
সব্যসাচী মজুমদার-এর কবিতাগুচ্ছ
ফোঁটায় ফোঁটায়
ফোঁটায় ফোঁটায় সন্ধ্যামণি, শান্ত পাড়ার বাড়ি…
ঠিক এখানেই জল ঢোঁড়া সাপ… এক বাড়িতেই মারি
মারার আগে অবশ্য এক শিশুর চোখের জলে
সুর জমেছে, যাকে সবাই গৌড় সারং বলে
বলার মতো দৃশ্য ছিল — সাপ এসেছে কাছে ,
আমরা যখন ডিম ভাঙলাম তার খোলসের পাশে …
খেলাচ্ছলে এসব ভাঙার শরীরটি অদ্ভুত
একদিকে সে শেয়াল কাঁটা , অন্যদিকে ভূত
ভোরবেলাতে একটা দুটো রোদ উঠেছে… বায়ু
মরার আগে ভিক্ষা করো অন্য কারওর আয়ু ?
এই পুষ্প সংঘর্ষ…
এই পুষ্প , সংঘর্ষ,
বড় ইতিবৃত্ত, বেহুলা – গমন
সরিয়ে রেখেছি … এস …
এই টইটম্বুরে দেখি তোমার প্রগতি
দেখি মূকাভিনয়, ছান্দোগ্য পুরান
দেখি, প্রস্তাবিত মুখ, রাতুল কিরণ …
এখনই সূর্য ডুববে
এখনই কেউ কাউকে ছিঁড়ে খাবে
পাখিদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করতে যাবে কেউ…
গাছ থেকে পড়ে মরে যাবে
ভামের অপুষ্ট ছানা
এস, এখানে দেখি
গড়ে উঠেছে জীবন অবধি জীবিকা…
গন্ধর্ব হয়ে গেছে
গন্ধর্ব হয়ে গেছে বাড়িটা
প্যাঁচাদের ডাক যে গাছ থেকে আসছিল,
তার উল্টোদিকে
ঠুংরিগুলো যেন পরিত্যক্ত ক্ষেত …
মহিমা বুঝি না আমি
মহিমা বুঝি না
কদম বুঝি না
অথচ জলের দিকে যায়
আমাদের মারীচ আখ্যান
সারং বাজান একা আলী আকবর খান…
তোমাকে পুড়িয়ে
তোমাকে পুড়িয়ে গন্ধ শুঁকলে যে আনন্দ হয়,
তার কাছে ক্ষয়িষ্ণু পাহাড়ে দেখা বৃষ্টি আছে
অবশ্য কিছু সে বলে না কখনও
লিপিও লেখে না
জলের এপাশ থেকে সাড়া দিয়ে দেখে
ওপাশে ময়ূর …
মাছি ও মদের মতো এই স্বপ্ন দেখি …
রাস্তার মেয়ের বাচ্চা দেখি
তোমাকে পুড়িয়ে শুঁকি
মোরগ লড়াই বাড়ে
মোরগ লড়াই জমে উঠেছে অযথা …
যেভাবে কেটেছে তার
যেভাবে কেটেছে তার আসন্ন বছর
ঝরে গেছে বীজ, রেণু, ফসলের ঘোর
কাজলের মতো ছিল সহজ শ্রাবণ
তুমিও খোঁজনি তার বীজমুগ্ধ মন
দেখনি চপল ঘুমে ঢলেছে কৃষক
তার স্বপ্নে ডেকে ওঠে রমণীয় বক
কেঁদে ওঠে জনমুদ্রা, অভয়ামঙ্গল
এদের সবার ছিল বাঘের জঙ্গল
ছিল বলতে বৃষ্টিপাত ভোর হয় হয় …
বহুদূরে পুড়ে যাওয়া একা বিদ্যালয়
আর ছিল দেহ তার শ্বাপদের মতো
সমস্তই ছিল ক্ষত, সমস্তই ক্ষত
পথ পুড়ে যাচ্ছে আর পোড়ে ধানক্ষেত
আগুন মানেই হল তোমার সংকেত …