
সোনালী চক্রবর্তীর কবিতা
বোধন অথবা বিসর্জন
অন্তরীক্ষে আলোর দূর্বা বুনি, ভূমে ঢালি স্ফটিক জলের মধু… এসবের অনেক অনেক আগে, গর্জন উজ্জ্বল দানের চোখে দেখে নি কীভাবে সামান্য বিচুলীকে সুবর্ণে বদলে দেয় দুটো অভাবী হাতের তালু। কয়েক আহ্নিক শেষে যাযাবর চাঁদের লীলা ফুরায়। তখনো সহস্র দর্পণে বাঁধা বিশ্বাস, ছেঁড়া ঘট গেঁথে রমতা শ্যওলায়। ধর্ম কিংবা উৎসব কখনো জানলো না- বিষাদ যতটা ঈশ্বরীর, জলেরও অধিকারে অতটা নয়।
কুণ্ডলিণী
ভেজা ভেজা মেঘেদের মাথুর দেখলেই মৃত ফুলেদের উপত্যকায় খুঁজতে বেরোতাম অভিমানের বাড়ি। আর প্রতিবার ধনুকের রঙ ফিকে হতে হতে পড়ে থাকতো শুধু বালি। দীর্ঘশ্বাসের ব্যাজস্তুতি আমার করায়ত্ত হয়নি, যেহেতু অনিবার্য নির্বাণ আঁকা যার প্রতিটি খোলসে সেই সুপ্রাচীন সর্পকেই আমি ‘প্রেম’ নামে ডাকি। মাঝে মাঝে পরমান্ন রোদ্দুর উঠলে এখনো স্থবির নিয়তিকে তথাগত বোধে ভুল করে বসি। প্রশ্ন রাখি, আহুরা মাজদা! বৃষ্টি কবে আসবে? আর তারপর… একটা করে সূর্য ভেঙে যেসব জোনাকির জন্ম দিয়েছি, গুনে গুনে হিরণ্ময় ব্যর্থতা হয়ে বেঁচে থাকি।
খুব সুন্দর দুটো লেখাই…
সুন্দর লেখা।