বেঙ্গল পলিটিক্স
তন্ময় ভট্টাচার্য
(১)
হরির লুটের মতো বোমা পড়চে, লোকগুলো লুফচে ও ফেটে যাচ্চে রোজ
কেত্তনের সুরে কারা কাঁদতে বসেচে, লাটিসোঁটা হাতে তেড়ে গেল
চামচাদের দিকে, পথে কাদা প্যাচ ২ কচ্চে, মাইক
গাঁক ২ বেজেই চল্ল, লোকেরা মরার আগে প্রাণভরে ঠুকচে পেন্নাম
এবং বোতামও ঠুকচে—একেকজন দশ-বিশ—
ডালে ২ খ্যাংরা নেতামুখ
টাকা উড়চে, ছুরি ঘুরচে, ভরা বর্ষা দেকাচ্চে সার্কাস
(২)
নেতার তর্জনী উঠচে। ছোঁড়ারা টার্গেট হয়ে দাঁড়াচ্চে সেখেনে।
পটাপট উবে যাচ্চে। নরক গুলজার—
ওপরতলার থেকে ঘুষের প্রস্তাব আসচে। আহাউঁহু গেলাচ্চে সেপাই।
মাতা নুয়ে পিল ২ ভেড়া না মানুষ
বাজির রোশনাই তুলচে। কাকপক্ষী দাপাচ্চে দু-চার।
দলীয় পতাকা উড়চে। শান্তিপূর্ণ খুন ঝরচে খুব…
(৩)
মুখে কিচু বলচে না, ভিতরে ২ চাইচে মোল্লারা হটুক
হনুমান ডেকে এনে কোঁৎ পাড়চে বজরংবলীর
এদিকে লাতিও খাচ্চে, মোল্লার ব্রাদার হয়ে চোক মারচে হিঁদুর বেটারা
নেতার গোবরে দিচ্চে দিল্লাগি ছিটিয়ে
মেজাজ ছেতড়ে যাচ্চে—এদের ডেঁপোমি এত কিলবিলায় কেন
উঠোনে, কায়দা কত্তে, রাধাবাঁশি বাজাচ্চে শ্রীরাম
(৪)
চোর নিত্য চুরি কচ্চে, কাট্ খাচ্চে সেপাই লুকিয়ে
দুয়ে মিলে চুনো ভজচে, আরও বড়ো পুঁটি-নেত্রী-বংশ-পরিবার
চুনোরে শেল্টার দিল—হেঁইয়ো বলে টান
মেরে দ্যাকো একে ২ খুলচে সিন্দুক
চোর ঢঙ্গি সাধু সাজচে, পুঁটি বলচে জানি নে মা গঙ্গার দোহাই
লোকেরা ফিস ২ কচ্চে জয় কালী কলকেত্তাওয়ালীর
(৫)
দলে ২ জড়ো হচ্চে, রেজাল্ট বেরোবামাত্র ফাটাচ্চে চোয়াল
গামছামুখো নাঙ্ এসে ঝেড়ে দিচ্চে বিষ
নেতার উল্লাস ফুটচে, হেরোর নালিশ, ভয়ে মরাটাটকা লোক
দানা খাচ্চে দিশি পিস্তলের
আপিস দখলে যাচ্চে, দাউ ২, বাণী ভাসচে লুটেপুটে খাও
তদন্তে প্রমাণ হচ্চে এত শান্তি ইতিহাসে কই—
একেবারে সময়োপযোগী কবিতা।চালিয়ে যাও ভায়া।