
কমলিকা দত্ত -র কবিতা
উনুনে পাঁচটি কবিতা
১.
কথা হচ্ছিল মেয়েটির লেখা নিয়ে। উনি বললেন, মেয়েলি। সেই একঘেঁয়ে নাভিতে জড়ানো কান্না, মিনে করা শোক, ঝাঁপতাল, সিঁথিপাটী –চর্বিতচর্বণ। শুনতে শুনতে মনে পড়ে গেলো রুমা দির “ছায়ানট”। এর বাইরেও কত কি উড়েছে দালানে ! লিখতে লিখতে ন্যাড়া হয়ে গেছে কতবার ! রুমা দি, অ-সুখ এবং একটি কবিতা এখনও বাঁধছে বিনুনি…
২.
রুমা দি বলত ” জন্ম থেকেই ক্যান্সার ঘরে ঘরে।
এই যে লিখছি… এসব আসলে কেমোথেরাপির মত। মরার আগে যতটুকু যায় বাঁচা ।” কত চুল গেছে মরে। তা ব’লে একটা চিরুনি দিবি না আমায়!
৩.
উনি বললেন… কবিতা লিখতে হলে,
আমি বুঝলাম, মাথাহীন ঘন চুল, বিলিকাটা নিরিবিলি, তুমুল রেশমচাষ, কাঁথাস্টিচে গাঁথা খাজুরাহো উপাচার, ক্ষমাহীন এক অমাবস্যার চাঁদে অন্ধকারের কামড় , বিপন্ন অ আ ক খ, আর এইভাবে যতদূর গেলে আপনি মহিলা কবি, ওরফে একঘর ব্ল্যাকআউট…
৪.
কথায় কথায় ‘বলিষ্ঠ’ শব্দটি এগিয়ে আসতে — বিপুল একটি ‘হাঁ’। হাঁ এর ভিতর আস্ত একটা বাজার। উঠে আসলাম ঢোক গিলবার আগে। বাড়ী ফিরে দেখি নারী দিবসের শুভেচ্ছাগুলো জমিয়ে, মা একখানা কিচেন বানিয়ে ফেলেছেন। উনুনে পাঁচটা কবিতা চড়িয়ে দিলাম। রুমাদির মত, বাঁচতে তো হবে আমাকে…
৫.
কবিতার পাশে গোলাপ জলের রেসিপি।
আমরা নামব গভীরে,
যেখানে শুধুই মেলানিন কথা বলে
একটু ধরুন,
পিছ’লে রেখেছি পা…
সমতা যাচ্ছে হড়কে…