দীর্ঘ কবিতা – নীলাদ্রি দেব
প্লাস্টিকের চাঁদ
চোখের পর্দা এতো পুরু, বাতাসে দুলছে না
খবরের গরম কাগজ, উত্তাপ
বারবার আয়না ভেঙে যায়, তবু…
ভাঙা কাঁচ, বুলেটের গতি_ না, শুধু না
স্পর্শে, তীব্র আঘাতেও অক্ষত চোখ
পোষা বেড়ালের ল্যাজে বেলুনের দুলুনি দেখি
স্ট্রিটলাইট খুলে নিয়ে গেছে
সাত সেলের টর্চের আলো গেঁথে দিচ্ছে
নিষ্পলক দৃষ্টি
স্থির, তবু স্থির
হাইড্রেনের পরে জ্যোৎস্না, উজ্জ্বল কার্পেট
আর প্লাস্টিকের চাঁদ
চাঁদের আলোর নিচে শব্দহীন চুঁইয়ে যাচ্ছে মধু
মাটির হাঁড়ির ভেতর অচেনা অন্ধকার
পিচের গরম জুড়ে জুতোহীন মানুষের ছাপ
মিছিল একটি মায়াবী আলাপ
বিস্তারের টুকরো শ্বাস…
ছন্দে আছে তাবু, শিবির বিন্যাস
অস্বীকার করলেও তুমি পালানোর পথ জানো না
অতএব, আঙুলে পূর্বজ নীল দাগ মুছতে পারছি না
পারছি না এলোমেলো ঘুম ভেঙে
প্রতিটি মিথ্যে স্বপ্নকে আলাদা, টুকরো করতে
ছড়িয়ে দিতে আবর্জনার চতুর্ভুজে
এসব তো সৌখিন, রেস্তোরাঁজাত কথা
এসবেরও আগে ভাত, শাদা শাদা দানা
ঘামে ভেজা গামছাই আস্ত নিশান
এমারজেন্সি এক্সিটের পথ
গলে যাওয়া মোমের আলোয় স্বচ্ছ
স্বচ্ছ হলেও পারমিট একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
আর লাইন লাইন বিস্ময়
মানুষের পিঠ বদলে যাচ্ছে I মানচিত্র?
ভূগোলের বিপরীতে এখনও তো কেউ কেউ ঘোরে
তেমনই কৃষ্ণনীল বক, অনুচ্চ গলার বক
উর্বর কৃষিজমির শরীরে
কাকতাড়ুয়ার মতো দাঁড়িয়ে থাকে
দেখি I অঙ্কের ব্যাকরণ মিলিয়ে দেখি I দেখতেই থাকি
যে রাস্তার পাশে পথিকের জন্য কোনও ছায়া নেই
শাওলা শ্যাওলা মাটি, আগাছার ছেঁড়া সোয়েটার
সেখানে গড়িয়ে দিই বেনামী কমলালেবু,
সবুজ ফণীমনসার ঝোপ
হঠাৎ
হঠাৎই ড্রপার থেকে এক ফোঁটা প্লাস্টিকের চাঁদ