
অদিতি বসুরায়-এর কবিতা
রক্তমাখা চাদর এবং অন্যান্য
(১)
যেখানে অন্ধকার তীব্র বিষে মিশেছে, সেখান থেকে সে আর ফিরতে
পারেনি।
সেখানে কেউ নেই – তুলোর ভাল্লুক, নতুন ক্লাসের বই , বাবা-মা
– এমনকী মোবাইলের সিগন্যালও ।
মেয়েটা, বাড়ি বলে যে জায়গায় ফিরতে পেরেছিল
মাত্র এক রাতের কড়ারে, সেখান এখন কেবল
রক্তমাথা বিছানার চাদর পড়ে আছে।
(২)
তুলসী গাছের গোড়ায় চতুর্থীর জল ঢেলে
বাবা তাকিয়ে আছেন শূন্যে।
মেয়ের মুখাগ্নির আগুন ছড়িয়ে গেছে গ্রামান্তরে
– যোনীছেঁড়া রক্ত নিয়ে টানাটানি করছে শাসক
ও বিরোধীরা।
বাবার মনে পড়ে যাচ্ছে, মেয়েটা দুরাত্রি ভাত খায়নি ।
(৩)
মেয়ের যন্ত্রণা জ্বালিয়ে, চিতা নিভে যাচ্ছে এবং
মায়ের বুক থেকে উঠে আসছে-
দুনিয়া –বিদীর্ণ করা হাহাকার
হাহাকারে মিশে যাচ্ছে কান্না- কান্নায় আচমন করছে
জন্ম দেওয়ার ঋণ এবং
মায়ের শরীর ফেটে উঠে আসা বারুদ, ছাই, আগুনের
সামনে মুখ ডাকছে চাঁদ। সূর্যে গ্রহণ লাগছে
জেনে রাখো
– কন্যাঅঙ্গের রক্তে মায়ের
চোখের জল মিশে যে অস্ত্র নির্মিত হচ্ছে
– তার সামনে মহাকাল মাথা নীচূ করতে বাধ্য।
তুমি তো কোন ছাড়… ।