
তন্ময় ভট্টাচার্য-র কবিতা
কাহন
১
তোমাকে বলার বাইরে কিছু নেই। একঘেয়ে দিন। রোদ এসে পড়ছে আর আয়নার সামনে বসে টিপটপ হচ্ছে পৃথিবী। মাঝেমধ্যে রাগ করলে, ধোঁয়া উঠছে কালো চিমনি থেকে। পাখির পাহারাদারি, শীতগাছ, জোর করে ঢুকে পড়া বিড়ালসভ্যতা—তোমাকে বলার মধ্যে এসবও। সহজ, কিন্তু আমার চারপাশে যা যা জরুরি—তোমারও হবে। একদিন। ভুলে-যাওয়া বই থেকে উজ্জ্বল কবিতা।
২
ধাক্কা খেতে-খেতে ডাল ভেঙে পড়বে? নাকি এটাই নিয়তি—পাতা বুলোবে, বিরক্ত করবে না? গতকাল নামে এক ধুরন্ধর ফুল ফুটে আছে। অতীতভ্রমণ পারে পিঁপড়েরা, মানুষ পারে না। টবের মাটি কি সেই মাটি, যার স্বাধীনতা চেয়েছিল অগ্নি-বিপ্লবীরা? আছাড় মেরেছি, দ্যাখো, শিকড়-বাকড় শুদ্ধু কীভাবে ছড়িয়ে পড়ল—আমাদের ছাদই তবে স্বাধীন ভারত? তুমি আঙুল তুলতে পারবে না?
৩
মনের জটিল অংশ ডাক দেয়। সাধারণ দৃশ্য থেকে অতিরিক্ত তুলে আনতে বলে। যে-দেখা শুধুই দেখা, তারও অন্য চোখ আছে তবে! আমি অত ভাবতে পারি না। তোমাকে দায়িত্ব দিই—খুঁজে দ্যাখো, আমি শুধু তোমার খুঁজতে পারা দেখি। প্রতিটা আবিষ্কারে তোমার আনন্দ-ছলোছল। জটিলও সরল হয়ে আসে, আর, আমি জানি—এ শুধু পড়ার পড়া নয়। আমার পাঠকসত্তা ক্রমশ বন্দিত হয়, নিজে কিছু লিখতে পারে না।
তিনটি কবিতাই সুন্দর ! তন্ময়ের কবিতায় এই সারল্যভাবনা আমায় মুগ্ধ