
সংকেত হিসেবে আধুনিক চিত্রশিল্প
কার্ল গুস্তাভ ইয়ুং
অনুসৃজনে রিনি গঙ্গোপাধ্যায়
আমি শুরু করব মনস্তাত্ত্বিক সত্য দিয়ে যা একজন চিত্রশিল্পীর সব সময় ব্যবহৃত প্রধান যন্ত্র এবং মুখপাত্র যা দিয়ে তার সময়ের মর্মকে বোঝা যায়। তার কাজ হয়তো আংশিক বোঝা যাবে তার ব্যক্তিগত মনস্তত্ত্বের নিরিখে। সচেতনভাবে বা অসচেতনভাবে একজন শিল্পী বিন্যাস ও তার সময়ের মূল্যবোধ দান করে প্রকৃতিতে যা তাকেও বদলে দিয়েছে।
‘আধুনিক শিল্প’ বা ‘আধুনিক চিত্রকলা’ এই পরিভাষা এখানে ব্যবহৃত হচ্ছে অ-বিশেষজ্ঞ সাধারণ মানুষ তাকে যেমন ভাবে ব্যবহার করে তেমন ভাবে। কুহক এ বিষয়ে যে পরিভাষা ব্যবহার করেছেন আমিও তা করতে চাই – ‘আধুনিক কল্পনাশ্রয়ী চিত্রকলা’। এই ধরনের চিত্রকলা বিমূর্ত বা অবিশিষ্ট হতে পারে। কিন্তু তাদের সব সময় এমনই হওয়ার প্রয়োজন নেই। আধুনিক চিত্রকলাকে বিভিন্ন ফর্মে বিভক্ত করে দেখাবার কোনো চেষ্টা আমি করব না। যেমন, ফিউবিজম্, কিউবিজম্, এক্সপ্রেসানিজম্, ফিউচারিজম্, সুপারম্যাটিজম্, কনস্ট্রাক্টটিজম্, অরফিজম্ ইত্যাদি। এই ইজম্গুলোর মধ্যে কোনো বিশেষ পূর্বসূত্র বা প্রসঙ্গ বেশ ব্যতিক্রমী হবে।
আধুনিক চিত্রকলার নান্দনিক পার্থক্য তুলে ধরতে আমি আগ্রহী নই। এমনকি কোনো শিল্পীর মূল্যায়নও করতে চাইনা। আধুনিক কল্পনাশ্রয়ী চিত্রকলা এখানে গৃহীত হয়েছে একেবারেই আমাদের সময়ের প্রপঞ্চ হিসেবে। এটাই একমাত্র পদ্ধতি যার দ্বারা এর সাংকেতিকতার ন্যায্য ও যথার্থ উত্তর পাওয়া সম্ভব। এই প্রবন্ধটিতে খুব কম সংখ্যক চিত্রশিল্পীকে উল্লেখ করা সম্ভব এবং এলোমেলো ভাবে তাদের কিছু চিত্রকলাকে নির্বাচন করা হয়েছে। আমি আধুনিক চিত্রকলার আলোচনায় খুব কম সংখ্যক প্রতিনিধি স্থানীয় ছবি নিয়ে আলোচনা করব।
আমি শুরু করব মনস্তাত্ত্বিক সত্য দিয়ে যা একজন চিত্রশিল্পীর সব সময় ব্যবহৃত প্রধান যন্ত্র এবং মুখপাত্র যা দিয়ে তার সময়ের মর্মকে বোঝা যায়। তার কাজ হয়তো আংশিক বোঝা যাবে তার ব্যক্তিগত মনস্তত্ত্বের নিরিখে। সচেতনভাবে বা অসচেতনভাবে একজন শিল্পী বিন্যাস ও তার সময়ের মূল্যবোধ দান করে প্রকৃতিতে যা তাকেও বদলে দিয়েছে।
একজন আধুনিক শিল্পী নিজেই প্রায়শই চিনতে পারেন তার কাজ ও তার সময়ের আর্ন্তসম্পর্ক। তাই ফ্রেঞ্চ সমালোচক ও চিত্রশিল্পী জিন বাজাইন তাঁর ‘নোটস অফ কনটেম্পোরারি পেইন্টিংয়’এ লিখেছেন, কেউ তার নিজের ইচ্ছেমতো ছবি আঁকে না। যা একজন শিল্পী করতে পারেন তা হল তাঁর সময়ের সামর্থ্য অনুযায়ী ছবি আঁকতে পারেন।’ জার্মান শিল্পী ফ্রান্ৎস মার্ক, যিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মারা গিয়েছিলেন, বলেছিলেন , ‘বড় শিল্পী তাদের ধাঁচ কখনোই অতীতের কুয়াশায় মধ্যে সন্ধান করেন না , বরং তারা সময়ের অকৃত্রিম গভীরতর অভিকর্ষকে শোনার চেষ্টা করেন।’ এবং ১৯১১ তে ক্যান্ডিনস্কি তাঁর বিখ্যাত রচনা ‘কন্সার্নিং দ্য স্পিরিচুয়াল ইন আর্ট’এ লিখেছিলেন , ‘শিল্পের প্রত্যেকটি পর্ব আমাদের তার নিজস্ব শিল্পীত স্বাধীনতার পরিমাপ দেয়। এমনকি সর্বাধিক সৃজনশীল প্রতিভাও কখনোই সেই স্বাধীনতার সীমাকে অতিক্রম করতে পারে না।’
শেষ পঞ্চাশ বছরে আধুনিক চিত্রশিল্প এতটাই বিতর্কিত হয়ে উঠেছে যে এর আলোচনা যাবতীয় উত্তাপ হারিয়েছে। ‘ইয়াস’রাও ‘ন্যাস’দের মতোই উৎসাহী। যদিও সেই অবসরকালীন ভবিষ্যৎবাণী যে আধুনিক চিত্রশিল্প শেষ হয়ে গেছে – এখনো পর্যন্ত সত্য হয়নি। নতুন অভিব্যক্তির সাফল্য প্রায় অকল্পনীয়। যদি এটা হুমকির সম্মুখীন হয় তবে তার কারণ হলো এর বিশেষ ধরনের অবক্ষয় ও শালীনতা। (সোভিয়েত ইউনিয়নে অবিশিষ্ট চিত্রশিল্প আনুষ্ঠানিকভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়। এগুলি ব্যক্তিগতভাবে তৈরি হয় , বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী একইভাবে তার অবক্ষয়ের জন্য অবলুপ্তির মুখে পড়ে।)
ইউরোপের সাধারণ বাসিন্দারা যেকোনো মূল্যে এখনো এই দ্বন্দ্বের উত্তাপের মধ্যে রয়েছে। এই আলোচনার সহিংসতা দেখায় যে দুই শিবিরেরই উত্তাপ চড়েছে। এমনকি আধুনিক চিত্রশিল্পের প্রতি যারা প্রতিকূল তারাও তাদের প্রত্যাখ্যাত শিল্প দ্বারা প্রভাবিত, তারা বিরক্ত, তারা প্রতিহত , কিন্তু তারা সরে যেতে পারেনি (যেমন সহিংসতা তাদের অনুভূতি দেখিয়েছে)। নিয়ম অনুযায়ী নেতিবাচক আকর্ষণ কখনোই ইতিবাচকতার থেকে শক্তিশালী নয়। আধুনিক চিত্রশিল্পের প্রদর্শনীশালাগুলিতে যে দর্শকদের প্রবাহ , যেখানে এবং যখনই সেটা প্রদর্শিত হোক না কেন , কৌতুহল এর চেয়ে কিছু বেশি সেখানে দেখা যায়। কৌতূহল তাড়াতাড়ি নিবৃত্ত হয়ে যায়। এবং যে দুর্দান্ত মূল্য আধুনিক চিত্রশিল্পের জন্য নির্ধারিত তা প্রমাণ করে সামাজিক পদমর্যাদার উচ্চস্তর যা আধুনিক চিত্রশিল্পের ওপর প্রদান করা হয়।
অচেতন সরে গেলে মুগ্ধতার উদয় হয়। আধুনিক চিত্রশিল্পে আমরা যে শিল্পকর্ম দেখি তার দ্বারা সবটা ব্যাখ্যাত হয় না। যে চোখ ধ্রুপদী ও সংবেদনশীল চিত্রশিল্প দেখে অভ্যস্ত তাদের চোখ এক্ষেত্রে নতুন ও বেমানান। অবিশিষ্ট চিত্রশিল্পে এমন কিছু নেই যা দর্শককে তার নিজস্ব পৃথিবীর কথা স্মরণ করাবে – কোনো লক্ষ্যবস্তু নেই যা দর্শকদের প্রতিদিনের যাপনে উঠে আসে, কোনো মানুষ বা পশু পরিচিত ভাষায় কথা বলে না। সেখানে কোন আবাহন নেই, দৃশ্যত কোন মহাজাগতিক ঐক্য নেই যা চিত্রশিল্পী তৈরি করেছেন। যদিও প্রশ্নাতীতভাবে সেখানে একটি মানবিক বন্ধন আছে। সংবেদনশীল চিত্রশিল্প সরাসরি যে আবেদন ও সহমর্মিতা তৈরি করে অনুভূতির জগতে তার থেকে এই আধুনিক চিত্রশিল্প হতে পারে আরও তীব্র।
অন্তর্দৃষ্টি কে অভিব্যক্ত করায় আধুনিক চিত্রশিল্পীর লক্ষ্য। সেই সঙ্গে আধ্যাত্বিক পটভূমি ও বিশ্বের কথাও তুলে ধরতে চান আধুনিক চিত্রশিল্পী। আধুনিক শিল্পের কাজ পরিত্যক্ত হয় শুধুমাত্র প্রাকৃতিক সংবেদনশীল পৃথিবীতে কংক্রিটের রাজত্বের কারণেই নয় – তাছাড়াও ব্যক্তিত্বের কারণে। এটা পরবর্তীকালে অত্যন্ত সমষ্টিগত (এমনকি সচিত্র হায়ারোগ্লাফির সংক্ষেপণও যদি হয়) এবং তার ফলে তা অল্পসংখ্যককে না ছুঁয়ে, অনেককে ছুঁতে পারে।
যা থেকে যায় তা হল ব্যক্তিক উপস্থাপনা পদ্ধতি, সেটাই আধুনিক চিত্রশিল্পের স্টাইল ও গুণগতমান। একজন সাধারণ মানুষের কাছে এটা খুবই কঠিন বোঝা যে কোথায় চিত্রশিল্পীর অভিপ্রায় অকৃত্রিম ও তাঁর প্রকাশ স্বতস্ফূর্ত, আর কোথায় সীমাবদ্ধ বা তার প্রভাব লক্ষিত। অনেক ক্ষেত্রেই চিত্রশিল্পী নতুন ধরনের রেখা ও রঙে নিজেকে অভ্যস্ত করে তুলতে চায়। সে অবশ্যই সেগুলো শিখবে যেমন সে একটা বিদেশী ভাষা শিখতে পারে, তারপর সে বিচার করতে পারে ছবির অভিব্যক্তি ও গুণগতমান।
আধুনিক শিল্পের প্রবর্তকরা স্পষ্টতই বুঝতে পেরেছেন তারা জনসাধারণের দ্বারা কতটা জিজ্ঞাসিত ছিলেন। কখনোই চিত্রশিল্পী অনেক ম্যানিফেস্টো এবং তাদের লক্ষ্যের ব্যাখ্যা প্রকাশ করেন না বিশ শতকের চিত্রশিল্পীদের মতো। যাহোক এটা শুধুমাত্র অন্যদের কাছেই নয় , তাঁরা ব্যাখ্যা ও ন্যায়সঙ্গত করার প্রয়াস করেছেন তাঁদের কাজকে। এটা অবশ্যই তাঁদের নিজেদের কাছেও তারা চেষ্টা করেছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ম্যানিফেস্টোগুলি বিশ্বাসের শৈল্পিক স্বীকারোক্তি – যে অদ্ভুত ফলাফল আজকের শৈল্পিক ক্রিয়াকলাপের তাকে স্পষ্টতা দানের কাব্যিক ও প্রায়ই বিভ্রান্ত অথবা স্ববিরোধী প্রচেষ্টা।
অবশ্যই প্রধান বিষয়টি হলো চিত্রশিল্পের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ। এখনো মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের জন্য যারা আধুনিক চিত্রশিল্পের সংকেত বিষয়ে চিন্তিত এই ধরনের লেখা পড়া তাদের পক্ষে শিক্ষামূলক। এই কারণে চিত্রশিল্পী যখনই সম্ভব হয় এই ধরনের আলোচনায় নিজেদের কথা বলে থাকেন।
আধুনিক চিত্রশিল্পের সূচনা হয়েছিল উনিশ শতকের প্রথমার্ধে। সেই প্রাথমিক পর্বে একজন অন্যতম হৃদয়স্পর্শী ব্যক্তিত্ব হলেন ক্যান্ডিনস্কি, যার প্রভাবে সন্ধান করা যায় বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত। তাঁর বহু ধারণা ভবিষ্যৎবাণী মূলক বলে প্রমাণিত। ‘কন্সার্নিং ফর্ম’ প্রবন্ধে তিনি লিখেছেন ‘বর্তমান চিত্রশিল্প উদ্ঘাটন করে আধ্যাত্বিক পরিপক্কতার মূর্তি। এই রূপটির ফর্মগুলি সাজানো যেতে পারে দুটি মেরুতে – ১। দুর্দান্ত বিমূর্ততা , ২। দুর্দান্ত বাস্তবতা। এই দুটি মেরু দুটি পথ তৈরী করে, যে দুটি পথ শেষ পর্যন্ত একই লক্ষ্যে পৌঁছয়। এই দুটি উপাদান চিত্রশিল্পে সবসময় বর্তমান থাকে। প্রথমটি অভিব্যক্ত হয় দ্বিতীয়টিতে। আজ মনে হচ্ছে তারা যেন দুটি আলাদা অবস্থান বহন করে। চিত্রশিল্প এই বাস্তব ও বিপরীতক্রমের মধ্য দিয়ে মনে হয় বিমূর্ততার একটি সন্তোষজনক সমাপ্তিতে পৌঁছয়।’
ক্যান্ডিনস্কির ধারণাটি ব্যাখ্যা করতে গেলে বলতে হয় চিত্রশিল্পের দুটি উপাদান – বিমূর্ততা ও বাস্তবতা – দুটি বিভক্ত সংস্থা। ১৯১৩ তে রাশিয়ান চিত্রশিল্পী কাসিমির ম্যালভিচ এঁকেছিলেন একটি ছবি যা ছিল একটি সাদা গোলাকৃতির উপর একটি কালো বর্গক্ষেত্র। এটা ছিল প্রথম সার্থক বিমূর্ত ছবি। তিনি এটা সম্বন্ধে বলেছিলেন, ‘মুক্ত চিত্ররূপের জন্য আমার মরিয়া সংগ্রাম পৃথিবীর লক্ষ্যবস্তুকে নুড়ি মনে করে আমি প্রত্যাখ্যান করেছি বর্গক্ষেত্রের মাধ্যমে।
এক বছর পরে ফ্রেঞ্চ চিত্রশিল্পী মার্সেল ডুচাম্প উপস্থাপিত করলেন এলোমেলোভাবে পছন্দ করা একটা অবজেক্ট (একটা বোতল র্যাক থেকে) স্তম্ভমূল থেকে এবং তাঁর প্রদর্শন করেন। জিন বাজাইন এ বিষয়ে লিখেছিলেন, ‘এই বোতল র্যাকটি তার উপযোগী সত্তা থেকে সমুদ্র সৈকতে ধৌত হয়েছে, বিচ্ছিন্ন হয়েছে , এবং তাকে বিনিয়োগ করে অবরুদ্ধ করা হয়েছে একাকী মর্যাদায়। কোন কিছুর জন্য ভালো নয় অথচ ব্যবহার করার মতো, যে কোন কিছুর জন্য প্রস্তুত , এটি জীবিত। এটি নিজের বিরক্তিকর অযৌক্তিক জীবন যাপনের প্রান্তে বাস করে। এই বিরক্তিকর বস্তু শিল্পের প্রথম ধাপ’।
লক্ষ্যবস্তুকে তার ক্লান্তি ও পরিত্যাগের স্তর থেকে অপরিমেয় ভাবে উন্নত করা হয়েছিল এবং তাৎপর্যপূর্ণ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল যা কেবল জাদুকরী বলা যেতে পারে। অতএব এটি ‘বিরক্তিকর বিমুর্ত জীবন’। এটা হয়ে গেল প্রতিমা আবার একই সঙ্গে বিদ্রুপ। এর অন্তর্নিহিত বাস্তব ছিল বিনষ্ট।
ম্যালভিচের বর্গক্ষেত্র এবং ডুচাম্পের বোতলের র্যাক দুটোরই সাংকেতিক ইঙ্গিত এই যে বিশ্বের নিয়ন্ত্রিত ধারণা দ্বারা চিত্রশিল্পের কিছুই করা সম্ভব নয়। এখনো পর্যন্ত তারা চিহ্নিত করেছে দুটো চূড়ান্ত অবস্থা (দুর্দান্ত বিমূর্ততা, দুর্দান্ত বাস্তবতা) যার মধ্যে কল্পিত চিত্রশিল্প সাফল্যমন্ডিত দশকে সারিবদ্ধ ও প্রতীত।
মনস্তাত্ত্বিক অবস্থানের দিক থেকে নগ্ন লক্ষ্যবস্তুর প্রতি এবং নগ্ন অবস্তুর প্রতি এই দুটি ইঙ্গিত বোঝায় যে সমষ্টিগত মানসিক চিড় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিপর্যয়ের আগের বছরগুলোতে এই দুটি ক্ষেত্রে তৈরি করেছে সাংকেতিক অভিব্যক্তি। এই ফাটল প্রথম দেখা দিয়েছিল নবজাগরণের সময় , যখন এটা জ্ঞান ও বিশ্বাসের দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছিল। ইতিমধ্যে সভ্যতা মানুষকে অপসারণ করেছিল আরো আরো বেশি করে তার সহজাত ভিত্তি থেকে , ফলে একটি গভীর গর্ত তৈরি হয়েছিল প্রকৃতি এবং মস্তিষ্কের মধ্যে , সচেতন ও অবচেতনের মধ্যে। এই বৈপরীত্য চরিত্রায়িত করে সেই মানসিক অবস্থা যা অভিব্যক্তি চায় আধুনিক চিত্রশিল্পে।
এটা একটা ভালো কাজ হচ্ছে। চলুক। শুভেচ্ছা।
বাহ।। ভাল একটি অনুসৃজন। এই চর্চা জারি থাক।