
বেঁটেখাটো মানুষদের কবিতা
শতানীক রায়
১
কোন এক অতীতে বেঁটেখাটো কিছু মানুষ ছিল অদ্ভুত মোমের মতো। সন্ধ্যা নামার সাথে তাদের গ্রামে ঘুম নামত। সেরকম অতীত আজ কেন নেই এ-প্রশ্নের ফলে রাতদিন এক করে নদী দেখা গেল জল গড়ে গেল দৃশ্যে যেন দেয়াল জুড়ে মানুষের ছবি আঁকা হয়েছে। তাদের শরীরের খাঁজ মাংসের তীব্র বর্ণনা আর চোখের দিকে অনুভূতির অশ্রু… অনেক আগে বেঁটেখাটো মানুষদের গ্রামে পাথরের বিগ্রহ ছিল…
২
খুব বৃদ্ধ একজন মানুষের কাছে এসে বসেছি। সে বলছে পৃথিবীর কথা। তার কাছে ফুলের রঙের অর্থ অন্যরকম আর সে নারী পুরুষের শরীর জেনেছে খুব নিবিড়ভাবে। যেন সে সভ্যতার বুকে চকখড়ি দিয়ে নদী কেটে দিতে চাইছে। তার দুটো চোখে চওড়া মসৃণ বালির দানার মতো জল। কথা বলতে বলতে সে অনেকবার বালি ঝরিয়েছিল
৩
বেগ পেতে হয়েছে কতবার হিসেব করতে আসার আকাশটা অদ্ভুত। কোনো রং নেই শুধু আকাশ হয়ে আছে। আস্তে আস্তে জল ঝরে পড়ছে মাটি খোঁড়া হচ্ছে আকাশের ফুটো থেকে স্মৃতি গড়িয়ে নামছে
৪
অক্ষর মিলিয়ে যে গভীর সংযোগ হচ্ছে কিংবা আজও যে-কাহিনি প্রচলিত আছে পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা মানুষের সবচেয়ে বৃদ্ধ মানুষের আর কুজো হয়ে বসে থাকা সেই ভাবুকের গল্প… নদী নেই পাহাড়ের তৃষ্ণা নেই অকল্পনীয় আকাশও নেই। অনেক ভোরে সূর্যোদয় দেখি। সেই লাল রঙের জবাকুসুম
৫
আমাকে আর তোমরা কবি বোলো না। পাপে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে আমার সব কবিতা… অনেকদিন পর সেখানে ঘাসের ফলনশীলতা দেখা যাবে… হয়তো প্রাচীন কোনো হংসীর দেহের মতো অনুভূতি হবে তোমাদের… শান্তির পাথর যা দিতে পারে সংসার পেলে যেরকম নিবিড় আনন্দ হয়… এক বসতী থেকে অন্য বসতীতে শরীরের ভাঁজে যে-ব্রহ্ম লুকিয়ে… গানের দেহ গঠিত হয়… পৃথিবীর সেই প্রথম পুরুষ ও নারী… প্রথম সন্ততী আর তাদের কলধ্বনি
ভাল লাগল সবকটিই
কবিতাগুলো কথা বলছে,মারাত্মকভাবে।
ভালো লাগল।
ভালো লাগলো