
শ্রাবণী গুপ্ত -র কবিতাগুচ্ছ
পুজো সংখ্যা
১.
কত জায়গায় যে তোমার নাম দেখি!
তোমার নামের পাশে অন্যমনস্ক বসে থাকে
অযথা কয়েকটি নাম
অযথা অন্যমনস্ক হয়ে পড়ি
দেখি—ঢিলছোঁড়া দূরত্বে একটি দাঁড়কাক
কেবল তোমার আসার কথা বলে যাচ্ছে
আমি জানি এমন কোনো অজুহাত নেই
যা তোমাকে আমার কাছে নিয়ে আসে
কিংবা
তোমার নামের পাশে অযথাই
বসিয়ে দেয়—
আমার নাম।
২.
গতকাল দীপারুণকে দেখলাম
ওঁর স্ত্রীর পাশাপাশি হেঁটে যাচ্ছেন
কী নম্র—সেই হেঁটে যাওয়া!
যেন ওঁর পাশে ওঁর স্ত্রী নয়
হেঁটে চলেছেন
স্বয়ং দুর্গা।
৩.
ট্রেনে দেখলাম একদল কিশোরী
আহা—
যেন একেকজন ছোট ছোট দুর্গা
খোলা চুল
ঢালা সিঁদুর
কপালে আনকোরা বড় একখানা সিঁদুরের টিপ
নাকের নথ থেকে খুব সন্তর্পনে যেন
ঝরে পড়ছে একেক ফোঁটা শিশিরবিন্দু
শ্যামবাজারে আজ ওদের মহালয়ার অনুষ্ঠান
দ্রুত পৌঁছতে হবে বলেই কি ওরা
আলতা পায়ে স্নিকার্স পরে এসেছে!
৪.
শিশিরবাবুর গতকাল
অনুষ্ঠানে পৌঁছতে দেরি হয়েছে
সেজন্য উপস্থিত সকলের কাছে উনি
ক্ষমাও চেয়ে নিলেন
জানি ক্ষমা চাইলে কেউ কখনও ছোট হয়না
কিন্তু কিসের জন্য ক্ষমা
উপস্থিত সকলে কি জানেন না
মহালয়া মানেই দেবীপক্ষের সূচনা
আর—
ক্লাবগুলোয় ফিতে কাটবার হুড়োহুড়ি!
৫.
আমার ফিতে কাটা নেই
হুড়োহুড়ি নেই
কেবল—
মেঘমুলুক, শব্দপথ, গুহালিপি আর
সমাকৃতি আছে।

