্তকাল যাত্রা সেই প্রস্তাব মেনেই তাঁর কবিতা ‘ঘিরে ধরে পেলব শরীরটিকে’।
‘সহাস্য হাত মুক্তির কথা বলে, আনন্দে লেখালেখি শুরু হয়’। কবি তাঁর ‘নির্মল আবেগ’-কে ভেঙেছেন শুধু লেখার জন্যই নির্ঝর সূত্র ধরে। বাতি জ্বলে ওঠে। মাথায় ধরে আলো নিয়ে যাওয়া জীবন ছিল তাঁর। তাই ভাঙার মধ্যে কীভাবে গড়ে নিতে হয় তা তিনি জানেন। কত কত অন্ধকার পথ তিনি পেরিয়ে এসেছেন তার ইয়ত্তা নেই। এতসব ভাবতে বসলে তাঁর মনে হয় ‘বেশ মানবিক মানবিক লাগে’।
‘হৃদয় তো পোড়ে এমন পোড়ে যে চেনাই যায় না… পোড়ে সব কিছু’—প্রেমের আকুতি প্রবল এই কবিতায়। এই আকুলতার ক্লান্তি অবসাদে নিয়ে যায় তাকে। উদাসীন ক’রে তুলে তাঁকে নিয়ে যায় নির্জনতার দিকে, ‘সব নিষিদ্ধ চিন্তার জট—পোড়ে সব কিছু’। প্রাত্যহিকতার স্থূল প্রাপ্তি তখন মানুষ অগ্রাহ্য করে। একাকিত্বকে ধরে বাঁচতে চায়। খাদানের অসীম অতল অন্ধকারের মতো কবিও গভীরতাকে স্পর্শ করেন। ‘সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে আলো নেভা’ এই এক জীবনের চরম অভিজ্ঞতার কথা তিনি লিখেছেন। প্রকৃতির নিশ্চিন্ত আলোর মানুষেরা এই দিকশূন্যপুরের দিকে এত সাবলীলভাবে যেতে পারবে না। কারণ এসব কবির প্রাত্যহিক অভিজ্ঞতার ফল।
সাধারণ মানুষ, যারা উপর থেকে নীচে চেয়ে দেখে তাদের কবিতা যাপন আর কবি সমরেশ মণ্ডল-এর কবিতা যাপনের তফাৎ আকাশ-পাতাল বললে ভুল হবে, জমিন-পাতাল পার্থক্য বলাই শ্রেয়। মালভূমির ফাটা জমি কাঁটা গাছ ছাড়া যেখানে ফল বলতে শুধু কুল, সেখানে জমি কেটে ছেঁটে একাকার হয় পেটের তাগিদে। সেখানে উপর থেকে নীচে দেখতেই লাগে না, সমতল থেকে নীচে তাকালেই পোড়া রুটির গন্ধ আসে। সেখানে বর্যা মালঞ্চ পাহাড়ের গায়ে ঝরে পড়তে দেখলেই একখানা পাণ্ডুলিপি হয়ে যাওয়ার মতোই ব্যপার কিন্তু। তবু—

‘সারাদিন পর মনে হল কিছুই রাখিনি
নিজের জন্য খোলাপাতা বিমর্ষ ঘরের
বাতাসে রিনরিনে আবহ সংগীতে যেন ঘোর
সংকট, কিছুই হল না সরিয়ে রাখা!’

সরিয়ে রাখাই বা যাবে কী করে ! কিছু কি সরিয়ে রাখা যায় ? কারণ,

‘বিষাদ তো ছেয়েই আছে কখনো মৃদু হর্ষ
জাগলে জানালার গরাদে ঠেকে যায় মাথা, জুড়ে ফেলি
ছিন্ন মানচিত্রের মতো টুকরো টুকরো খেলা ভাঙার
খেলা’…

যেহেতু,
‘কিছু খ্যাতি কিছু প্রশস্তি এসে খুঁজে যায় মুকুটের খাঁজ’

আর ঠিক এই মুকুটের খাঁজে এসেই আটকে থাকে সমস্ত সরিয়ে না রাখতে পারাগুলি। রিনরিনে আবহ সংগীতের মতো বয়ে চলা দিন। পড়ে থাকা ‘দিনের অবসান’। যেহেতু তারা
‘হাতপাখার মত
একা একা ভিজে বাতাস নিয়ে উঠে আসে খাতার পাতায়।’

আর ঠিক তারপরেই—
‘চারপাশ ঘন হয়ে আসবে নীলাভ প্রান্তর
ডাকাবুকো একটি শিশু টলোমলো দুপায়ে
আমার কাছে আসবে, আমার নতুন কবিতায়
তার দু চোখের প্রতিচ্ছবি; এর এক ছটাকও

বেশি চাইব না আমার পরবর্তী কোনো রচনায়’

একজন সৎ কবির চাহিদা এইটুকুই। একজন প্রেমময় পিতার মতো। একটি শিশুর দু চোখের প্রতিচ্ছবিতেই যিনি পরিতৃপ্ত থেকে যেতে পারেন সারাটা জীবন। আর সেই জন্যই একজন পিতা এত স্নেহশীল। এই কবিও এত স্নেহপ্রবণ। এত ভালবাসাপ্রবণ। যা এই বইয়ের ছত্রে ছত্রে আমরা উপলব্ধি করতে পারি। মানুষের প্রতি যে স্নেহ-ভালবাসা-আকুতি, তাতে ডুব দিয়ে আমরা স্নিগ্ধ হতে পারি।

CATEGORIES
TAGS
Share This

COMMENTS

Wordpress (0)
demon slauer rule 34 lena the plug leak amateurtrheesome.com cumming in milfs mouth mujer haciendo el amor a un hombre, belle delphine of leaked emma watson in porn xxxamat.com big booty in public hidden cam gay sex, sit on face porn g a y f o r i t forcedpornanal.com please screw my wife female celebrity sex tapes