যশোধরা রায়চৌধুরীর কবিতা
ধূর্ত মূর্খ ভন্ডকোষ
এই সেই ভন্ডকোষ।
ধূর্ত আর মূর্খের সমন্বয়ে এই সেই নিজস্ব পতন।
পতনের উন্মুখতা এই সেই, বাক্স এক, পেটিকা, সিন্দুক।
খুলে ধরলে বিচ্ছুরিত নতুন প্রচারমুখী ছলা
বন্ধ করলে সারা দেহে সজারুর মত কালো শলা।
বিঁধে যাবে চোখে অন্ধঘৃণার অছিলা।
শলাকায় বিদ্ধ মাংস, সেইমত ছটফট কর।
প্রতিটি মানুষ জানে কীভাবে খাদ্যের জন্য প্রবল আকুতি
আমাদের চেপে রাখে অনন্য খাঁচায়।
বেঁচে থাকা এক প্রকার খাঁচা, তবু আমরা সহেছি।
ভন্ডকোষে বেঁচে থাকা অভ্যাস করেছি।
একইসঙ্গে ধূর্ত হতে হতে রোজ মূর্খ হয়ে গেছি।
পৃথিবী জানেনা কিছু, বড় সে সরল।
মানুষ কেবল জানে, মানুষের নিজস্ব নির্মাণে
এই ত সভ্যতা, যন্ত্র, এই ত ভন্ডের ছলাকলা।
২
ভন্ডের ভান্ডে আছে বিবিধ বিষয়
কিছু অন্ন মধু আর কিছু বিষ হয়
ভন্ডের জীবনের প্রতি অণু পল
কখনো উছল হয় কখনো নিশ্চল
উত্তাল সমুদ্রের যত আলুথালু
এই ঢেউয়ে ওই ঢেউ, মুহূর্তে নিদ্রালু
এই বুঝি সৎ হল মনটির মতি
পরমুহূর্তেই তার কী যে অধঃগতি
মিথ্যার বাষ্পে চাপে যেন লৌহযান
শকটে কপটবায়ু দিয়েছে উত্থান।
ভন্ডের কোষে আছে নানা রূপ চাবি
কাম ক্রোধ ঈর্ষা মোহ , যত বেশি ভাবি
তত বেশি মূর্খ হই যত ধূর্ত হবে
বৃত্তাকারে বয়ে চলবে , গর্তে গিয়ে রবে
ভন্ডের বাক্সো প্যাঁটরা খুলতে খুলতে বেলা
ভান্ডে ভান্ডে রাখা আছে কত ছলাকলা
ভন্ড যদি হতে চাও, নাম লেখাও এবে
লাল সালু মোড়া এই খাতা – কাব্যে নেবে।
উন্নতমানের লেখা । পড়ে ভালো লাগলো ।