
সায়ন্তনী ভট্টাচার্য-র কবিতা
নক্ষত্রে ঝড়ঝাপ্টার ধুলো
১
যে এতদিন ভালোবাসলো না আর ক্লান্তিতে পাঁজর ধুয়ে যায়, শিরদাঁড়া বোকা বোকা লাগে। মানে ছোট হতে হতে তুমি ম্যানহোলের শেষপ্রান্তে গিয়ে দ্যাখো অন্য পৃথিবী, গহনা সোনার মতো দাম, মণিমুক্তো মনের দুয়ারে…শেষে ভাঙা চশমায় সুতো বেঁধে কোনোমতে চোখ তুলে দেখলে ডানা উড়ে যাচ্ছে ধুলোর পাড়ায়
২
আমাদের কেউ না বুকের মধ্যে ঝমঝম বাজে। কেউ না, কখনো না, শুধু হাওয়ায় ধাক্কাবাজি, দুপুর দখিন দুয়ারে, পা মুছে এসেছে আজি বিষাদ ভোরের ভুল। ভুল যা রিসাইকেল করে দেবে ভেবে আবর্জনা-গাড়িতে তুলে দিলে। হাত ধরে কাশবন, ফুলে সাদা, চুম্বনে আলো। শেষে আরো ভুল। যা কিছু পাখির দিনে ছিল, উড়ে যায়। জি এস টি সামান্য কমে। তাতে কিছু হয় না। যে যেমন আছে, সে তেমন থাকে। অল্প আয়ুতে চাঁদ লাগে দ্বিতীয়ার। ততটুকু দেখা যায়। বাকি অন্ধকার।
৩
কবিতা শব্দ ভেঙে, অক্ষর ভেঙে, শেষে বুক ভেঙে দিলো। ভাঙা ইট, সিমেন্ট খসা, পুরনো বাড়ি ছেড়ে সবাই চলে গেছে, ফিরবে না কখনো। পুজোতেও না। তাতে হৃদয় বসালে। রক্ত সঞ্চালন হল না খানিক। ধূ-ধূ ঢুকে এলো। বুকে ধূ-ধূ ঘর। তার হাজার জানালা।
৪
আমাদের মস্ত বড় নক্ষত্র, দিনে আলো দেয়, রাতে আলোর প্রস্তুতি নেয়। ঝড়ঝাপ্টা আলো ঢেকে দেয়। এ পর্যন্ত অর্থ বোঝা সোজা। তারপর সে কেন, এ কেন ঢুকে আসে। হ্যাঁ, না-তে উত্তর হয়, ৯৯% নাম্বার পেয়ে দুম করে সফলতা গিলে ফেলি। হালকা পলেস্তারার জামায় পুজো কাটিয়ে দেবো ভাবি। পুজো কাটে না। গোটা দিনে শতবর্ষ হয়। গোল্ডেন, প্ল্যাটিনাম জুবিলি শেষে খুব খিদে পায়। ধুলো ছাড়া কেউ কোনো অপেক্ষায় নেই। আর তার আঁধারকুটুম।

