শাম্ব-র কবিতা
শরণাগত
পাতকী মেলাও বিদ্যা—বংশদলে বসি,
হংস-দলে পদ পাবে গুরুর ছাওয়াল—
ব্যাথা মরালীটি,শরণাগত দিনে রচে
চরণ,হিতকারক।শ্রেণী শত্রু—আজও
গোপন মতির মতো ঈশ্বর,বেলায়…
সজাগ ঝুপ্পুস মণিকর্ণিকার দেশে—
হয়তো সরল গুম্ফা।পদ্ম প্রয়োজনে
গিয়েছ আকুল তুমি,মণিপুর…মিজো…
যোনির জবায় ভরে বিবাহ নিবাস,
শারীরিক ইলোরায়…গোলাপের ধ্যানে
নিচু আঁচে যতো তার রচিত চরণ
শরণাগতের মতো নীল উপমায়!
তর্পণ
গাঙ্গেয় মেঘ-পুত্র,বাৎসল্য আলোর বয়সে,
এগিয়ে চলেছ বলে আপত্তি ছিলোনা আজও তার
আয়ুর অমৃতে সেবা যেনো আজ মাটির বয়ান
কন্যকা-পুত্তুর ধনে—সেবা মাত্রে সবুজ,অঞ্চল!
চুম্বন করিনি,তবু,সবই ওম,শান্তি শোনায়!
মাঠ কল্পতরু,ক্ষেতে কলঙ্ক,ধীমান জ্বলে ওঠে…
চোখ রগড়ে তোলা কুয়ো-পাড় গুলো ভিজিয়ে রেখেছি,
বিনোদনে!অথবা সে সূর্যাস্তেও ত্রুটি রেখেছিলো…
রেখেছিল অধোগামী আজ—তবুও তার মাটির
বয়স,চেনা অচেনা…চলেছি ও তাড়নার পথে
অনুযোগ,তাই তার…শান্তির আঁচল খুললে আজও
গঙ্গা-পুত্র হলো মাটি।মাটির ওপরে চিতা সেবা!
লিখেছি তরল নাম,বাঁধানো ছবির থেকে তুলে
পায়ের পাতায় ভরা পুরনো ও সহজ আলতায়!