
ঔরশীষ-এর কবিতা
ভস্মের আখর- ২১
অন্ধকার মানুষের বুকে ফোটে আগুনের ফুল
লেলিহান জীবনের মরিচীকা স্মৃতির হারেম
ওখানে আমার ঘর পরিচিত স্নেহের আঙুল
শ্মশানের ছাই মেখে মন্ত্র জপে শোক আর প্রেম
একই দেহে বহু মন, বহু দেশ, কলোনি ও পাড়া
বিলাবল আশাবরী সব শেষে বেজেছে মলহার
উজানের নিশিডাকে কখনো বা দিয়েছিলে সাড়া
জলের অনেক নিচে শুয়ে আছে প্রতিমা আমার
নিজের হাড়ের গ্রন্থি বুনে চলা অলস সময়
কবিতা লেখার নামে গড়ে তুলি ভ্রমের প্রাচীর
অস্তিত্বের জাদুঘরে দেখি কী বিপুল অপচয়
মদের পিরিচ হাতে মুখোমুখি মির্জা আর মীর
অন্ধকার মানুষেরা বৈশাখের ঝড়ে মিশে যায়
বালির প্রাসাদ যেন, ভেঙে পড়ে ঢেউয়ের ধাক্কায়
ভস্মের আখর- ২৭
কীসের ইশারা তবু সাজিয়ে রেখেছ রাত্রিকালে?
ফুলের উল্লাস নাকী স্বপ্নের ভঙ্গিমা রপ্ত করি
মেধার রহস্যে বাঁধো, যেন আজ ধ্বংসের প্রাক্কালে
অভিশাপ হয়ে নামে অমর্ষে আহূত এক পরী
তাহার গোপন সুর বিষ হয়ে ওষ্ঠ ছুঁয়ে যায়
অশুভ ঘুমের শেষে, সিঁড়ি ধাপ গুনে উঠে আসি
বিষাদ আলোয় ভিজে পৃথিবীর শেষ দরোজায়
নিজস্ব দোজখ খুঁজি, চোরাস্রোত তরঙ্গ প্রয়াসী
সুদূরপ্রসারী রাত আর অন্ধকারাবৃত দিন
শোক পালকের দল মজিয়েছে স্মৃতির বাসর
অথচ হিমের স্পর্শে দেহময় জেগেছে আশ্বিন
পাঁজর কোঠায় দেখি ছয় ভৃত্যে জমেছে আসর
নিজেকে খুঁজেছি আমি লোকায়ত ধারণার ভিড়ে
চন্দ্রাহত মানুষেরা মিশে যায় ঘাসের গভীরে

