স্নেহাশিস পাল-এর কবিতাগুচ্ছ
জানো…
যাকে সব থেকে বেশি অপমান ক’রে
ঘাড় ধাক্কা দিয়ে —
চিরতরে
বুক থেকে বার ক’রেছিলে…
আজ সব থেকে বেশি, তাকেই আপন মনে হয়,
আবার ভালবাসতে ইচ্ছে হয়, জানো…
এই যে অরণ্যময় — সম্পর্ক-ছড়ানো দেহভূমি
শেষ শীত-বিকেলের ঝুলন্ত বারান্দা… সর্বস্ব খোয়ানো সূর্য/সূর্যাস্তের হাতের উষ্ণতা
দিগন্তের হাহাকার হাওয়া; জাপটে-জাপটে ধরছে
ছেঁড়া অভিধানের মতন :
অনন্ত আঘ্রাণ-ভেজা নিখিল ক্রন্দসী…
মুক্তি দাও অশ্রুনদী, মুক্তি দাও দেবী সুরেশ্বরী ভগবতী গঙ্গে…
শুকনো—শুকনো ওষ্ঠে… নির্ভার ঠোঁটের মোহনায়… …
এখানে বারবার লোক আসে… ছবি তোলে দুঃখদের সাথে… আলোর নিজস্বী!
কেও বা ট্যুরিস্ট
কেও বা পাঠক বা সন্ন্যাসী…
নোনা স্বাদে ডুবে যায়… বন্ধনের অতল অনলে…
হেসে ওঠে — ভেসে ওঠে জীবনের মতো শব/জীবিত শবের মতো অপার জীবন…
জীবন তো একটা, জীবন্ত সুন্দর…
সেকি তবে রাই?
রেশ থাকতে-থাকতে, অর্ধেক কবিতাটির কাছে ফিরে যাই
সারা রাতে তাকে যে হারাই… সেকি তবে রাই?
পরদিন আবার ফিরি — বুনো নেশা নিয়ে, চুপিচুপি — লেখার নিকটে
তার ও আমার নামে কত কি যে রটে
রেশ চ’লে যায়… লেখা থেমে যায়… লেখা থেমে থাকে!
তবে কি লেখাটি, চিরঅসমাপ্ত থেকে যাবে?
নিভৃত তৃষ্ণার বুকে — চোখের জলের ছায়া পড়ে…
যেভাবে, সেভাবে… …
জাল
সাগর সঙ্গমে — শরীর উৎসব
প্রশ্ন ঘিরে চলে আগুন কার শব?
ঘুমায় ঘর-বাড়ি, ঘুমায় ভাটিয়ালি…
ইশারা : দুন্দুভি… শূন্যে বাজে খালি
হাওয়ায় ধিকিধিকি –- সাগর : মহানারী
জোয়ার ঝাউবনে তৃপ্ত বালিয়াড়ি
নিমেষে চোরা ভাটা; শ্বাসের কারুকাজ
রুপোলি বন্দরে চাঁদের গায়ে বাজ
গভীর কলঙ্ক মাছের মতো ঘোরে
ভোরের অশ্রুতে
কবিতা, জাল ছোঁড়ে…
কিশোরীতলা ঘাট
বিরহ যখন রাজার মতন সাজে
হৃদয়ে তখন শুকনো পাতায় মেঘ
কান্না আসছে হাওয়ার আঙুল ধরে
তোমার নদীটি এবার নৌকো পাবে…
ভালো লাগল প্রথম তিনটি