দীপ্তিপ্রকাশ দে-এর কবিতাগুচ্ছ
ঘটনাচক্র
ঘটনা পড়েই থাকল
চক্র উঠে গেল তর্জনীতে
শিরা থেকে রক্ত টেনে
ভরে রাখছি গণসংগীতে
কাল তা খবর হবে
গোটা গ্রাম শিউরে উঠবে ভয়ে
আমি ফের ঝাঁপ দেব
নম্র গর্ভ থেকে
লেলিহান পিতৃ-পরিচয়ে
ঘুঁটে
যে-কোনও স্পর্ধার নাম আগুন
যে-কোনও পরিণতির নাম ছাই
প্রতিটি বিপ্লবের আগে
সামান্য এ-কথাটুকু মনে রেখো
মনে রেখো, মানুষ
আসলে এক বিষণ্ন ঘুঁটে
থাপ্পড় খেতে খেতে
যার পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গ্যাছে
মার্চ মাসের প্রচণ্ড রোদে
রাষ্ট্র যখন তন্নতন্ন করে
খুঁজে বেড়াবে তোমার জন্ম-জড়ুল
তুমি তাকে জিভ নয়
দু’-গালের অসহ্য আঙুল-ছাপ দেখিও
নির্দল
দম বন্ধ হয়ে আসছে
যদিও আমি কোনও দলে নেই
শুধু হাঁটতে হাঁটতে
একটা ছিঁড়ে যাওয়া পোস্টার দেখেছি
‘বিপ্লব’ থেকে যেখানে
বাদ পড়ে গ্যাছে ‘দীর্ঘজীবী হোক’!
শরীর থেকে সমস্ত আঠা বের করে
আমি কাল সারারাত
বসে বসে জোড়া লাগিয়েছি দু’টো শব্দ
প্রতিজ্ঞা করেছি-
পাখিদের জেগে না ওঠা অব্দি
আমি আর ঘুমতে যাব না কোনওদিন
জোট
জোট তো হতেই পারে
তুমি যখন ধর্মনিরপেক্ষতারই কথা বলছ
আর আমারই
আগুন দিয়ে সেঁকতে চাইছো আমাকে
হাত বাড়ানোই যায় তাহলে
শুধু দেখো, সমস্ত ঝগড়া যেন
রাস্তায় এসে থেমে যায় আমাদের
মন ভেঙে যাওয়ার পরেও
উত্তর না থাক, অন্তত
প্রশ্ন করার অধিকার যেন থাকে
কাল কি মিছিলে আসছো, তুমি?
দীপ্তিপ্রকাশের কবিতার আমি গুণমুগ্ধ পাঠক। কবিতাগুলি খুব ভালো লাগল, দীপ্তি।
খুব ভালো লাগল
দীপ্তিদা’র লেখা সবসময়ই ভালো লাগে