অর্ঘ্যকমল পাত্র-র একগুচ্ছ কবিতা

সহজ সমীকরণ
১.
যে হাসপাতালে নিরাময় হয় না; সে হাসপাতালেও ডাক্তার আছে। নার্স আছে। সে হাসপাতালেও রোগী আসে। রোগী বেরোয়। কেবল, কলরব হয় না!
২.
জলের মতো সহজ তরল দিয়ে ভরা পুকুর। সাদা হাঁস আসে। সাদা হাঁস, বোকা হাঁস, বাড়ি ফিরে যায়…
জলের মতো সহজ তরল দিয়ে ভরা পুকুর। শুধু, মানুষকে সাঁতার জানতে হয়
৩.
ব্যর্থ পান্ডুলিপি নিয়ে আত্মহত্যা করতে জলে ঝাঁপ দিয়েছিল তরুণ কবিটি। লোকজন বলেছিল, হালকা কবিতা সব…
এবং খুবই হালকা হওয়ায়, অগাধ জলে, ওই পান্ডুলিপিটিই বাঁচিয়ে রেখেছিল, —তরুণ কবিকে!
৪.
সন্ধ্যার কাছে শান্ত সবকিছু। ক্লান্ত সবকিছু। মায়াময়। আর, এই মায়া খুঁজতে গিয়ে পৃথিবীর প্রতিটি নাস্তিক, শাঁখের শব্দ নিয়ে বাড়ি ফেরে…
৫.
বাথরুমের সুইচ অন করলে, আলো এসে পড়ে। যদিও মিথ্যে দিয়ে সাজানো এ-জীবনের মতো, আর কোনোকিছুই এত নগ্ন নয়!
অতঃপর মানুষের ওপর আলো পড়লে, মানুষ, লজ্জায় বাথরুম ত্যাগ করে দ্রুত। লজ্জিত মানুষ সুইচ অফ্ করতে ভুলে যায়। হয়তো দুঃখে। হয়তো বা প্রতিহিংসায়…
৬.
মাঝরাতে শুধু স্বপ্ন বদল হয়। আর কিছুই হয় না। পরদিন তথাকথিতভাবে সকাল আসে। পাখি ডাকে। ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজে সকলে। এবং আরও একটা দিন কেটে যায়। মাঝরাত আসে। মাঝরাতে, স্বপ্ন বদল হয়
দিনবদল হয় না!
৭.
বাচ্চু মাতালের দু-হাত ধরে দু-দিকে টান দিলে, পৃথিবী ঠিক দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। একদিকে, প্রবল বৃষ্টির দিনে মদ কিনতে গিয়ে ভিজে যায় বাচ্চু মাতাল। অন্যদিকে তীব্র রোদের দিনে, মদ আনতে গিয়ে ঘেমে ওঠে সে
শুধু দুটো গোলার্ধের যোগসূত্র হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে—মদ
ভাল লাগল ভীষণ । দারুণ লিখছিস
এসব কবিতা ,এসব পরম পাওয়ার রাত বদল মেঝে ঘষে ঘষে কষ্টিপাথর বলে মুখ দেখো ,দেখো স্রোত কুলু কুলু যেদিকে ভেবেছিলে স্বাধীনতা প্রকট ঠিক সেই দিকটায় কাত হয়ে পড়ে আছে আজন্ম শৈশবের হাল ,তুমি তাকে যেদিকে ঘোরাও ঘুরে যায় অন্যদিকে।তুমি তাকে তাকাতে বলো সেই দৃষ্টি পড়ে অন্য কোণে,ওই কোন ওই তায়াম্মুমের মাটি কতটা পবিত্র হলো এবার না হয় জেনে নিও কবিতার ছলে!
এই সব কবিতা ,এই সকল দৃষ্টান্তস্বরূপ মেঝে ঘষে ঘষে কষ্টিপাথর বলে মুখ দেখো দেখে যেও অক্ষরের বাসনা কতটা তীব্রতর হলে খাপছাড়া তরোয়াল কালপুরুষ কে বিঁধে রাখে নিজের কোমরে। আহা! এসকল আড়ালেই আবডালে খুঁজলে মনে হয় এই আছি এই আছি ডুবে গেছি অন্য ঘাটে অন্য কোনো খানে, নিরঝঞ্জাট হলো তবে অবিকল জলের উচ্ছ্বাসে। আহা!এমন চার ষোলো চৌষট্টি শেখা ষড়যন্ত্রের দুপুরে যেখানে তায়াম্মুমের মাটি পবিত্র হয়ে পড়ে আছে সেইখানে সেইখান থেকে এসব বলে গেলাম কবিতার ছলে!
যতবার পড়ি নতুন চমক পাই।।
যতবার পড়ি নতুন চমক পাই
খুব ভালো
যতবার পড়ি নতুন চমক পাই
বেশ ভালো লাগল। বরাবরের মতই চমকপ্রদ।
ভাল লাগলো