ব্রহ্মাণ্ড ডাকঘর, জেলা বীরভূমঃ বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়ের আশ্চর্য জগৎ
পার্থজিৎ চন্দ
দুপুরে তালের ছায়া প্রতিবিম্বিত পুকুর থেকে স্নান সেরে উঠে আসছেন স্মিত-হাসিমুখ এক পুরুষ।তাঁর বাড়ি ফেরার পথে কার যেন আশির্বাদের মতো ঘন হয়ে রয়েছে বাঁশবনের আলো-আঁধারি। তিনি অন্নগ্রহণের পর পাঁচালি লিখতে বসবেন, আর সেই পাঁচালির পাশে জেগে উঠবে এই বাংলার জল-হাওয়া মাখা এক তরুণের মুখচ্ছবি। বহুবছর পর সেও জেগে উঠবে বাংলায়, লিখে রাখবে এক লুপ্তপ্রায় বাংলার কথা। শুধু বাংলা বললে তাঁর বিশাল ক্যানভাসের প্রতি কিছুটা অবিচারই করা হবে, প্রাচ্যবিদ্যার অমৃতভাণ্ডটি যেন লুকানো রয়েছে তাঁর লেখার ভিতর।
বাংলা শিল্প-সাহিত্য ও সমালোচনার একটি অভিশপ্ত ধারা বিদ্যমান, দুঃখের যে সেই ধারাটিই সব থেকে বেশি শক্তিশালী। এ ধারা বাহ্যিক উল্লম্ফন ছাড়া স্বাতন্ত্রকে চিহ্নিত করতে শেখেনি। অথচ একটু তলিয়ে দেখলে বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়ের মতো aberration বাংলা কবিতায় খুব বেশি নেই। বিশ্বদেবের বিন্যাস-প্রকরণের মধ্যেই বাঙালির প্রাত্যহিকতার এক ছড়ানো পৃথিবী রয়ে গেল। অনুকৃতির ফলে নির্মিত পৃথিবী এবং অনুকৃতি-জনিত ‘জ্ঞান’কে গ্রহণ করলেন না বিশ্বদেব। যে পথ মহাজনদের, যে পথকে ছেয়ে আছে নির্জনতার গূঢ় আভিজাত্য – সেই পথটিকে গ্রহণ করলেন বিশ্বদেব।
শুধু এই নয়, এই পথ বিশ্বদেবের হাত ধরে সম্পাদিত হল আরেকটি আশ্চর্য জিনিস।
নন্দনতত্ত্বে যাকে verisimilitude বলে উল্লেখ করা হয়েছে তাকে অতিক্রম করেই যে শিল্পের সফর শুরু হয় সে নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বিশ্বদেব এক আশ্চর্য জাদুকর; তাঁর লেখায় এই verisimilitude, বস্তুর প্রতীয়মানতা ও তার সঙ্গে যুক্ত হতে থাকা শিল্পের ভবিষ্যতরূপের মধ্যে যে দূরত্ব তা ক্রমশ লুপ্ত হতে শুরু করল। এবং সব থেকে বড় কথা, একটি স্তরের পর গিয়ে আমরা লক্ষ্য করলাম বিশ্বদেবের কবিতা-মহাদেশে বা মহা-গ্রামে verisimilitude নামক কোনও শব্দের পৃথক অস্তিত্ব থাকল না আর। অথবা বলা যায় শিল্পের অমোঘ হাঁ-মুখ গ্রাস করে নিল সমস্ত verisimilitude-কে। এই মেটামরফোসিস-কে আপাত ভাবে যতটা সহজ ও সরল বলে মনে হয় আদপে সেটি অনেক বেশি জটিল ও রহস্যময়। এই রহস্যের কারগর একজনই – তিনি ‘বিশ্ব’ তিনি বিশ্বদেব।
বিশ্বদেবের কবিতার কাছে বসে পদকর্তাদের দিকে তাকানো জরুরি। পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী সম্পাদিত ‘বৌদ্ধগান ও দোহা’র ভূমিকায় পবিত্র সরকার লিখছেন, ‘এইভাবে চর্যার পদকর্তারা তাঁদের নিজস্ব প্রমুখিত কাব্যভাষা নির্মাণ করেছিলেন। তা একই সঙ্গে কবিতা ও সুরের আকর্ষণে আমন্ত্রণ জানায়, আবার রূপক ও হেঁয়ালি ছড়িয়ে প্রত্যাখ্যান বা নিরস্তও করে।’ এই ক্রমাগত আকর্ষণ ও মৃদু প্রত্যাখ্যানের মধ্য দিয়ে শিল্পের…কবিতার যে রহস্যময় জপৎ নির্মিত তা সন্ধ্যাসংকেতময়। বঙ্গে রেঁনেসা নামক এক ভৌতিক অস্পষ্ট জাগরণের ফলে এই সন্ধাভাষা ও সন্ধ্যাসংকেতময় পৃথিবীর বিলুপ্তি নিশ্চিত হয়েছিল। সেই বিলুপ্তির দেশে বিশ্বদেব যেন এক ডোডোপাখি।
রেঁনেসা বঙ্গের শিল্প ও সাহিত্যে এক চিরস্থায়ী ক্ষতের সূচনা করে দেয়, সঙ্গোপণ বা উন্মোচন – উভয় ক্ষেত্রেই এই সময়ের আগে আমাদের পক্ষপাতিত্ব ছিল রূপকের দিকে। ক্রমাগত সেই রূপক-জগত থেকে নির্বাসন নিতে নিতে ঢলে পড়া গেল ধারণা বা কনসেপ্ট নামক এক রক্তবীজের দিকে। কালক্রমে এই কনসেপ্ট-ও পরিস্রুত হতে হতে concept of a concept-এ রূপান্তরিত হয়ে গেল। বিশ্বদেবের কবিতার কাছে বসে এই কথাগুলি বলার কারণ, বিশ্বদেবের কবিতা নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে এই অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি থেকে কিছুতেই চোখ সরিয়ে রাখা যাবে না। প্রসবদাগের মতো, জরুলচিহ্নের মতো যে দাগগুলিকে আমাদের লালন করা উচিত ছিল সেগুলিকেই আমরা মুছে দিয়েছিলাম। বিশ্বদেব সেগুলিকে পুণঃরায় আবিষ্কার করতে করতে চলেছেন।
বিশ্বদেবের হাত ধরে, খননের পর খনন পেরিয়ে উঠে এসেছেন সালংকারা রাজরাজেশ্বরী অথবা শতছিন্ন বস্ত্রে দেহ কোনও রকমে ঢেকে রাখা মাতৃমূর্তি।
২
বিশ্বদেবের কবিতার কাছে এসে মনে হয়, মূঢ়ের বিষ্ময় নিয়ে আমরা এতদিন ভাষা-কাঠামোকে আক্রমণের কথা ভেবেছি। ভেবেছি মূলত এক বহিঃরঙ্গে আক্রমণের কথা। যে অনিবার্য চিহ্নগুলি আমাদের দৃশ্যগোচর হয়েছে তা মূলত বাহ্যিক আক্রমণ ও পরিবর্তনের চিহ্ন। এক-চক্ষু হরিণের ভ্রমে ঘুরে বেড়িয়েছি বহুদিন। ভাষার প্রাণভোমরাকে অক্ষুণ্ন রেখে তাকে ভিতর থেকেও আক্রমণ করাও যে সম্ভব তা আমাদের দেখিয়ে দিয়েছেন বিশ্বদেব।
বিশ্বদেব এই পথের পথিক, তিনি অভিজাত এক বাংলার প্রমিতরূপের সঙ্গে আঁকাড়া শব্দকে ব্যবহার করলেন অকল্পিত দক্ষতায়। এই কাব্যভাষা বিশ্বদেবের স্বাতন্ত্রের সাক্ষ্য বহন করছে।
বিশ্বদেবের ‘হলুদ বনে কলুদ ফুল’ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯১ সালে। বিশ্বদেব তাঁর ‘হারানো পদ্মিনীর জন্য’ কবিতায় লিখেছিলেন,
‘যেন এক পারাবত। পঞ্চাশ দাঁড়ের শব্দ। যতেক মানুষ দেখে সবে –
জনে জনে প্রশ্ন শুধায়, উঠে মঙ্গলশঙ্খধ্বনিক, ললনারা উলুধ্বনি করে
আছাড়িপিছাড়ি কান্দে পুরবাসীগণে, আহা
কোথা গেলি হিরামন পাখিটি আমার
কান্দায়ে নগরবাসী চলিলা চন্দনবরন কন্যা ফিরিয়া না দেখে
সোনার শিকলে হায়, বাঁধিলি ও দেহ মন, কেন দিলি রূপ,
কেন সঁপিলি ও প্রাণ’
-মঙ্গলকাব্যের ভাষাকে প্রায় অবিকৃতরূপে তুলে এনেছেন বিশ্বদেব এখানে। বিশ্বদেবের অমোঘ দস্তখতের এ এক নমুনা মাত্র। কিন্তু এই নমুনা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
গুরুত্বপূর্ণ কারণ বিশ্বদেব ইউরোপিয় মর্বিডিটি’র থেকে কয়েক আলোকবর্ষ দূরের এক প্রতিস্পর্ধি অবস্থান। নন্দনতত্ত্বের প্রশ্নে এই দূরত্ব ও পার্থক্য অতীব গভীর।
তবে শুধু সিন্ট্যাক্সের কারণেই নয়, আরেকটি কারণেও বাংলা-কবিতার কৃতজ্ঞ থাকা উচিত বিশ্বদেবের কাছে।
জীবনানন্দ-পরবর্তী সময়ে বাংলা কবিতা থেকে আশ্চর্যজনক ভাবে উধাও হয়ে যেতে শুরু করে জীবন সংলগ্ন সহজের ‘আনন্দ’। জীবনানন্দের অমোঘ ও অতিকায় উপস্থিতি বাংলা কবিতার জন্য ‘ঘাতক’ হয়ে উঠতে শুরু করেছিল ভিন্ন এক কারণে। জীবনানন্দের বোধ ও মননের তট’টিকে ছুঁতে না-পেরে এক মরবিড আত্মনিপীড়নে-ভরা সন্দিগ্ধ ছদ্মগাম্ভীর্য-মাখা ও sadomasochism-আকীর্ণ স্বরের পুণরুৎপত্তি ঘটতে থাকে দেদার। এ বাঁধন ছিন্ন করবার অছিলায় কৃত্রিম ভাঙচুরের দিকে চলে যান বেশ কিছু কবি। সেই যাত্রাও আদপে মুদ্রার উলটো পিঠ ছাড়া আর কিছুই উপহার দিতে পারেনি।
ঠিক এখানে দাঁড়িয়ে প্রহরীবিহীন লেভেল-ক্রসিং-এর মতো ‘অযত্নলালিত’ সৌন্দর্যে প্রকৃত রসিকজনের মতো রসের ভাণ্ডে চুমুক দিয়ে জীবনকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ও চেখে দেখার মধ্যে যে মুক্তির আনন্দ ও আনন্দের মুক্তি রয়েছে তাকে বাংলা কবিতায় ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বিশ্বদেব। ‘কালান্তর’ নামে বিশ্বদেবের একটি কবিতায় আমরা পাই,
‘বিধির বিধান কহি বিধাতা আসিলা বারদোরে
আছিলা ধর্মের ষাঁড় ত্রিসংসারে রোমন্থনে রত
আবেশে মুদিত চক্ষু, কন্ঠে যার শোভিছে সতত
করঞ্জফুলের হার। প্রভু তার পিঠের উপরে
কাল হতে পুনর্বার কালান্তরে চলিলা একাকী
হেলিয়া দুলিয়া। দূর বসন্তে কোকিল উঠে ডাকি’।
-এই কবিতাটির সামনে যতবার এসে দাঁড়িয়েছি দেখতে পেয়েছি ষাঁড়ের উপর বসে রয়েছে এক কালের রাখাল। বাংলার একান্ত শিব…বোমভোলা নিজের খেয়ালে সেই ষাঁড়ে চেপে, তার বাহনে চেপে কাল থেকে চলে যাচ্ছেন কালান্তরে। সে নিঃসঙ্গ-সুন্দর যাত্রার দু’পাশে ডেকে উঠছে বাংলার কোকিল। আর এই সমস্ত যাত্রাটিকে ৮।।১০-মাত্রায় ধরে রাখছেন বাংলার এক কবি।
রসিকের আনন্দসীমা কতদূর প্রসারিত হতে পারে তার সাক্ষ্য বারংবার দিয়ে গেছেন বিশ্বদেব। সান্ধ্যসংকেতময় এক ভাষায় বিশ্বদেব ধরে রাখলেন বাংলার শাক্ত সহজিয়া তন্ত্র-সহ গূঢ় সাধনার ক্ষেত্রটিকে। দেহতত্ত্বের গান ঘুরে ঘুরে ঢুকে পড়ল তাঁর লেখার মধ্যে।
৩
রীতিচতুর আধুনিকতার দেশে বিশ্বদেব নিজের পথ নিজে খুঁজে নেওয়া এক পথিক। সংবৃত্তির উপর তাঁর আস্থা অসীম, পাশাপাশি এক নিতল রহস্য – সব রহস্যের শেষে ঘনিয়ে থাকা এক মাতৃ-রহস্যের দিকেও চেয়ে থাকেন তিনি। প্রাত্যহিকতার আলো-ছায়া মেখে নধর ও পুরুষ্টু হয়ে উঠেছে সে রহস্য। সংচূর্ণিত এক প্রাত্যহিকতা যেন একটু একটু করে মিশে গেছে বিশ্বদেবের কবিতার শরীরে।
পরপর দুটি কবিতার দিকে তাকানো যাক, প্রথম কবিতাটি বাংলা কবিতার দিক্ষিত পাঠকের মুখে মুখে ঘোরে। বিশ্বদেব লিখছেন,
‘পিছনে তালের কুঞ্জ। নিচে বাড়িটির খড়ো চালে
সম্বৎসর জমে থাকে মেঘ। পাশাপাশি
শুয়েছে নধর দু’টি চালকুমড়ো।
ওই দেখেই
মজলেন।
পুবে দাওয়া। দাওয়ার ওপরে
কাঞ্চননগরের বঁটি, পিঁড়ি পাতা…
বেলা যায়। দূরে
ব্যাঙের ছাতাটি ঘিরে অন্তহীন। দুপুর নেমেছে।
সুখে আছেন। বিউলির ডাল সহযোগে
প্রত্যহ আহার, নিদ্রা…
নাম-
বিশ্ব
ব্রহ্মাণ্ড ডাকঘর
জেলা বীরভূম। (ঠিকানা)
পরের কবিতাটিও ‘পা রেখেছেন পরম’ গ্রন্থের থেকেই নেওয়া, ‘কবন্ধ’ নামে কবিতায় বিশ্বদেব লিখছেন,
‘একা-
মানে মাথা ফুঁড়ে উঠে গেছে
অন্ধকার
ঝুপসি এক তালগাছ।
ঝিমোচ্ছে।
বিশ্ব তাহলে এই।
…চন্দ্রবোড়া সাপের মতন
বহু দূরে ছায়াপথ
নিকষ দীর্ঘ কাণ্ড হেলে আছে জলের উপরে।
ইঁদারায়
রাত বাড়ে-
মুণ্ডহীন
একা’।
-এই দুটি কবিতাতেই বিশোষিত হয়ে গেছে কবিতার বহিঃরঙ্গের ছদ্মগাম্ভীর্য। বাঙ্মুখে বিশ্বদেব আনয়ন করেন এক সহজের কৌতুক। তারপর শুরু হয় কবিতার চলন, জার্ক বা কিক দেবার বদলে বিশ্বদেব তাঁর কমণ্ডলু নিয় আরোহন করেন শীর্ষে। এই যাত্রাপথ’ই কবিতা, যেখানে এক ‘সংসারমুগ্ধ’ যুবকের প্রতর্ক খেলা করছে সারাক্ষণ।
বাংলা কবিতার ধ্রুপদীয়ানার সাধক বিশ্বদেব শুধু নিজেই যে বহুমাত্রিক তা নন, তিনি হয়ে উঠেছেন এক জলবিভাজিকা।
এই ওয়াটারশেডের সামনে দাঁড়ালে ভেসে ওঠে নীলকর সাহেবের কুঠি, দাশরথী রায়ের পাঁচালি-মুখর দুপুর। দেহযন্ত্রের ভিতর ঘুরে চলেছে যাঁতা আর শরীরের ভিতর প্রবেশ করছে তুরপুন। হোগলার নীচু ঘরে অন্ধকার নেমে আসছ বাংলায়, সাধকের ধুনি জ্বলে উঠছে কুয়াশায়। আর এসবের মধ্যে দাঁড়িয়ে বাংলার এক ‘যুবক’ মন্ত্রমুগ্ধের মতো লিখে রাখছেন,
‘যে শূন্যতা
আমাকে পুরুষ ব’লে চিহ্নিত করে
তুমি তার নাস্তির ভেতরে
নড়ে ওঠো বীজ।
এই যোনি ও জরায়ুর অন্ধকার
পুঞ্জাক্ষিখচিত
নিষ্পলক নাভিবৃন্ত-
এ নীরন্ধ্রে কোথা থেকে আস?
কীভাবে প্রবিষ্ট হও?
আমি তার সম্ভোগের নীচে
শূন্য হই সারা রাত, ব্যাপ্ত হই
নাস্তির ভেতরে
ধীরে ধীরে
নড়ে ওঠো বীজ! (একটি কবিতার জন্ম)
কবি বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়ের কবিতা নিয়ে পার্থজিৎ চন্দের প্রবন্ধটি এ ওয়েবপত্রের একটি দুর্লভ সন্দর্ভ। মাতৃসদনে লালিত হওয়ার যে দায় কবি গৃহ্যসূত্রে বহন করেন তাকে বিজ্ঞানময় আধুনিকতা কর্তব্যে পরিণত করেছে। সমরৈখিকতা থেকে সক্রোধ উল্লম্ফনের জিগর ও কৌশিশ যে আমাদের ছিন্নমূল করেছে, তার বনৌষধি হিসেবে যেন উপস্থিত বিশ্বদেবের কবিতা। কবিতাচর্চাজনিত প্রজ্ঞাবিলাস হয়ে উঠেছে ভৌমস্মৃতিবিহীন ও ইন্দ্রিয় নষ্টকারী, বিন্যাসে ও ইঙ্গিতে পার্থজিৎ যথার্থই বলেছেন। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই।