
ঋভু চট্টোপাধ্যায়-এর গুচ্ছ কবিতা
শূন্যতার ব্যাকরণ
এখানেই ভাঙা যেন শরীরের অদৃশ্য ব্যাকরণ।
চুপ থাকার নির্ভেজাল আভিজাত্য বোধ থেকে
বেরিয়ে এলেই একটা হাহাকার পাক খায়
দরজার বুকে।বাইরের মাটি আর কেন্নোর
ঘর বাড়ি এখন বৃত্তের কেন্দ্রে।
দিব্যি সন্ধি ছুঁতে গেলেই গুষ্টির দেওয়ালের
ভিতর পা রেখেই যেতে হবে।এখন কিন্তু
ডালপালাও জানে ঠিক কিভাবে ফলের জন্ম হয়।
ছায়া হাঁটার মানচিত্র
জানা নেই আর ঠিক কতটা পথ হাঁটতে হবে?
যেভাবে সেই পম্পির বুকে ডুব দিয়েই খণ্ড
আঠেরো সিঁড়ি, নাকি যানবাহনের সাথে
রাস্তা বিচ্ছেদ? জানা নেই আমার
নিজের রাস্তাও। অথচ সকালে নিজেকে একটা
খোলসে ডুবিয়ে গড়িয়ে গড়িয়েই দিব্যি বল তৈরী।
জানা নেই কোন অঘটন হলে কোন দোষ
নিয়ে পাশে দাঁড়াবো?এই তো ব্যস্ত, আলুর দামেও
ভিতর শুকিয়ে পিতৃত্ব।জানা নেই কোন ফলে কোন
আত্মা লুকিয়ে? হাঁটছি, হয়ত ওপাশেই আরেকটা রাস্তা।
হাপিত্যেশের ডায়ালিসিস
যেভাবে মেঘ সরিয়ে হাত পড়ে চাঁদের
নিরাপত্তা বলয় আর ফল্গুর মত অশরীরি স্রোত
স্বপ্ন জন্মের পাটিগণিতের ঘরে না হয় সেভাবেই
সরিয়ে খোঁজা হবে প্রাণ আর বুকের ধুকপুক।
একে একে আছড়ে পড়বার আগেই যে হাত খাবার
থেকে মাথার ছাদ, চুরি মানে গর্তের ভিতর।
কালকের মোচ্ছব জমা, একটা গলির মুখে
গাছের ডালে আটকে থাকে হাপিত্যেশের ডায়ালিসিস
তার পরেও সবাই মাথার বাতাস কমে যাওয়ার
ভয়েই চুপ।
সব সমীকরণ তৈরীর মানচিত্রের ডান বা বাম
শুধু মাঝের চিহ্নটাই সমান।
এখন বাহানা মাত্র
একটা সন্ধে গোটানো কচ্ছপ
আড়ি পাতে দেওয়ালের বৃত্তে কান।
কোণে চাপ নিজস্ব ইতিবৃত্ত।
এভাবে অবশ্য এখনও কোন কোশে(ষ)র
বিভাজন হয়নি।রাস্তার পাশে বিশ্রামে ব্যস্ত
কুকুর আর নিজস্ব জানলার ভিতর কতটুকুই
বা পার্থক্য ? এর মাঝেও তো দিব্যি ঘরে ফেরা,
হাঁটা অথবা আরো সব বহু চর্চিত বিশেষণ।
সামনে আয়না, বোঝা যাচ্ছে আত্মা আর ভেলি গুড়
দুটোই জং ধরা কৌটতে বন্দি।
অথবা গণিত
ঘাম আর ভিজে যাওয়ার ভিতর যে গণিত
তার উত্তর শেষ পাতায়। যদিও গাছ নেই
পিছনের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে বেঁচেছে,
পিঠে এখন সভাস্থল ও নিরাপত্তা বলয়।
ছেড়ে ও ছুঁড়ে এই প্রথম মাটির ঋতু গন্ধে
এতদিন শুধু পিছনে ঘোরা থেকে গুপ্তির
স্রোত পাওয়া গেল।
ভালো লাগা একটা ফেলে আসা ভ্রূণ মাত্র।
অথচ হরমোন ও স্নায়ুতন্ত্র ভুলে রাত্রির সাইকেল,
পিছনে সকালের পুরুষাঙ্গ।
একটি ভার্চুয়াল যোগাযোগ
না হয় শরীর ছুঁয়েছে কয়েকটা শব্দ জঙ্গল
চলাচলের রাস্তাতেও যদি নৌকা ভাসে
তার নামে নেহাৎ ধাপ্পা দেওয়ার আরেকটা নাম
লুকোচুরি।একটু আড়াল অন্তত কয়েকটা ভার্চুয়াল
সন্ধে তারপর আবার কবিতার মাদুরে লিকার চা।
দু’এক মুঠো নির্দোষ তেল মাখানো মুড়ি
তাতেই কেয়া বাত…।
যেসব কমিটি তদন্তের কচ্ছপ পিঠে
তাদের শরীরের চুমুর ঠোঁট।
না হয় কয়েকটা উড়োপথ, না হয়
অক্ষরের আঠা বিরক্তির যোগভাগে।
কয়েকটা দিন ভার্চুয়াল গা’ঢাকা।
একটা নতুন মুখোশের আড়ালে নগ্নতার
ভাইরাস থাকলেও ছুঁয়ে দেখা মানেই গঙ্গা নয়,
এক একটা অন্ধকার শুধু আলোর হাত বা
শরীরের মাঝখানে।চুপ মানেও কয়েকটা লাইক,
লুকিয়ে থাকবার আরেকটা নামের আড়াল
আসলে উড়ন্ত কমেন্ট।
কিছুটা গোপন কিছু শূন্যতা
কতটা বাড়াবাড়ি গোপনীয় তর্ক লাগিয়ে রাখে?
একোনো জ্যোৎস্নার ঘর বাড়ি নয়।
যদিও অলিগলির ঘ্রাণে এখন বয়স বাড়ছে।
কোন বে’পাড়ার কুকুর ঘুরপথে এলেও
তৈরী আছে এ’পাড়ার ইটপাটকেল।
এখন শীতের দেরি, বারান্দায় তবুও
কুয়াশার মিছিল, জানলার ওপাশে
খুঁড়ে খায় গোপন বোঝা পড়া।
কতপথ দিব্যি পেরিয়েও এখন ঘাম ও
কলঙ্ক পারিবারিক বিস্কুট ছাড়া চা।
সব কিছু বলবার পরেও শরীরে লেগে থাকা
মেঘ ভালোবাসার কোশ বিভাজন।
যদিও কোন শিক্ষক নেই তবুও বায়োলজির
সব চোখেই এক একটা সেমিকোলন আঁকা আছে।
এবারের কবিতা বিভাগ আমার মন কেড়ে নিয়েছে। অসাধারণ কিছু কবিতা পড়লাম ।একেবারে সতেজ
এবারের কবিতা বিভাগ আমার মন কেড়ে নিয়েছে। অসাধারণ কিছু কবিতা পড়লাম ।একেবারে সতেজ।
এবারের কবিতা বিভাগ আমার মন কেড়ে নিয়েছে। অসাধারণ কিছু কবিতা পড়লাম ।একেবারে সতেজ।
ঘুরে ফিরে আবার পড়তে ইচ্ছে করছে।
ভালো লেখা হয়েছে।