
নন্দিনী সঞ্চারীর কবিতা
ঘ্রাণ
আমাকে দূরে সরিয়ে রাখো তোমরা।
দূরে, ততটাই দূরে, যতটা দূর থেকে তোমাদের ঘ্রাণ পাই না আমি।
তোমার ঘ্রাণ। যেন লেবুপাতায় ভাতের ঘ্রাণ।
যে গন্ধের জন্য আমি অপেক্ষা করি অগুণতি বৃষ্টির রাত।
অপেক্ষা করি সেই আকাশের অশ্রুর,
যা আমার চোখের জলে মিশে যাবে।
আর তাও আমি অপেক্ষা করবো তোমাদের জন্য। তোমার জন্য।
সেইসব বৃষ্টিরাতে গান হয়ে বাজে মকমকি
তার পাশে নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে আনত আমগাছ।
সারারাত ভিজে চলে, একা।
আমাকে দূরে সরিয়ে রাখো, তুমি।ততটাই।
যতটা দূর থেকে তোমার ঘ্রাণ পাবো না আমি।
অপ্রাপ্ত
শব্দের কাছে মাথা নত করি
যেভাবে অপ্রাপ্ত প্রেমের পায়ে মাথা খুঁড়ি
রোগগ্রস্ত সন্তানের জন্য দন্ডী কাটি
গরম পিচে, দগ্ধ।
এই ছটফট, এই প্রথম একা সাঁতারে গলাজলের
মত ভয়। নিঃশ্বাস হারানোর।
মধ্যরাতে আচমকা ক্র্যাম্প,
শয্যায় রক্তক্ষয়।
ছুঁয়ে দাও।
ছুঁয়ে দাও আঙুল, কলম, প্রসাদী ফুল
আর উষ্ণজল।
অকালবর্ষণ হয়ে নামো।
নামো পাতায় পাতায়
তোমার তালুতে মুখ রেখে ছুঁড়ে ফেলে দেবো
সব আরোপিত অভিনয়।