শতানীক রায় -এর গুচ্ছ কবিতা
বাক্
১
আমি নির্বাকও হই না আর। চাঁদ দেখি আর ঘরে ফিরে আসি। জলের টানে নদীর কাছে এসে কচ্ছপের আরাধনা করি। অথচ কোনো অন্তর্ভুক্তি নেই। গ্লানি নেই। পৃথিবীর এই হা-খোলা প্রাণ। মানুষের ভেতর দিয়ে যখন একটি প্রজাপতি দেখা যায়। গাছের ছায়ার ভেতর দিয়ে প্রশান্তির পাখি হয়তো আশ্চর্য করে। লুপ্ত করে মানুষের ঘুম। লুপ্ত করে জ্যোৎস্না। লিপ্ততা এবং এখানেই থেমে দেখা যাক।
২
আমি যখন উচ্চারিত হইনি আর। বলিনি কোনো রূপকথার রেশ। তবুও জীবন ছিল। জীবন ছিল কত কিছুর মধ্যে। মানুষের নরম হওয়া আশ্চর্য খুব আর একই শব্দ। একই জীবনের মতো শরীর। হারানো মুখের মতো একটি পাখি। একটি ঠোঁট। একটি চোখ থেকে যায় এখন অবধি।
৩
কোনোটাই কথা নয়। শুধু অজস্র। মুহূর্তের মধ্যেই অনেক। জীবনের এই পৃষ্ঠাহীনতা কিছুক্ষণ থাক। মানুষের মধ্যে নিহিত কোন সে বায়ু জল আকাশ অযথা বুক সৃষ্টি করে। এই পাঁজরের দুর্দশা পর্যন্ত গিয়ে থেমে যাওয়া।
৪
চিরকালীন এই শব্দগুলো শরীরেই থেকে যাবে। যেখান থেকে শুরু হয়েছিল গাছ-কল্পনা। মানুষই তো এভাবে মৃত্যু পর্যন্ত গিয়ে এক ধাপ করে নেমে ভাবতে শুরু করে। একভাবে এইসব অনুভূতি। লজ্জা ও সংশয় পুনরায় আমাকে ফিরিয়ে আনে। এখানে চিরকাল… মৃত্যুআজ্ঞা। এই শব্দব্যূহ। প্রেম অথবা কাম। স্মৃতি ধার্য থাকে। অক্ষরমালা থেকে স্মৃতি এই আমার সময়। আর শেষ।
৫
কথা আর কখনোই কথা থাকে না। চলে যাওয়ার পর্যায় পর্যন্ত যে-সব গাছ গৃহ কিংবা ফুল। হায় হাড়ের কল্পনা অবধি যে-মানুষ। হয়তো অবশিষ্ট থাকে না কিছুই। দীর্ঘতা অবলম্বন করে দুপুর। এই দুপুরই পাঁজরে আসন্ন ভোর। অনেক উঁচু থেকে ঝুঁকে পড়ে দেখা। অনেক ধাপ সিঁড়ি। সিঁড়ির মতোই দেখতে। মানুষের মতো হয়তো। এক ধাপ এক ধাপ। আজ তবু ভোর কিংবা সূর্যের কথোপকথন থাকল। আধখান।
থমকে গেলাম শতানীক, খুব ভালো লাগল
প্রতিটিই খুব ভালো লাগল..