অর্ঘ্যকমল পাত্র-র কবিতা
ব্যর্থতা থেকেই
কথাটি গোপনে রাখা; কীভাবে তবু না জানি, গড়াল ওই জল…
তুমিও শুনলে সব, স্পষ্ট রাগ দেখি ঠোঁটে; চলে যাবে ছেড়ে?
তা তুমি যেতেই পারো, কেনই বা আটকাব অযথা বিভ্রমে
‘জঘন্য যুবক আমি’— প্রমাণ করতে হবে কথাটি সত্যই
নইলে তো মিথ্যা হবে দিয়েছ যা প্রবচন হঠাৎ করেই…
এবং এ ফিরতি পথে, তোমাকে করব খুন—এটুকু নিশ্চিত
কিন্তু অতর্কিতে মুখ, তুমি শেষে পুনরায়, ফেরালেই আর
ওই ও-ছুরি, বিঁধল বুকে আমার!
ভ্রম
বিপদে স্মরণ করা মানে সে তো গ্রহণযোগ্যতা
আদতে এমন ভুল ভ্রমের বশেই এসেছিল
নইলে কবিতা দিয়ে প্রেমিক সাজার এই মোহ (!)
পাতায় জাহির করা কলার ওঁচানো ভাবাবেগ…
উচ্ছন্নে যাবার ডাকে তুমিও শামিল হলে বোকা
এবার কোথায় শোবে? ঘুম তো আসবে রোজদিন;
গভীর চুলের স্নেহ আগলে রাখার এই দায়—
বৈভবমুখীতা চায়
বরং পালাও ছেড়ে আমার আঙুল
এখনও সময় আছে; বাল্যকাল ধুতে ধুতে আমি
ভেবে নেব ‘ছেড়ে আসা’ নিছকই অল্পবয়সী ভুল
স্মরণ বিপদেই আসে, তাকে আত্মঅনুসন্ধানের পথে চিনতে পারাটাই একটা বড় কাজ। এ কবিতা যেনো আয়না হয়ে ওঠে, চমকে উঠতে হয়। আমাকে মুহূর্তে নিয়ে যায় বর্তমানে থেকে বিশ শতকের কবিতার কণ্ঠস্বরে। নতুন আঙ্গিকে । আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে বলতে ইচ্ছে হয় , কবিতা বাঁচে , বাঁচার আর্তনাদে, সেখানেই জীবনের গান এ কথা আজও কেউ কেউ বলে।
অন্যরকম ভালো লাগা 💐💐