দীপক রায়
জেন কবিতা
কোনো লেখা
সামান্য কম্পন মাত্র
অন্যমনস্ক হলে স্পর্শ করে না…
কোনো লেখা
রুপোলি মাছের মতো
ধাক্কা দিয়ে ডুবে যায়
জলের গভীরে
স্পর্শ করে কিছুটা ভিতরে
কোনো লেখা
ফানুসের মতো
উড়ে উড়ে উড়ে উড়ে
স্থির হয়ে শুকতারা
আটকে থাকে ভোরের আকাশে
এরকম কবিতা কিছু লিখেছেন হিন্দোল —
তার কবিতার বই “ছায়া মাধুকরী “।
জেন কবিতার মতো কিনা
দাবিও করেননি তিনি — যা করেছেন বীতশোক।
জেন কবিতার মতো এইসব লেখাগুলি পড়ে
বারান্দার আরাম কেদারায় বসি
উত্তর দিক থেকে উড়ে যায় একটি বিমান
দক্ষিণের দিকে..
সাত দশকের গল্প
তখন আমার সেজবাতি আর তখন এক্কা গাড়ি
তখন আমার রাজার পুকুর তখন বাগানবাড়ি।
তখন আমার সন্ধ্যাবেলায় হ্যারিকেনের আলো
চারদিকে চার পড়ুয়া আর ভূতেরা জমকালো
ঘিরে থাকতো চারদিকে আর উঠোন জুড়ে ভয়
ঘুমের ভেতর স্বপ্ন দেখি সকাল কখন হয়।
সকাল হলে কুমোর-পাড়ার গরুর গাড়ি আর
হাতে লাঠি — ঝাঁকড়া চুল– টিনের তলোয়ার ।
দিন-দুপুরে পুকুরঘাটে গল্প জমতো মনে
পাঠশালার দিন শেষ হত না চাঁদ উঠত বনে।
মোজা ছাড়া বড়ো জুতো ফোস্কা পড়ত পা-য়
স্কুল কলেজ পেরিয়ে গেলেই সুখের দিন যায় ।
অনেক আলো অনেক আঁধার অনেক হতাশার
গড়িয়ে গড়িয়ে একটা দুটো সাতটা দশক পার।
যে-কথাটা বলা হল না– বলব কার কাছে
চতুর্দিকে গোপন অস্ত্র লুকিয়ে রাখা আছে ।
সুয়োরানি দুয়োরানি তোমার সঙ্গে আমি
ভয়ে আমার ঘুম আসে না – জানেন অন্তর্যামী ।