
শুভম চক্রবর্তীর কবিতা
ডায়েরি, জুলাই : ২০২৩
০.০
বিরহকাতর হয়ে চাঁদ আসে পাশের বাড়িতে
তার বেদনার ভাষা কখনও বুঝিনি বলে
ব্যথাতুর গাঢ় অভিযোগে
সে আমায় ক্রমশই দূরে সরিয়েছে
০.১
জলের ছলাৎ লেগে মাছের কানকো ফেটে যায়
মানুষের বুক ফাটে তবু মুখ ফোটে না তেমন
পাশাপাশি শুয়ে থাকা বিকেলবেলায়
দূরে পাখি ডাকে, সন্ধ্যা বয়ে যায়
০.২
‘এরূপ বিরহব্যথা ভালো…’
এমন কবিতা পড়ে ভাবি, কীরূপ বিরহব্যথা খারাপ তাহলে
মজুমদার মশাই আমাকে অবসরে বুঝিয়ে দেবেন
আমি হন্তদন্ত, হাবাগোবা গাঁয়ের ছাবাল
কোনোরূপ ব্যথাট্যাথা ভালো তো লাগে না!
০.৩
বৃষ্টি ভেসে ধুয়ে গেল পথঘাট, মনের উঠোন
তোমার বাড়ির সামনে একফালি সবুজাভ মাঠ
প্রকৃত সবুজ হলো এই ঘনঘোর বরষায়
এমন হয় না কেন মনের ভেতরে থাকা মন
০.৪
গান শুনি, ধাতব সুড়ঙ্গ বেয়ে গান এসে জোরে লাগে কানে
অর্থান্তর অর্থান্তর অর্থান্তরই জীবনের মানে
০.৫
‘মাতৃকাবর্ণেরা এস’ কিছু বার্তা বিনিময় করি
ভালোবাসা, ছেড়ে যাওয়া, ইত্যাকার শ্রীহরি শ্রীহরি
০.৬
মণিকর্ণিকার ঘাটে সারারাত বসেছিলাম
কত মৃতদেহ পুড়ে ছাই হয়ে গেল
অন্যমনস্ক তাই গুণতে পারিনি
০.৭
আমরা দুজনেই দুজনকে আস্বাদ করলাম
তারপর ফিরে এলাম যে যার ঘরে
আমাদের আস্বাদনীয় মুহূর্ত চিরসময়ের থেকে কত ছোটো ভাবতে ভাবতে ঘুম চলে এলো!
০.৮
আমাকে লেখা তোমার চিঠিগুলি উড়িয়ে দেব হাওয়ায়
উড়িয়ে দেব ফ্যানের ব্লেডের স্পিড অত্যন্ত বাড়িয়ে
০.৯
সুচেতনা তুমি এক দ্বীপ, দূরতর নও
নিভৃত দৃশ্য হয়ে গায়ে লেগে আছো
আঁশে শ্বাসে সারাক্ষণ, প্রলয়কালীন ঘন মেঘে
অবিরাম বৃষ্টি পড়ে। মনখারাপ গলে নেমে যায়।


খুব ভালো লেগেছে…