
নীলাদ্রি দেব-এর কবিতা
রাত দু’টা, সৌখিন স্বপ্ন থেকে নয়
এক.
একটা গোল মাটির পাত্র
অনেকটা ব্যাসার্ধ
জলের জন্য কিংবা জলজ ফুলের
ওতে শালুকের বীজ রাখা আছে
ওপরে ভাসছে পানা, খুদে পানা
পানাপুকুর ভীষণ পছন্দের
এসব পুকুরে সাপ খেলা করে বলে শুনেছি
পুকুরের পাশে আমার অসুখে ছোঁয়া
পোশাক ও মুখোশ
দুই.
অল্প ব্যাসার্ধের পুকুরেও ছোট একটি সাঁকো
নাম-না-জানা ফুলের গন্ধেও এত মায়া
এসব স্পর্শ না করে ঘুমোই কী করে, প্রভু
আমাদের শ্বাসকষ্টের নাম মাধবীলতা
বেঁচে থাকার নামও
এক রাতে মৌচাক থেকে রানী মৌমাছি নিরুদ্দেশ
ভোরে ঠোঁটের কোণে সামান্য মধুর স্বাদ পেয়েছিলাম
তিন.
হাসতে হাসতে হারিয়ে গেল বাগানের মালি
সেদিন শাদা ফুলগুলো ফুটেছিল
মোম জ্বালিয়ে রাখতে পারিনি
ভেজা কোনও হাওয়া
ধূপের ওপর গলে যাওয়া কর্পূর
মাকড়সার জালে শিশির
পরদিন এক বসন্ত বুগেনভেলিয়া কিনে আনি
গাছটির পাশে
একটি কাক ডেকে গেছে সমস্ত বিকেল
চার.
মৃত কোনও গাছে অর্কিড বেঁধে রাখলাম
হাসন রাজার গান বাজছে, মৃদু
মেঝেতে মাদুর ওড়ে, স্মৃতিতে রুমাল
স্বাদ ভুলে যাচ্ছি
এলোমেলো পায়চারির পাশে পায়রার পালক
বাড়ির প্রতিটি কোণে ভেজা মাটি, বেড়ালের থাবা
পাঁচ.
আলো নিভিয়ে রাখলাম
পাপোশে পায়ের চিহ্ন মুছে দেয় ধুলো
শ্বাসের শেকড়ে পাথর ও সুতো বেঁধে রাখি
এরপর তুলো ভিজিয়ে রাখি তরল আয়ুতে
তবু বিকেল, সন্ধের মাঝে কোনও জেব্রাক্রসিং নেই