
অরণ্যা সরকারের কবিতা
বাগানবিলাস
এক
সাঁতলে তুলছি গান
তোমাকেই বলি শোন
ব্যথা মথিত হলে বেজে ওঠে কারুকাজ
সঙ্গে যাবে ?
এমন চিকন বিরহ খাজে খাঁজে বয়ে
রিমঝিম অনুরাগে জন্ম বানাবো
উলঙ্গ যা ছিল স্বীকারোক্তি ও বেনিয়ম
সব মর্মর হবে
কী যে সামান্য হবে সব !
জল ও আগুন থেকে স্বভাব সরাবে ?
দুই
মেজাজে দুলবে পুকুরভঙ্গিমা
খুব মিহি তাকাবে কিশোর পকেট
স্বাদগুলো দেবো নেবো
ধ্যানের খুলে যাবে পাখির স্তবক
নতুন ভুলের রেওয়াজ হবে খুব
কি কি সব পেরিয়ে এসেছি বলবোনা
শুনবোনা নগর প্রস্তুতির ধারাভাষ
ভাঙা ভাঙা আঁচ জোনাকি খবর এনে দেবে
ডাকবে ডাকবে সব আদুল সফর
চলো, মন রাখি ধুলোর একতারায়—
তিন
চুমুক সাহসী হলে আড়াল দিও না।
জটিলতা চিবোতে চিবোতে ভুমিকা বদল
কলরব ক্ষয় লেখে রোজ
সেসব মহতের ত্রাস
সমগ্রের কুচি হয়ে বিঁধে থাকা বোধ
মগ্ন রাখবে
দৃশ্যের দেয়ালে ঝুলবে তুষার যুগের মেঘ
দ্যাখো, মুঠোর আনন্দ হয়ে
জন্মদিন দিচ্ছে সব বিন্দুবোধ
যেতে হবে ক্ষতসেঁকা জ্যোৎস্না বাগানে
ওই তো ডাকছে দূরে কুসুম নামের সব দিন–
আরশি
শোকের ঝনঝন থেকে সরে যায় মুহূর্ত। শূন্য থেকে খনন।
একাঙ্ক সমাচারে জাদুঘর। রন্ধ্রে, সুড়ঙ্গে ঘাসপাতার রোদগান।
শ্রুত সব তেষ্টা নিয়ে সুখী পরিবার। রহস্য, ফেনা, ফড়িং, কাঠবেড়ালি
জমানো ট্রাঙ্ক আমিটুকু নিয়ে মেঘপুঁটলি হয়ে থাকে।
আছে, জানাটুকুই নেপথ্য উদ্ভাস। দ্রুত সরাই রঙফসিল, ভুল বানান
দুঃখের মুখাগ্নি করে এসে দেখি আলোদের শব জমে আছে।
শূন্য
চলে যাওয়া এক বিরতিবিকেল। এত নিরীহ শব্দ রাখে না।
লাঞ্ছনার এপাশে সঙ্কেত, ওপাশে সংকেত। এত মসৃণ বাজে না বাজে না।
জানা যায় বাজনার ভেতর বাজনা বসিয়ে ?
এত যে চাঁদের কোলাহল, ধান দুব্বোর হৈ হৈ আঙুলে দুফোঁটা নতুন ছোঁয়ায় ?
‘জানতে নেই সব’ চড়া দামে বিক্রি হয়। কলার তুলে ভালোবাসা মলাটবাসী।
পথ ভেঙে পথ বেরিয়ে আসে, তুষ্টির নামতা শেখে মনের শিশুদিন।
লাবণ্য রিমেক করে ছিপছিপে ভ্রমণ বলে ‘থাকো’
থেকে যাওয়া এক দ্রবণের মায়াভাস, এত নির্জন আলোয় আসে না।


প্রতিটা লাইন যেন এক একটা কবিতা। খবই ভালো লাগলো। কিছু বানান।