দীপক রায়-এর কবিতা

দীপক রায়-এর কবিতা

সক্রেটিসের সঙ্গে
উৎসর্গ: সুবোধ সরকার

আপনি তো কদিন আগে গ্রিসদেশে ছিলেন।
কথা বলছিলেন মহাজ্ঞানি সক্রেটিসের সঙ্গে।
সক্রেটিসের পাড়ায় একটা বাড়ি আছে আপনার।

আপনি দেখেছেন বৃদ্ধ সক্রেটিস তরুণী অন্তিগোনের সঙ্গে
ক্যাফেটেরিয়ায় বসে কফি পান করছেন। পাশে তাঁর শিষ্য প্লেটো, যিনি আরিষ্টটলের গুরু।
প্লেটো ছিলেন ওপর-ওপর কাব্যবিরোধী কিন্তু আসলে তিনি ছিলেন এক নির্ভেজাল এক কবি।
আর কে না জানে সক্রেটিস ছিলেন পাশ্চাত্যের জ্ঞানীতম মানুষ — হেমলক পান করে
যাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছিল।
এসবই সক্রেটিসের পাড়ায় থেকে তুমুল রসিকতায়
জানিয়েছেন আপনি কলকাতার মানুষকে। কলকাতা থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরে এক ছোট শহরে থাকি আমি।

কাল দেখলাম কলকাতা বইমেলার জনারণ্যে
আপনি একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। কবে এলেন কলকাতায়? ভাবলাম কথা বলি আপনার সঙ্গে।
কিন্তু সাহস হল না। একে একটা একাডেমির প্রধান আপনি।
তারপর সক্রেটিস প্লেটো আন্তিগোনের সঙ্গে বন্ধুত্ব আপনার।
শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলাম অস্ফুটে কী বলতে বলতে
একা একা মেলার চারদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছলেন আপনি। কেউ নেই আপনার সঙ্গে। আপনি – একা এবং একা।

লোকে বলে আপনার চারদিকে অনেক মানুষ, অনেক ক্ষমতা আপনার। আমি বলি — তা কী করে হবে ?
উনি তো গ্রিসদেশের সর্বকালের সেরা পন্ডিতদের বন্ধু। অনেক জনতা নিয়ে উনি থাকবেন কী করে? লক্ষ জনতার ভিড়ে উনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন
একা — লক্ষ রাখছেন সব।
উনি সক্রেটিসের পাড়ার লোক। প্লেটো আন্তিগোনে এরিস্টটলের সঙ্গে সঙ্গ করেছেন। আপনারা ওঁকে চিনতে পারছেন না।
খুব সন্তর্পণে জিজ্ঞাসা করি — কবে এলেন আপনি
এই ভিড়ের কলকাতায়?

দ্বিতীয় হার

“অনুসংহিতা”- নামে একটা কাগজ ছিল এই শহরে ।
আমার বয়স তখন পনেরো ষোলো
লুকিয়ে চুরিয়ে এক আধটা পদ্য লিখি শুধু আবেগ ভর করে।
কাগজের নামটা শুনে শুধু
ইচ্ছে হত ওই কাগজে লেখার ।
কোর্টের ধারে কুটির মাঠ –- দেখা হল মাঠের ধারে —
সম্পাদক নিরঞ্জন সিকদার ।
আলাপ হল রবিবারের এক সকালে। ছ’ফুট লম্বা ছিপছিপে
—ইমরান খাঁন। সাইকেল থেকে নামলেন ঈশ্বর –
মাথায় ফ্যানসি টুপি, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ।
পাশের দু’একজনের সঙ্গে কথা বলে একটু আধটু লিখি শুনেও
পাত্তা না দিয়ে অদ্ভুত কায়দায় রেসিং সাইকেল নিয়ে
চিলের মতো উড়ে গেযেন আকাশে ।
শুনেছি তিনি ডিউক ক্লাবের মেম্বার।
আমাদের শহরে তখন বাজাজ কোম্পানির মোটর বাইক আসেনি। হিরো হন্ডাও নয়।
কিন্তু ডাচেদের এই শহরে ডিউক ক্লাবের পত্তন হয়েছে।

আমার প্রথম হার ধোবাদের বাড়ির ছেলে — শ্রীকৃষ্ণের কাছে ।
যে ফার্স্ট হত — পাড়ার পাঠশালায় ।
আমার দ্বিতীয় হার ওই ছ’ফুট লম্বা
— “অনুসংহিতা”-র সম্পাদকের কাছে
শুধু ওই নামের জন্য
যে কাগজে লিখতে চেয়েছিলাম একদিন

CATEGORIES
TAGS
Share This

COMMENTS

Wordpress (0)
demon slauer rule 34 lena the plug leak amateurtrheesome.com cumming in milfs mouth mujer haciendo el amor a un hombre, belle delphine of leaked emma watson in porn xxxamat.com big booty in public hidden cam gay sex, sit on face porn g a y f o r i t forcedpornanal.com please screw my wife female celebrity sex tapes