
মণিশংকর বিশ্বাস-এর কবিতা
আমার ভালোবাসার অন্ধকারে
১.
দিনগুলি রাজহাঁস, দূর দিয়ে ভেসে যায়
তোমার অনেক কিছুই ভালো লাগছে
সন্ধ্যায় করবীফুলের শাদা ব্যর্থতার প্রায়
অসংখ্য গতিতে রাতের ট্রেন থেকে দেখা
ছোট হল্ট স্টেশন (গাড়ি থামেনি)
আলোর ফুলকির মতো ছিটকে যাচ্ছে নেশার পিরামিড,
ভোরের পাখিরা।
২.
বাগানে অগ্রন্থিত মালা ফুটেছে রোদ থেকে
ভোর হতেই চায়ের দোকান উঠেছে
মানুষজন সরাসরি ঘুম থেকে নেমে এসে
আবার স্বপ্নের দিকে হেঁটে যায়
এখানে আমার নিজস্ব বলতে কিছু নেই
শুধু স্মৃতি
আর যৌনকাতরতার ভিতর দৌড়ে যাচ্ছে, পড়ে যাচ্ছে,
শূন্যে উঠে ডিগবাজি খাচ্ছে, তিনটি তামার পয়সা
৩.
খুব জোর সূর্য
বেগানা গাছের ছায়ায় বসে মনে হয়
এমন উপেক্ষা ভালো।
দূর থেকে নিশ্চিন্ত জীবনের ছবি ভেসে আসে
পাহাড়ের গায়ে চমৎকার স্কুলবাড়ি, ছেলেরা ফুটবল পেটাচ্ছে…
রেললাইনের উপর পড়ে থাকা
ভাঙা চশমার ডাটি মনে করাল,
অনেক কথা বাকি থেকে যায়
অনেক কথা বাকি থেকে গেল—
টুকিটাকি যন্ত্রপাতি, ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট
আবাসনের পিছনে সূর্যাস্তে মেশা কচুরিপানা ফুল
৪.
আঁতে ঘা লাগছে দুপুর-দুপুর
শ্রদ্ধেয় ফুলগাছটি ফুল ছড়িয়ে দিয়েছে রাস্তায়
পুরুষ না মহিলা বোঝা যায় না, এমন একটা লেখা,
সকাল থেকে ঘুর ঘুর করছে—
চারপাইয়ের ওপর বসে কান চুলকাচ্ছে
৫.
এত অত্যুজ্জ্বল থেকে যাচ্ছ
সমাধির পরও মোরগ ডাকছে
উজালার গুঁড়ো এসে লাগছে চোখেমুখে
শহরে এমন লোককথা—
অধঃক্ষেপ থেকে ছেলেরা কুড়ায়
বাল্যবিবাহের মালা, খেলনা পিস্তল
৬.
ছোট একটা ঘরে বসে আত্মা কেশেই চলছে—
এক ঝলক দেখা দিয়েই হারিয়ে যায়
কবিতার লাইন—
একটা পাখির মতো ডেকে ওঠে আবার
প্রায়ান্ধকার নীল সন্ধ্যায়, আমবনে।
দূরে ছাদের উপর, তোমার রক্ষণশীল শাড়ি থেকে
খসে পড়ছে গ্রহতারা, পোষা ধূমকেতু
কাঠবেড়ালির ছানা…


মণিশংকর বিশ্বাসের কবিতাগুচ্ছ অসাধারণ লাগলো।
মণিশংকরের লেখাগুলি বেশ ভালো লাগল।
অপূর্ব লাগলো
মারাত্মক ❤️❤️
মণিশঙ্করবাবুর কবিতা অসাধারণ লাগল।🙏
“দিনগুলি রাজহাঁস, দূর দিয়ে ভেসে যায়…”
“মানুষজন সরাসরি ঘুম থেকে নেমে এসে
আবার স্বপ্নের দিকে হেঁটে যায়….”
“বাগানে অগ্রন্থিত মালা ফুটেছে রোদ থেকে…”
“ছোট একটা ঘরে বসে আত্মা কেশেই চলছে—…”
কি সমস্ত লাইন!!
খুব ভালো লাগল মণিশঙ্কর বিশ্বাসের কবিতা গুলি