
প্রত্যূষা সরকারের তিনটি কবিতা
প্রাইভেসি
কানাঘুষো পেরিয়েছে প্রজাপতি-ট্রাফিক
ফ্লাইট-মোডে মেয়েটির প্রাইভেসি
সখ করে কেউ আগ্রহী থাকলে জানাবেন
চিঠি যাবে পাহাড় থেকে চাঁদে
গোঙানির শব্দ শুনবে পাহারা
চুপ চুপ! এখনও শ্রাবণ স্থায়ী
চৌরাস্তায় রক্ত শুঁকছে কুকুর
ভাগ্যরেখা
একটা বিস্ফোরণ। বিপদসীমা থেকে আর একটু ওপরে। বিপদ তো আর বলে কয়ে আসে না! তুমি একে নক্সা বলে ধরেছিলে। সমস্তটাই ধরাছোঁয়ার বাইরে। নাগালে ছিলো দু-চারটে মাছের কাঁটা, বাসি ভাত। তুমি ছাড়া এঁটোরাও বারান্দা চেনে না। আমি ফেলে আসি, পাঁচটা কাক আর দুটো বেড়াল…
হস্তরেখা বলছে আগামীকাল কেতুর দিন, নির্বাচিত দোষ আমার। ভাগ্য থেকে স্বাধীনতা ছেঁটে ফেলার পর পুরুষকে বাঘ আর মেয়েমানুষকে বাঘের মাসি হয়ে যেতে হয়। আমি তার দেখি, এখানেও কাঁটা আছে, জবরদস্ত বর্ডার। সূক্ষ্মতা বুঝলে নো ম্যানস্ ল্যান্ডে চড়ুইভাতি হবে, সাপিলা ডান্স হবে, চুপিচুপি নেশা হবে…আগুন নিভিয়ে নারী হবো আবার। বিপদ বাড়বে। ধূলিসাৎ বলিরেখা! মুচড়ে ফেলবো ‘না’ নামের শব্দ। অভিনয় শেষে অভিধান শব্দশূন্য। ভোর হতে না হতে বিদ্যুৎ চারপাশ…
তোমাকে তো ধন্যবাদ দিইনি কখনও, অজস্র অজুহাত লুকিয়েছো পকেটে। এখনও বুকের গন্ধটা স্পষ্ট। একটা বিষাক্ত ঘোর, অবিকল আয়নার মতো। এখানে আমিই পুরুষ। লিঙ্গের কাছে ক্ষমা চাওয়ার অধিকার পুরুষ কোনওদিন পায়নি…
বিজ্ঞাপন
প্ল্যাকার্ড জুড়ে সভ্যতা
এগিয়ে চলছে রাক্ষসের পায়ে পায়ে।
নারীসঙ্গ মিলিয়েছে স্রোত বুঝে
অন্ধকারে যতটা দেখা যায়।
মস্করা নয়, মশারিতে মুসুরির মুদ্রা,
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিখে গেছেন ঈশ্বর
আস্তে! সাহিত্য চলছে…
ম্যানফোর্স দাপাচ্ছে চাবুকে, চিবুকে।


তিনটি লেখাই আছড়ে পড়ল – সপাং
এখন পিঠে দাগ নিয়ে ঘুরি… 🙏
ধন্যবাদ জানবেন 🙏