
সবর্ণা চট্টোপাধ্যায়- এর কবিতা
ঋষিপুরুষ
জাগে রাত, দিনের আলো ঠিক,
বৃষ্টিপাহাড়, ভারী-
লজ্জাবতী’র পাতারা ফার্ণের প্রাণ ছুঁয়ে
চাঁদের দিকে দ্যাখে-
কী অপূর্ব ছটা-
যেন এক ঋষিপুরুষ, উজ্জ্বল- সূর্যের মতো!
চোখ ভেদ করে ঠিকরে আসে জল।
পরস্পর আঁকড়ায়- জিভ,
যেমন কোন হিংস্র পশু আঁচড় মারে তেমন
পিঠে খেলা করে থাবা!
আমি তো নিশ্চল নই,
নইতো কাষ্ঠলও –
বিদ্যুৎ ঢালো, দুরন্ত গতিতে নাড়ায় মহাকাশ,
সমুদ্রে কী উল্কাপাত,
জাগে রাত, দিনের মতো আলো-
ওগো, ঋষিবর তুমি কি আবার সংসারী হতে পারো না?
=
শূন্য হতে হতে
=
যে গন্ধে মাতে হাওয়া, নতুন ধান যেন
শরীরে ফোটে সোনা হয়ে-
পাখি ডাকে স্বচ্ছ জলের কাছে,
শুনতে পাও?
এত আকুল, এত কাতর!
তাও পাহাড় তো নিশ্চল,
মেঘ দেখেও ধরতে চায় না, শুধু ছুঁয়ে থাকার
লোভ সামলাতে না পেরে বার বার মাথা তোলে
আলোর দিকে-
অন্ধকারে তার ভয়! লুকোয় জলে জঙ্গলে।
এ স্থাবিরতা বড়ো প্রিয়-
পাখিরা ধানের বীজ এনে ফেলে পাথুরে গায়ে,
শুনতে পাও কান্নাও ভেসে আসে কোথাও?
কতবার কত ডাক, তবু হাওয়া–বড়ো একা
শূন্য হতে হতে ভুলে যাই সাথে কোন পথিক ছিল কিনা!